মার্কিন বিচারক গিন্সবার্গের চিরবিদায়

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের সবচেয়ে বয়স্ক বিচারক রুথ ব্যাডার গিন্সবার্গ মারা গেছেন। শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।

গিন্সবার্গের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একজন ‘চমকপ্রদ বিচারককে’ হারালাম। তার শূন্যতা অন্য কেউ পূরণ করতে পারবেন না।’

এতে আরও শোক প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারক জন রবার্টস। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু একজন মহান বিচারক গিন্সবার্গকে হারাইনি, হারিয়েছি ন্যায়বিচারের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গিন্সবার্গ ছিলেন একজন সৎ, সাহসী ও অক্লান্ত পরিশ্রমী বিচারক। আমাদের ভবিষ্যৎ কর্ণধারেরা তাকে শ্রদ্ধাভরে সদা স্মরণ করবে।’ তার মৃত্যুতে আরও শোক জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন, স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, হিলারি ক্লিনটন।

গিন্সবার্গ দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যানসারে ভুগছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নারী অধিকার নিয়ে লড়াইয়ে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি। গর্ভপাতের অধিকার, সমলিঙ্গের বিয়ে, ভোটের অধিকার, আবাসননীতি ও স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়ে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের সবচেয়ে প্রবীন এ বিচারক।

২৭ বছর সুপ্রিমকোর্টে কর্মরত ছিলেন গিন্সবার্গ। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের উদারপন্থি বিচারকদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। ধারণা করা হচ্ছে, তার মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রক্ষণশীল কৌঁসুলিদের প্রভাব বাড়বে।

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৩০ মহররম ১৪৪২, ০২ আশ্বিন ১৪২৭

মার্কিন বিচারক গিন্সবার্গের চিরবিদায়

image

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের সবচেয়ে বয়স্ক বিচারক রুথ ব্যাডার গিন্সবার্গ মারা গেছেন। শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।

গিন্সবার্গের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একজন ‘চমকপ্রদ বিচারককে’ হারালাম। তার শূন্যতা অন্য কেউ পূরণ করতে পারবেন না।’

এতে আরও শোক প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারক জন রবার্টস। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু একজন মহান বিচারক গিন্সবার্গকে হারাইনি, হারিয়েছি ন্যায়বিচারের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গিন্সবার্গ ছিলেন একজন সৎ, সাহসী ও অক্লান্ত পরিশ্রমী বিচারক। আমাদের ভবিষ্যৎ কর্ণধারেরা তাকে শ্রদ্ধাভরে সদা স্মরণ করবে।’ তার মৃত্যুতে আরও শোক জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন, স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, হিলারি ক্লিনটন।

গিন্সবার্গ দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যানসারে ভুগছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নারী অধিকার নিয়ে লড়াইয়ে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি। গর্ভপাতের অধিকার, সমলিঙ্গের বিয়ে, ভোটের অধিকার, আবাসননীতি ও স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়ে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের সবচেয়ে প্রবীন এ বিচারক।

২৭ বছর সুপ্রিমকোর্টে কর্মরত ছিলেন গিন্সবার্গ। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের উদারপন্থি বিচারকদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। ধারণা করা হচ্ছে, তার মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রক্ষণশীল কৌঁসুলিদের প্রভাব বাড়বে।