বশেমুরবিপ্রবিতে বিভাগীয় সভাপতির বিরুদ্ধে প্রভাষককে নিগ্রহের অভিযোগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি বিতান খানমের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক প্রভাষককে শারীরিক নিগ্রহ এবং হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী টি.এন. সোনিয়া আজাদ রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। গত ৩০ নভেম্বর রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া ওই আবেদনপত্রে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, গত ২৯ নভেম্বর লোক প্রশাসন বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সভা চলাকালীন সময়ে একটি বিষয়ে মতবিরোধ হলে বিতান খানম তাকে তার টেবিলে থাকা পেপার ওয়েট ,সীল প্যড ও স্টাপ্লার মেশিন ছুড়ে মারেন এবং বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এছাড়া ইতোপূর্বে বিতান খানম তাকে মাথা কেটে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন। উক্ত আবেদনপত্রে সোনিয়া আজাদ আরও জানান, এর আগেও বিতান খানম তাকে ভয়াবহ মানসিক নির্যাতন করেছিলেন এবং ওই সময়ে বিষয়টি তিনি শিক্ষক সমিতিকে অবহিত করেছিলেন। শিক্ষক সমিতি তখন বিষয়টি সুরাহাও করে দিয়েছিল কিন্তু এরপরও বিতান খানম উদ্দেশ্যমূলকভাবে বারবার তার ওপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রেখেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিতান খানমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিতান খানম সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী দুই শিক্ষক মো. নাসিরউদ্দিন, মো. হাশেম রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা হুমকি প্রদানের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। এদিকে ভুক্তভোগী সোনিয়া আজাদ অভিযোগ করেন, তার আবেদনে প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও তদন্ত কমিটিতে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এর ফলে তদন্ত প্রতিবেদন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন এবং তদন্ত কমিটিতে বিতর্কিত কেউ থাকলে তদন্ত কমিটিতে পরিবর্তন আনা হবে।’

মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২১ , ২১ পৌষ ১৪২৭, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

বশেমুরবিপ্রবিতে বিভাগীয় সভাপতির বিরুদ্ধে প্রভাষককে নিগ্রহের অভিযোগ

সংবাদদাতা, বশেমুরবিপ্রবি (গোপালগঞ্জ)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি বিতান খানমের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক প্রভাষককে শারীরিক নিগ্রহ এবং হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী টি.এন. সোনিয়া আজাদ রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। গত ৩০ নভেম্বর রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া ওই আবেদনপত্রে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, গত ২৯ নভেম্বর লোক প্রশাসন বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সভা চলাকালীন সময়ে একটি বিষয়ে মতবিরোধ হলে বিতান খানম তাকে তার টেবিলে থাকা পেপার ওয়েট ,সীল প্যড ও স্টাপ্লার মেশিন ছুড়ে মারেন এবং বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এছাড়া ইতোপূর্বে বিতান খানম তাকে মাথা কেটে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন। উক্ত আবেদনপত্রে সোনিয়া আজাদ আরও জানান, এর আগেও বিতান খানম তাকে ভয়াবহ মানসিক নির্যাতন করেছিলেন এবং ওই সময়ে বিষয়টি তিনি শিক্ষক সমিতিকে অবহিত করেছিলেন। শিক্ষক সমিতি তখন বিষয়টি সুরাহাও করে দিয়েছিল কিন্তু এরপরও বিতান খানম উদ্দেশ্যমূলকভাবে বারবার তার ওপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রেখেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিতান খানমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিতান খানম সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী দুই শিক্ষক মো. নাসিরউদ্দিন, মো. হাশেম রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা হুমকি প্রদানের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। এদিকে ভুক্তভোগী সোনিয়া আজাদ অভিযোগ করেন, তার আবেদনে প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও তদন্ত কমিটিতে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এর ফলে তদন্ত প্রতিবেদন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন এবং তদন্ত কমিটিতে বিতর্কিত কেউ থাকলে তদন্ত কমিটিতে পরিবর্তন আনা হবে।’