এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ান

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডারের ছিদ্র থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, পুড়েছে অর্ধশতাধিক বসতঘর। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গত সোমবার ভোরে নব্বই কলোনিতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন যখন লাগে, সে সময় বসতঘরের অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘুমিয়ে ছিলেন। অন্যরা বেরোতে পারলেও একটি বাড়ির চারজন ঘরের ভেতরেই জীবন্ত দগ্ধ হন।

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনা নতুন নয়। প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে এবং এর মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। তাই এটি প্রতিকারের বিষয়টি জরুরি হয়ে পড়েছে।

নানা কারণে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাস সিলিন্ডারের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। সরকারের বিস্ফোরক অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি সিলিন্ডারের মেয়াদ ১০ থেকে ১৫ বছর। মেয়াদ শেষের পরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। তাই মেয়াদ শেষ হলে সেগুলো বাতিল করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে কত বছর ধরে একটি সিলিন্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে, ব্যবহারকারীদের কাছে তার হিসাব থাকে না। যেসব গ্রাহক সিলিন্ডার ব্যবহার করেন কিংবা মাঠপর্যায়ে যারা ডিলার তাদের অনেকেই সিলিন্ডারের ভালোমন্দ বুঝতে পারেন না। এ অজ্ঞতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। আবার সিলিন্ডার ভালো থাকলেও নিম্নমানের রেগুলেটর ব্যবহার করা হলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। গ্যাসের চুলা ব্যবহারে সতর্কতা ও সচেতনতার অভাবে দুর্ঘটনা ঘটে।

দেশে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই এর নিরাপত্তার বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় সিলিন্ডার পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ১১ হাজার গ্যাস সিলিন্ডার পরীক্ষা করে সেগুলোর মধ্য থেকে আট হাজার গ্যাস সিলিন্ডার বাতিল করা হয়। অর্থাৎ বেশিরভাগ সিলিন্ডারই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

গ্যাস সিলিন্ডারের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এবং নিয়মিত পুনঃপরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপদে গ্যাস সিলিন্ডার কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, কীভাবে এগুলোর ব্যবস্থাপনা করতে হয়, সেটা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।

এলপিজি সেবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বাজারীকরণ এবং মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে কোন আইন বা নীতিমালা নেই। এক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দরকার। রেগুলেটরি অথরিটির মাধ্যমে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১ , ২৯ পৌষ ১৪২৭, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ান

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডারের ছিদ্র থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, পুড়েছে অর্ধশতাধিক বসতঘর। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গত সোমবার ভোরে নব্বই কলোনিতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন যখন লাগে, সে সময় বসতঘরের অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘুমিয়ে ছিলেন। অন্যরা বেরোতে পারলেও একটি বাড়ির চারজন ঘরের ভেতরেই জীবন্ত দগ্ধ হন।

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনা নতুন নয়। প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে এবং এর মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। তাই এটি প্রতিকারের বিষয়টি জরুরি হয়ে পড়েছে।

নানা কারণে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাস সিলিন্ডারের নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। সরকারের বিস্ফোরক অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি সিলিন্ডারের মেয়াদ ১০ থেকে ১৫ বছর। মেয়াদ শেষের পরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। তাই মেয়াদ শেষ হলে সেগুলো বাতিল করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে কত বছর ধরে একটি সিলিন্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে, ব্যবহারকারীদের কাছে তার হিসাব থাকে না। যেসব গ্রাহক সিলিন্ডার ব্যবহার করেন কিংবা মাঠপর্যায়ে যারা ডিলার তাদের অনেকেই সিলিন্ডারের ভালোমন্দ বুঝতে পারেন না। এ অজ্ঞতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। আবার সিলিন্ডার ভালো থাকলেও নিম্নমানের রেগুলেটর ব্যবহার করা হলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। গ্যাসের চুলা ব্যবহারে সতর্কতা ও সচেতনতার অভাবে দুর্ঘটনা ঘটে।

দেশে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই এর নিরাপত্তার বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় সিলিন্ডার পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ১১ হাজার গ্যাস সিলিন্ডার পরীক্ষা করে সেগুলোর মধ্য থেকে আট হাজার গ্যাস সিলিন্ডার বাতিল করা হয়। অর্থাৎ বেশিরভাগ সিলিন্ডারই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

গ্যাস সিলিন্ডারের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এবং নিয়মিত পুনঃপরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপদে গ্যাস সিলিন্ডার কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, কীভাবে এগুলোর ব্যবস্থাপনা করতে হয়, সেটা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।

এলপিজি সেবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বাজারীকরণ এবং মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে কোন আইন বা নীতিমালা নেই। এক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দরকার। রেগুলেটরি অথরিটির মাধ্যমে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।