এক হাজার ১১৪ কোটি টাকা প্রণোদনার কৃষিঋণ বিতরণ

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় কৃষিখাতের জন্য গঠিত ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪৭ হাজার কৃষক ঋণ পেয়েছে। এই খাতে ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ১ হাজার ১১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা ঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৬টি জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যকালে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তহবিলের অর্থ গ্রামাঞ্চলের পোল্ট্রি ও দুগ্ধ খাতসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের মধ্যে ৫ শতাংশ সুদে বিতরণ করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। একদিন পরে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কৃষিখাতে প্রণোদনা ঋণের সুদ ৪ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ বিতরণের সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও ডিসেম্বর নাগাদ প্যাকেজের পুরো অর্থ বিতরণ করতে পারবে বলে আশা করেছেন ব্যাংক ও সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে ৫৩৭ কোটি টাকা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে সোনালী ব্যাংককে ২০৯ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংককে ১২৪ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংককে ১২০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংককে ৫২ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংককে ২৯ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে ৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এসব ব্যাংকের মধ্যে বিতরণের শীর্ষে রয়েছে রূপালী ব্যাংক। ব্যাংকটি লক্ষ্যমাত্রার ৫৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ২৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। অগ্রণী ব্যাংক বিতরণ করেছে ১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, সোনালী ২১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিতরণ করেছে ৫৫ লাখ টাকা ও বেসিক ব্যাংক বিতরণ করেছে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিতরণ করেছে ৬২০ কোটি ১৯ লাখ টাকা ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বিতরণ করেছে ১৩৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সরকারি-বেসরকারি ৪৩টি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ হাজার ৪০৩ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৮৩০ কোটি ১ লাখ টাকা। ৩৫টি বেসরকারি ব্যাংক বিতরণ করেছে ২৮৪ কোটি ৬ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৭ মহররম ১৪৪২, ২৯ ভাদ্র ১৪২৭

এক হাজার ১১৪ কোটি টাকা প্রণোদনার কৃষিঋণ বিতরণ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় কৃষিখাতের জন্য গঠিত ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪৭ হাজার কৃষক ঋণ পেয়েছে। এই খাতে ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ১ হাজার ১১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা ঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৬টি জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যকালে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তহবিলের অর্থ গ্রামাঞ্চলের পোল্ট্রি ও দুগ্ধ খাতসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের মধ্যে ৫ শতাংশ সুদে বিতরণ করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। একদিন পরে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কৃষিখাতে প্রণোদনা ঋণের সুদ ৪ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ বিতরণের সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও ডিসেম্বর নাগাদ প্যাকেজের পুরো অর্থ বিতরণ করতে পারবে বলে আশা করেছেন ব্যাংক ও সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে ৫৩৭ কোটি টাকা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে সোনালী ব্যাংককে ২০৯ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংককে ১২৪ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংককে ১২০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংককে ৫২ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংককে ২৯ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে ৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এসব ব্যাংকের মধ্যে বিতরণের শীর্ষে রয়েছে রূপালী ব্যাংক। ব্যাংকটি লক্ষ্যমাত্রার ৫৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ২৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। অগ্রণী ব্যাংক বিতরণ করেছে ১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, সোনালী ২১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিতরণ করেছে ৫৫ লাখ টাকা ও বেসিক ব্যাংক বিতরণ করেছে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিতরণ করেছে ৬২০ কোটি ১৯ লাখ টাকা ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বিতরণ করেছে ১৩৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সরকারি-বেসরকারি ৪৩টি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ হাজার ৪০৩ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৮৩০ কোটি ১ লাখ টাকা। ৩৫টি বেসরকারি ব্যাংক বিতরণ করেছে ২৮৪ কোটি ৬ লাখ টাকা।