শহিদুজ্জামান সেলিমের নাতনির চরিত্রে মিষ্টি হাসান

নির্মিত হলো নাটক ‘বিষফল’। সরকার মিডিয়া প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও পরিচালনা করেছেন লিটু করিম। গল্পের নাটরূপ দিয়েছেন আমিরুল ইসলাম। নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহিদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু, মিষ্টি হাসান প্রমুখ। মিষ্টি আহসান বলেন, ‘এই নাটকে সিনিয়র গুণী দুই শিল্পী শহিদুজ্জামান সেলিম ভাই ও ফজলুর রহমান বাবু ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা। এই দুইজনের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। নতুন হিসেবে আমাকে অনেক সহযোহিতা করেছেন তারা। নাটকে আমি শহিদুজ্জামান সেলিম ভাইয়ে পালিত নাতনীর চরিত্রে অভিনয় করেছি।’

গল্পে দেখা যায় রশিদ সাহেবের ছেলে বিদেশ থাকে, এক পালিত নাতনী তার দেখাশোনা করে। কিন্তু একসময় লশিদ সাহেবে ছেলে তাকে বিদেশে নিয়ে যাতে চায়। রশিদ সাব তার বন্ধু অসহায় রিয়াজ মাস্টারের কাছে তার ভিটে ও পালিত নাতনিকে বুঝিয়ে দিয়ে যায়। রশিদ সাহেবের বাড়ির দেয়াল ঘেষেই তার বন্ধু রিয়াজ মাস্টারের বাড়ি। রিয়াজ সাহেব সৎ এবং অস্বচ্ছল একজন স্কুল মাস্টার। এক ছেলে এক মেয়ে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে পারভেজকে রিয়াজ মাস্টার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে বিদেশে লেখাপড়া করতে পাঠিয়েছিলেন। পারভেজ লেখাপড়া শেষ করে বিয়ে করে বিদেশে সংসার পেতেছে। দেশে ফেরার ইচ্ছে তার নেই, বাবা-মা’র খোঁজ-খবরও বেশি একটা রাখে না। অপরদিকে মেয়ে মুক্তা স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ত। রিয়াজ মাস্টারের সংসার চলে সামান্য পেনশন আর টিউশনির টাকায়। চেলের ঘরের নাতনী পতœীকে রিয়াজ মাস্টার দূর থেকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসেন। মাঝে-মধ্যে বন্ধু রশিদের স্মার্টফোনে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। ছেলে পারভেজ চাকরী আর সংসার নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে মা-বাবার খোঁজ নেবার সময় হয় না। মেয়ে মুক্তা দেশে থাকলেও মা-বাবাকে কোন ধরণের সহযোগিতা করে না। একসময় মা রাহেলা বেগমের দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায়, রিয়াজ মাস্টার স্ত্রীর বাঁচাতে ছেলেমেয়েদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে ব্যর্থ হন। উপায় না দেখে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ভিটে মাটি বিক্র করেন রিয়াজ মাস্টার নিঃস্ব হন। তবুও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেন না।

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০ , ২৫ সফর ১৪৪২, ২৮ আশ্বিন ১৪২৭

শহিদুজ্জামান সেলিমের নাতনির চরিত্রে মিষ্টি হাসান

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

নির্মিত হলো নাটক ‘বিষফল’। সরকার মিডিয়া প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও পরিচালনা করেছেন লিটু করিম। গল্পের নাটরূপ দিয়েছেন আমিরুল ইসলাম। নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহিদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু, মিষ্টি হাসান প্রমুখ। মিষ্টি আহসান বলেন, ‘এই নাটকে সিনিয়র গুণী দুই শিল্পী শহিদুজ্জামান সেলিম ভাই ও ফজলুর রহমান বাবু ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা। এই দুইজনের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। নতুন হিসেবে আমাকে অনেক সহযোহিতা করেছেন তারা। নাটকে আমি শহিদুজ্জামান সেলিম ভাইয়ে পালিত নাতনীর চরিত্রে অভিনয় করেছি।’

গল্পে দেখা যায় রশিদ সাহেবের ছেলে বিদেশ থাকে, এক পালিত নাতনী তার দেখাশোনা করে। কিন্তু একসময় লশিদ সাহেবে ছেলে তাকে বিদেশে নিয়ে যাতে চায়। রশিদ সাব তার বন্ধু অসহায় রিয়াজ মাস্টারের কাছে তার ভিটে ও পালিত নাতনিকে বুঝিয়ে দিয়ে যায়। রশিদ সাহেবের বাড়ির দেয়াল ঘেষেই তার বন্ধু রিয়াজ মাস্টারের বাড়ি। রিয়াজ সাহেব সৎ এবং অস্বচ্ছল একজন স্কুল মাস্টার। এক ছেলে এক মেয়ে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে পারভেজকে রিয়াজ মাস্টার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে বিদেশে লেখাপড়া করতে পাঠিয়েছিলেন। পারভেজ লেখাপড়া শেষ করে বিয়ে করে বিদেশে সংসার পেতেছে। দেশে ফেরার ইচ্ছে তার নেই, বাবা-মা’র খোঁজ-খবরও বেশি একটা রাখে না। অপরদিকে মেয়ে মুক্তা স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ত। রিয়াজ মাস্টারের সংসার চলে সামান্য পেনশন আর টিউশনির টাকায়। চেলের ঘরের নাতনী পতœীকে রিয়াজ মাস্টার দূর থেকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসেন। মাঝে-মধ্যে বন্ধু রশিদের স্মার্টফোনে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। ছেলে পারভেজ চাকরী আর সংসার নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে মা-বাবার খোঁজ নেবার সময় হয় না। মেয়ে মুক্তা দেশে থাকলেও মা-বাবাকে কোন ধরণের সহযোগিতা করে না। একসময় মা রাহেলা বেগমের দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায়, রিয়াজ মাস্টার স্ত্রীর বাঁচাতে ছেলেমেয়েদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে ব্যর্থ হন। উপায় না দেখে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ভিটে মাটি বিক্র করেন রিয়াজ মাস্টার নিঃস্ব হন। তবুও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেন না।