হস্তান্তর হয়নি বাণিজ্য মেলার নতুন ভেন্যু

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পরিবর্তে পূর্বাচলের ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’-এ অনুষ্ঠিত হবে। তবে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত থাকলেও এখন চীনা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক্সিবিশন সেন্টারটি বুঝে পায়নি সরকার।

জানা গেছে, চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অন্যান্য বছরের মতো বছরের শুরুতে বসছে না আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে (১৭ মার্চ) কেন্দ্র করে মাসব্যাপী এ মেলা বসবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পরিবর্তে মেলার ভেন্যু করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণখালীর বাগরাইয়াটের (পূর্বাচলে) ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’কে। বাণিজ্য মেলাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে ২০১৫ সালে চীনের সহায়তায় ৭৯৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। চীনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার বুঝে পাওয়ার কথা ছিল। তবে চায়না প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতার জন্য এখনও সেটি বুঝে পায়নি সরকার। এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি। তারা বুঝে নেবে। এই মাসেই হস্তান্তর হয়ে যাওয়ার কথা। আমার মনে হয় মেজর পার্টটা বুঝে নিয়েছে। হয়তো এক-দুই দিন এদিক-সেদিক হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ বছর ধরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের অস্থায়ী জমিতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

প্রতি বছর জানুয়ারির ১ তারিখ প্রধানমন্ত্রী এ মেলার উদ্বোধন করেন। এবার পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বসবে এই মেলা। ২০ একর (৮.১ হেক্টর) জমিতে এই প্রদর্শনী সেন্টার করেছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএসসিইসি)। এটি বাংলাদেশ ও চীনের একটি যৌথ প্রকল্প। ৭৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের ৬২৫ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে চায়না এইড।

রবিবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

হস্তান্তর হয়নি বাণিজ্য মেলার নতুন ভেন্যু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পরিবর্তে পূর্বাচলের ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’-এ অনুষ্ঠিত হবে। তবে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত থাকলেও এখন চীনা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক্সিবিশন সেন্টারটি বুঝে পায়নি সরকার।

জানা গেছে, চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অন্যান্য বছরের মতো বছরের শুরুতে বসছে না আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে (১৭ মার্চ) কেন্দ্র করে মাসব্যাপী এ মেলা বসবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পরিবর্তে মেলার ভেন্যু করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণখালীর বাগরাইয়াটের (পূর্বাচলে) ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’কে। বাণিজ্য মেলাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে ২০১৫ সালে চীনের সহায়তায় ৭৯৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। চীনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার বুঝে পাওয়ার কথা ছিল। তবে চায়না প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতার জন্য এখনও সেটি বুঝে পায়নি সরকার। এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি। তারা বুঝে নেবে। এই মাসেই হস্তান্তর হয়ে যাওয়ার কথা। আমার মনে হয় মেজর পার্টটা বুঝে নিয়েছে। হয়তো এক-দুই দিন এদিক-সেদিক হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ বছর ধরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের অস্থায়ী জমিতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

প্রতি বছর জানুয়ারির ১ তারিখ প্রধানমন্ত্রী এ মেলার উদ্বোধন করেন। এবার পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বসবে এই মেলা। ২০ একর (৮.১ হেক্টর) জমিতে এই প্রদর্শনী সেন্টার করেছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএসসিইসি)। এটি বাংলাদেশ ও চীনের একটি যৌথ প্রকল্প। ৭৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের ৬২৫ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে চায়না এইড।