দেশে ২৪ ঘণ্টায়

করোনায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু শনাক্ত ১২৭৫

দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন ও নারী ১০ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ হাজার ১৬১ জনে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর এই ভয়ঙ্কর থাবা কবে নাগাদ বিশ্বে নিয়ন্ত্রণে আসবে তা নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। আমেরিকা, চীন ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি করছে। বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ”ব্বিশ ঘণ্টায় ১০৫টি পরীক্ষাগারে ১০ হাজার ২৬১টি নমুনা সংগ্রহ ও ১০ হাজার ৬৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৭৫ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৫৯ হাজার ১৪৮ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯ হাজার ৪৬০টি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত চব্বিশ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭১৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৭০ হাজার ৪৯১ জনে। চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ৩১ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৯৯৬ জন (৭৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ১৬৫ জন (২২ দশমিক ৫৭ শতাংশ)।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুই, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২৩ জন। বিভাগ অনুযায়ী, ৩২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় চারজন ও সিলেট বিভাগে দুইজন রয়েছেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ১৬১ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৯৯৬ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ১৬৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৬১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৩৯৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৬৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৯৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১১৮ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। আর এর মধ্যে ২ হাজার ৫৬৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৬৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৩৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৩৩ জন খুলনা বিভাগের, ১৮৭ জন বরিশাল বিভাগের, ২২৮ জন সিলেট বিভাগের, ২৩৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১০৮ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

করোনা মোকাবিলায় যেখানে যেখানে ঘাটতি রয়েছে সেগুলো পূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, রোগী শনাক্ত করে তাকে আইসোলেট করা এবং তাদের কন্ট্যাক্টে যারা রয়েছেন তাদের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। এটা একেবারেই শহরাঞ্চলে হচ্ছে না, গ্রামে কিছুটা হচ্ছে। তবে এখন হাল ছেড়ে দেয়ার মতো কিছুটা পরিস্থিতি হয়েছে। কারণ তাদের খাওয়াতে হবে, চাকরি যেন না যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সহায়তা দিতে হবে। এক্ষেত্রে কেবল এগুলো প্রচার করলেই হবে না। মাস্ক বিতরণ করা, যেসব জায়গায় হাত ধোয়ার মতো সুবিধা নেই, সেখানে এসবের ব্যবস্থা করতে হবে। এরসঙ্গে যুক্ত রয়েছে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা উন্নত করার বিষয়টি।

কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশেও পুনরায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। আর সেজন্য দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি সংক্রমিত হলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার মতো প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। তবে সরকারকে এক্ষেত্রে কী কী পরামর্শ দেবে সে বিষয়ে আগামী সোম বা মঙ্গলবার কমিটি বৈঠক করবে জানান তিনি। তিনি বলেন, তখনই আমরা আমাদের পরামর্শগুলো সবাইকে জানাবো। কারণ সেখানে সবাই মতামত দেবেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল এ বিষয়ে বলেন, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। একই সঙ্গে টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে, রোগী শনাক্ত করে আইসোলেশন করতে হবে, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করে তাদের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। আর এখন চেষ্টা করতে হবে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা যায় কিনা, এটা এখন অ্যাডিশনাল।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা ৯ লাখ ৮৯ হাজার পেরিয়ে গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু ভারত ও পাকিস্তানে মৃত্যুর সংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতে মোট মৃত্যু ৯৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজারের বেশি মানুষের।

বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ২৬ লাখ ছাড়িয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ২৫ লাখ মানুষ। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যার দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৮তম অবস্থানে।

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৯ মহররম ১৪৪২, ১০ আশ্বিন ১৪২৭

দেশে ২৪ ঘণ্টায়

করোনায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু শনাক্ত ১২৭৫

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন ও নারী ১০ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ হাজার ১৬১ জনে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর এই ভয়ঙ্কর থাবা কবে নাগাদ বিশ্বে নিয়ন্ত্রণে আসবে তা নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। আমেরিকা, চীন ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি করছে। বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ”ব্বিশ ঘণ্টায় ১০৫টি পরীক্ষাগারে ১০ হাজার ২৬১টি নমুনা সংগ্রহ ও ১০ হাজার ৬৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৭৫ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৫৯ হাজার ১৪৮ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯ হাজার ৪৬০টি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত চব্বিশ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭১৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৭০ হাজার ৪৯১ জনে। চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ৩১ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৯৯৬ জন (৭৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ১৬৫ জন (২২ দশমিক ৫৭ শতাংশ)।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুই, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২৩ জন। বিভাগ অনুযায়ী, ৩২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় চারজন ও সিলেট বিভাগে দুইজন রয়েছেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ১৬১ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৯৯৬ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ১৬৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৬১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৩৯৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৬৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৯৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১১৮ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। আর এর মধ্যে ২ হাজার ৫৬৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৬৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৩৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৩৩ জন খুলনা বিভাগের, ১৮৭ জন বরিশাল বিভাগের, ২২৮ জন সিলেট বিভাগের, ২৩৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১০৮ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

করোনা মোকাবিলায় যেখানে যেখানে ঘাটতি রয়েছে সেগুলো পূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, রোগী শনাক্ত করে তাকে আইসোলেট করা এবং তাদের কন্ট্যাক্টে যারা রয়েছেন তাদের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। এটা একেবারেই শহরাঞ্চলে হচ্ছে না, গ্রামে কিছুটা হচ্ছে। তবে এখন হাল ছেড়ে দেয়ার মতো কিছুটা পরিস্থিতি হয়েছে। কারণ তাদের খাওয়াতে হবে, চাকরি যেন না যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সহায়তা দিতে হবে। এক্ষেত্রে কেবল এগুলো প্রচার করলেই হবে না। মাস্ক বিতরণ করা, যেসব জায়গায় হাত ধোয়ার মতো সুবিধা নেই, সেখানে এসবের ব্যবস্থা করতে হবে। এরসঙ্গে যুক্ত রয়েছে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা উন্নত করার বিষয়টি।

কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশেও পুনরায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। আর সেজন্য দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি সংক্রমিত হলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার মতো প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। তবে সরকারকে এক্ষেত্রে কী কী পরামর্শ দেবে সে বিষয়ে আগামী সোম বা মঙ্গলবার কমিটি বৈঠক করবে জানান তিনি। তিনি বলেন, তখনই আমরা আমাদের পরামর্শগুলো সবাইকে জানাবো। কারণ সেখানে সবাই মতামত দেবেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল এ বিষয়ে বলেন, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। একই সঙ্গে টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে, রোগী শনাক্ত করে আইসোলেশন করতে হবে, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করে তাদের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। আর এখন চেষ্টা করতে হবে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা যায় কিনা, এটা এখন অ্যাডিশনাল।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা ৯ লাখ ৮৯ হাজার পেরিয়ে গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু ভারত ও পাকিস্তানে মৃত্যুর সংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতে মোট মৃত্যু ৯৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজারের বেশি মানুষের।

বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ২৬ লাখ ছাড়িয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ২৫ লাখ মানুষ। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যার দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৮তম অবস্থানে।