সেশনজট থেকে মুক্তি চাই

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থী প্রতি বছর ভর্তি পরিক্ষায় কৃতকার্য হয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন সেশনজটে নিঃশেষ হয়ে যায়। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই সেশনজটের কবলে পড়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। স্বল্প শিক্ষক, অপর্যাপ্ত ক্লাসরুমের কারণে যথাসময়ে পরীক্ষাগুলো হয় না, যার ফলে ভয়াবহ সেশনজটের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ২৪ মাস পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ জোটে নি। নিজস্ব ইনিস্টিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বহুবার সাক্ষাৎ ও দরখাস্ত দিলেও এর কোনো আশানুরূপ প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইনিস্টিটিউটের শিক্ষকগণ একে অন্যকে দোষারোপ করছেন। কিন্তু কাজের কাজটি করছেন না।

সম্প্রতি শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করেছিলেন। কিন্তু শিক্ষকদের অসহযোগিতার কারণে গত ২০ তারিখ আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, যে সমস্যাগুলোর কারণে এমন ভয়াবহ সেশনজট হচ্ছে তা সমাধান করুণ এবং দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা নিন।

মুরাদ হোসেন

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১ , ১৩ মাঘ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সেশনজট থেকে মুক্তি চাই

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থী প্রতি বছর ভর্তি পরিক্ষায় কৃতকার্য হয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন সেশনজটে নিঃশেষ হয়ে যায়। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই সেশনজটের কবলে পড়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। স্বল্প শিক্ষক, অপর্যাপ্ত ক্লাসরুমের কারণে যথাসময়ে পরীক্ষাগুলো হয় না, যার ফলে ভয়াবহ সেশনজটের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ২৪ মাস পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ জোটে নি। নিজস্ব ইনিস্টিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বহুবার সাক্ষাৎ ও দরখাস্ত দিলেও এর কোনো আশানুরূপ প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইনিস্টিটিউটের শিক্ষকগণ একে অন্যকে দোষারোপ করছেন। কিন্তু কাজের কাজটি করছেন না।

সম্প্রতি শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করেছিলেন। কিন্তু শিক্ষকদের অসহযোগিতার কারণে গত ২০ তারিখ আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, যে সমস্যাগুলোর কারণে এমন ভয়াবহ সেশনজট হচ্ছে তা সমাধান করুণ এবং দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা নিন।

মুরাদ হোসেন