সিটি মেয়রদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন মাস আগেই নির্বাচন করতে হবে

সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ছয় মাস নয়, তিন মাস আগেই নির্বাচন করতে হবে। এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন, ২০২০’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়াও খসড়া আইনে মেয়র ও কাউন্সিলরদের ছুটি তিন মাস থেকে কমিয়ে এক মাস করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় ভার্চুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার গণভবন কার্যালয় থেকে এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘দেখা গেছে, বাস্তবে কাজ করতে গেলে কিছু অসুবিধা হয়। এখন নিয়ম রয়েছে, ছয় মাসের (১৮০ দিন) মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অন্যদিকে রয়েছে যেদিন তারা (মেয়র ও কাউন্সিলর) মিটিং করবে সেই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সময় থাকবে। দেখা গেছে, চার-পাঁচ মাস আগে যদি নির্বাচন হয়ে যায়, শপথ হলেও তারা দায়িত্ব নিতে পারতেছে না, এই কন্ট্রাডিকশনের জন্য। অনেক দিন তাদের অপেক্ষা করতে হয়।’ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত দুই মেয়রকে শপথ নেয়ার পরও দায়িত্ব পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কারণ ওই সময় আগের মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হয়নি।

যেদিন মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ হবে এর ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর হয়ে যাবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নির্বাচন তো বটেই, শপথ নেয়ার পরও তাদের অপেক্ষা করতে হয়। সেজন্য এটাকে একটু চেইঞ্জ করে নিয়ে আসা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হবে।’

নতুন এ ব্যবস্থায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ থাকার পরও তাদের পদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে কিনা জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘হ্যাঁ, বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কারণ এখন তো আর ১৮০ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এতে ১৫ বা ১০ দিনের একটা ভেরিয়েশন হয়। আগে তো তিন থেকে সাড়ে তিন মাস বসে থাকতে হতো। নতুন আইনে বলে দেয়া হচ্ছে- মেয়াদ সম্পর্কে আইনে যাই থাকুক, নতুন পরিষদ যেদিন থেকে শপথ নেবে তার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম মিটিং করবে এবং সেদিন থেকেই আগের পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’

মেয়র ও কাউন্সিলরদের ছুটি কমানোর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সিটি করপোরেশনগুলোতে যারা (মেয়র ও কাউন্সিলর) ছিলেন বছরে তাদের তিন মাস ছুটি ছিল। আজকে মন্ত্রিসভা বলেছে, ওনারা জনপ্রতিনিধি কিন্তু তাদের এক্সিকিউটিভ ফাংশন আছে ডে টু ডে (নির্বাহী হিসেবে দৈনন্দিন কার্যক্রম)। সুতরাং বছরে ছুটি এক মাস করে দেয়া হলো।’

আরও খবর
পাঁচ কেজির উপরে ড্রোন উড়াতে অনুমতি লাগবে
পার্বত্য এলাকায় সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে : কাদের
ঢাকা আঙ্কারার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী
ভুটানের সঙ্গে পিটিএ করবে বাংলাদেশ
লালমনিরহাট কারাগারে হামলার হুমকি জঙ্গিদের
অবৈধ নির্মাণসামগ্রী উচ্ছেদ অভিযান ও নিলাম
ডক্টরস ফর হেলথ-এর উদ্যোগে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ
যশোরে নিহত তিন কিশোরের পরিবারকে কেন ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ নয় : হাইকোর্ট
এক পুলিশ ও চার সৈনিকের ১০ বছর করে কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে বোয়ালখালীর সাবেক ওসি হিমাংশুসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ধর্ষণচেষ্টার মামলা না তোলায় কিশোরীর বাবাকে অপহরণ
লাশ আটকে রেখে অতিরিক্ত বিল আদায়
শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করানোর ভিডিও ভাইরাল
অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক থাকলে ব্যবস্থা ডিএমপি কমিশনার
যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত জবি শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি
তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে মেয়র আইভী

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৫ মহররম ১৪৪২, ২৭ ভাদ্র ১৪২৭

স্থানীয় সরকার আইনের খসড়া অনুমোদন

সিটি মেয়রদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন মাস আগেই নির্বাচন করতে হবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ছয় মাস নয়, তিন মাস আগেই নির্বাচন করতে হবে। এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন, ২০২০’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়াও খসড়া আইনে মেয়র ও কাউন্সিলরদের ছুটি তিন মাস থেকে কমিয়ে এক মাস করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় ভার্চুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার গণভবন কার্যালয় থেকে এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘দেখা গেছে, বাস্তবে কাজ করতে গেলে কিছু অসুবিধা হয়। এখন নিয়ম রয়েছে, ছয় মাসের (১৮০ দিন) মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অন্যদিকে রয়েছে যেদিন তারা (মেয়র ও কাউন্সিলর) মিটিং করবে সেই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সময় থাকবে। দেখা গেছে, চার-পাঁচ মাস আগে যদি নির্বাচন হয়ে যায়, শপথ হলেও তারা দায়িত্ব নিতে পারতেছে না, এই কন্ট্রাডিকশনের জন্য। অনেক দিন তাদের অপেক্ষা করতে হয়।’ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত দুই মেয়রকে শপথ নেয়ার পরও দায়িত্ব পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কারণ ওই সময় আগের মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হয়নি।

যেদিন মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ হবে এর ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর হয়ে যাবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নির্বাচন তো বটেই, শপথ নেয়ার পরও তাদের অপেক্ষা করতে হয়। সেজন্য এটাকে একটু চেইঞ্জ করে নিয়ে আসা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হবে।’

নতুন এ ব্যবস্থায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ থাকার পরও তাদের পদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে কিনা জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘হ্যাঁ, বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কারণ এখন তো আর ১৮০ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এতে ১৫ বা ১০ দিনের একটা ভেরিয়েশন হয়। আগে তো তিন থেকে সাড়ে তিন মাস বসে থাকতে হতো। নতুন আইনে বলে দেয়া হচ্ছে- মেয়াদ সম্পর্কে আইনে যাই থাকুক, নতুন পরিষদ যেদিন থেকে শপথ নেবে তার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম মিটিং করবে এবং সেদিন থেকেই আগের পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’

মেয়র ও কাউন্সিলরদের ছুটি কমানোর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সিটি করপোরেশনগুলোতে যারা (মেয়র ও কাউন্সিলর) ছিলেন বছরে তাদের তিন মাস ছুটি ছিল। আজকে মন্ত্রিসভা বলেছে, ওনারা জনপ্রতিনিধি কিন্তু তাদের এক্সিকিউটিভ ফাংশন আছে ডে টু ডে (নির্বাহী হিসেবে দৈনন্দিন কার্যক্রম)। সুতরাং বছরে ছুটি এক মাস করে দেয়া হলো।’