বেড়েছে জরিমানার অঙ্ক, কমেনি দুর্ঘটনা

দেশব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে পরিবহন আইন করাসহ নানা পদক্ষেপ নেয়ার পরও দুর্ঘটনা কমছে না। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছেন। ২০১৬ সাল থেকে গেল ২০২০ সাল পর্যন্ত সারাদেশে ১৬ হাজারেরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ১৫ হাজার ৬শ’ ৬৭ জন মানুষ মারা গেছে। আহত বা পঙ্গুত্ববরণ করছে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতে, গত ৫ বছরে যানবাহনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে (প্রসিকিউশন) ৬৩২ কোটি ৫৯ লাখ ৯৬৬ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। জরিমানার বিষয়টি ট্রাফিক বিভাগ কিছুটা বিবেচনা করে জরিমানা এখনও কম নেয়। নতুন আইনটি বাস্তবায়নে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছেন।

ট্রাফিক বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন আইন কেউ অমান্য করলে মামলা ও জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে কিছু মামলা স্পটে জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পরিশোধ না করলে ২১ দিন সময় দেয়া হয়। এরমধ্যে টাকা জমা না দিলে পরবর্তীতে ৮১ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা না দিলে আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা ও জরিমানা করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালে লকডাউন, যানবাহন কম চলাচলসহ নানা কারণে জরিমানা কম হয়েছে। এ সংখ্যা ৮৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর ২০১৯ সালে জরিমানা করা হয়েছে ১৬৬ কোটি, ৪১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৬০ টাকা।

অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ২ হাজার ৫শ’ ৬৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছে ২৪৬৩ জন। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে ২১৩৪ জন। ২০১৭ সালে ২৫৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১৮৯৮ জন।

২০১৮ সালে ২৬০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছে ১৯২০ জন।

২০১৯ সালে ৪১৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছে ৪৪১১ জন।

২০২০ সালে ৪১৯৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯১৮ জনের মৃত্যু ও ৩৮২৬ জন আহত হয়েছে।

এ হিসাবে গত ৫ বছরে ১৬ হাজার ৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ হাজার ৬শ’ ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে ১৪ হাজার ১৮৯ জন।

জরিমানা : ২০১৬ সালে ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৮১২টি (প্রসিকিউশন) অভিযোগের ভিত্তিতে ৮৪ কোটি ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬১ টাকা জরিমানা। ২০১৭ সালে ২২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫২টি অভিযোগে ৯৯ কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ টাকা জরিমানা।

২০১৮ সালে ৩৩ লাখ ২৯ হাজার ২৬২টি অভিযোগে ১৯৬ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৭ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

২০১৯ সালে ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭১টি অভিযোগে ১৬৬ কোটি ৪১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ২০২০ সালে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি অভিযোগে ৮৫ কোটি ৮৬ লাখ ৬১ হাজার ৯৮১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ হিসাবে গত ৫ বছরে ৬৩২ কোটি ৫৯ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ হিসাবে গত ৫ বছরে সারাদেশে ১৬ হাজার ৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ হাজার ৬৬৭ জন নিহত ও ১৪ হাজার ১৮৯ জন আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করে দিন কাটছেন। গত বছর করোনাকালীন লকডাউন, যানবাহন কম চলাচলসহ বিভিন্ন কারণে মামলা ও জরিমানা কম হয়েছে।

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সড়ক পরিহন আইন না মানা ও জনসচেতনতার অভাবে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে দুর্ঘটনা শতকরা ৩০ ভাগ, পথচারী অসতর্ক অবস্থায় রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় মারা যায় শতকরা ২০ ভাগ। বড় গাড়ি থেকে ছোট অটোরিকশা (সিএনজি) ধাক্কা দেয়ার ঘটনায় শতকরা ২২ জনের মৃত্যু হয়। গাছে ধাক্কা লেগে বা ব্রেক ফেল করে উল্টে যাওয়ার কারণে শতকরা ৫ ভাগ মানুষ মারা যায়। দাঁড়ানো গাড়িতে ধাক্কা বা আঘাতে সড়ক দুর্ঘটনার শতকরা ৩ ভাগ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আর দুই গাড়ির পাশাপাশি চাপা দেয়া বা ঘর্ষণের ঘটনায় শতকরা ৯ ভাগ মানুষ মারা যায়। আর রাস্তার ওপর গাছে আঘাতের কারণে শতকরা ২ ভাগ মানুষ মারা যাচ্ছে।

অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ ও সরকারি আইন মেনে যানচলাচল ও জনসচেতনতা বাড়লে দুর্ঘটনা কমতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

জরিমানা সম্পর্কে ট্রাফিক বিভাগের একজন ডিসি বলেন, সড়ক আইন কার্যকর হচ্ছে। তবে জরিমানার বিষয়টি আইন অনুযায়ী করা হলেও ট্রাফিক বিভাগ থেকে কিছুটা বিবেচনা করে ছাড় দেয়া হয়। তাও অপরাধের ধরন বা মাত্রা বিবেচনা করে জরিমানা কমানো ও বাড়ানো হচ্ছে। এরমধ্যে প্রথম অপরাধ করলে এক রকম জরিমানা ও দ্বিতীয় অপরাধের সময় জরিমানা বাড়ানো হয়। তৃতীয় অপরাধে বাড়ানো হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে জরিমানা বিবেচনা করে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়। আর করোনার কারণে গত বছর অনেক যানবাহন কম চলাচল করেছে। মামলা কম হয়েছে। তাই জরিমানা তুলনামূলক কম হয়েছে।

উল্লেখ্য, সড়কে যানবাহনে শৃঙ্খলা আনতে ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়। তা জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। আইনে কারাদণ্ডের পাশাপাশি সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ১ নভেম্বর ২০১৯ থেকে আইনটি কার্যকর শুরু হয়। কিন্তু এরপরও সবকিছু আগের মতো চলছে। মানছে না কেউ নিয়মকানুন।

আরও খবর
গ্যাস সিলিন্ডারে বেলুন ফোলানো বন্ধে অভিযান চালান
করোনায় দেশের অর্থনীতির চাকা সচল বিশ্বে অনন্য উদাহরণ সরকারি দল
বিএনপি টিকা ব্যবস্থাপনা নিয়েও অপপ্রচার চালাচ্ছে কাদের
টিকা গ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা বৃদ্ধির সুপারিশ
করোনার অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমোদন দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৭তম জন্মবার্ষিকী আজ
পর্দা নামলো ‘উনবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের’
রংপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
জেল সুপার রত্মা রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার
ভারতে পাচার করে দেয়া যুবকের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি
মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া সবচেয়ে বড় দুর্নীতি মির্জা ফখরুল
বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান হলেন এহছানে এলাহী
ঘন কুয়াশায় ফের ১২ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ ছিল
দৈনিক সংবাদে কোন সংবাদদাতা নিয়োগ করা হচ্ছে না

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১১ মাঘ ১৪২৭, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বেড়েছে জরিমানার অঙ্ক, কমেনি দুর্ঘটনা

বাকী বিল্লাহ

দেশব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে পরিবহন আইন করাসহ নানা পদক্ষেপ নেয়ার পরও দুর্ঘটনা কমছে না। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছেন। ২০১৬ সাল থেকে গেল ২০২০ সাল পর্যন্ত সারাদেশে ১৬ হাজারেরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ১৫ হাজার ৬শ’ ৬৭ জন মানুষ মারা গেছে। আহত বা পঙ্গুত্ববরণ করছে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতে, গত ৫ বছরে যানবাহনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে (প্রসিকিউশন) ৬৩২ কোটি ৫৯ লাখ ৯৬৬ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। জরিমানার বিষয়টি ট্রাফিক বিভাগ কিছুটা বিবেচনা করে জরিমানা এখনও কম নেয়। নতুন আইনটি বাস্তবায়নে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছেন।

ট্রাফিক বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন আইন কেউ অমান্য করলে মামলা ও জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে কিছু মামলা স্পটে জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পরিশোধ না করলে ২১ দিন সময় দেয়া হয়। এরমধ্যে টাকা জমা না দিলে পরবর্তীতে ৮১ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা না দিলে আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা ও জরিমানা করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালে লকডাউন, যানবাহন কম চলাচলসহ নানা কারণে জরিমানা কম হয়েছে। এ সংখ্যা ৮৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর ২০১৯ সালে জরিমানা করা হয়েছে ১৬৬ কোটি, ৪১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৬০ টাকা।

অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ২ হাজার ৫শ’ ৬৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছে ২৪৬৩ জন। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে ২১৩৪ জন। ২০১৭ সালে ২৫৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১৮৯৮ জন।

২০১৮ সালে ২৬০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছে ১৯২০ জন।

২০১৯ সালে ৪১৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছে ৪৪১১ জন।

২০২০ সালে ৪১৯৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯১৮ জনের মৃত্যু ও ৩৮২৬ জন আহত হয়েছে।

এ হিসাবে গত ৫ বছরে ১৬ হাজার ৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ হাজার ৬শ’ ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে ১৪ হাজার ১৮৯ জন।

জরিমানা : ২০১৬ সালে ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৮১২টি (প্রসিকিউশন) অভিযোগের ভিত্তিতে ৮৪ কোটি ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬১ টাকা জরিমানা। ২০১৭ সালে ২২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫২টি অভিযোগে ৯৯ কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ টাকা জরিমানা।

২০১৮ সালে ৩৩ লাখ ২৯ হাজার ২৬২টি অভিযোগে ১৯৬ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৭ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

২০১৯ সালে ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭১টি অভিযোগে ১৬৬ কোটি ৪১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ২০২০ সালে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি অভিযোগে ৮৫ কোটি ৮৬ লাখ ৬১ হাজার ৯৮১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ হিসাবে গত ৫ বছরে ৬৩২ কোটি ৫৯ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ হিসাবে গত ৫ বছরে সারাদেশে ১৬ হাজার ৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ হাজার ৬৬৭ জন নিহত ও ১৪ হাজার ১৮৯ জন আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করে দিন কাটছেন। গত বছর করোনাকালীন লকডাউন, যানবাহন কম চলাচলসহ বিভিন্ন কারণে মামলা ও জরিমানা কম হয়েছে।

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সড়ক পরিহন আইন না মানা ও জনসচেতনতার অভাবে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে দুর্ঘটনা শতকরা ৩০ ভাগ, পথচারী অসতর্ক অবস্থায় রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় মারা যায় শতকরা ২০ ভাগ। বড় গাড়ি থেকে ছোট অটোরিকশা (সিএনজি) ধাক্কা দেয়ার ঘটনায় শতকরা ২২ জনের মৃত্যু হয়। গাছে ধাক্কা লেগে বা ব্রেক ফেল করে উল্টে যাওয়ার কারণে শতকরা ৫ ভাগ মানুষ মারা যায়। দাঁড়ানো গাড়িতে ধাক্কা বা আঘাতে সড়ক দুর্ঘটনার শতকরা ৩ ভাগ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আর দুই গাড়ির পাশাপাশি চাপা দেয়া বা ঘর্ষণের ঘটনায় শতকরা ৯ ভাগ মানুষ মারা যায়। আর রাস্তার ওপর গাছে আঘাতের কারণে শতকরা ২ ভাগ মানুষ মারা যাচ্ছে।

অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ ও সরকারি আইন মেনে যানচলাচল ও জনসচেতনতা বাড়লে দুর্ঘটনা কমতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

জরিমানা সম্পর্কে ট্রাফিক বিভাগের একজন ডিসি বলেন, সড়ক আইন কার্যকর হচ্ছে। তবে জরিমানার বিষয়টি আইন অনুযায়ী করা হলেও ট্রাফিক বিভাগ থেকে কিছুটা বিবেচনা করে ছাড় দেয়া হয়। তাও অপরাধের ধরন বা মাত্রা বিবেচনা করে জরিমানা কমানো ও বাড়ানো হচ্ছে। এরমধ্যে প্রথম অপরাধ করলে এক রকম জরিমানা ও দ্বিতীয় অপরাধের সময় জরিমানা বাড়ানো হয়। তৃতীয় অপরাধে বাড়ানো হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে জরিমানা বিবেচনা করে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়। আর করোনার কারণে গত বছর অনেক যানবাহন কম চলাচল করেছে। মামলা কম হয়েছে। তাই জরিমানা তুলনামূলক কম হয়েছে।

উল্লেখ্য, সড়কে যানবাহনে শৃঙ্খলা আনতে ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়। তা জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। আইনে কারাদণ্ডের পাশাপাশি সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ১ নভেম্বর ২০১৯ থেকে আইনটি কার্যকর শুরু হয়। কিন্তু এরপরও সবকিছু আগের মতো চলছে। মানছে না কেউ নিয়মকানুন।