দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮৭ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৫০৯ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫৩ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬১১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৬ জন।

দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৪ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬০টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৬৩৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৩০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ লাখ ১৫ হাজার ৫০৮টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ লাখ ২৭ হাজার ৩৩০টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৮টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, নারী তিনজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন এবং চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে একজন তিনজন রয়েছেন। তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৮ হাজার ৯৫৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৮ হাজার ৪০৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৫৫২ জন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৮৭ জনের মধ্যে ৬ হাজার ১২৭ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৬০ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৪৭১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ২৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯২৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪০১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ৪ হাজার ৫০৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৮৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৬০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪৮ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৩ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০১ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১ , ১৫ মাঘ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮৭ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৫০৯ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫৩ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬১১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৬ জন।

দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৪ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬০টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৬৩৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৩০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ লাখ ১৫ হাজার ৫০৮টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ লাখ ২৭ হাজার ৩৩০টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৮টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, নারী তিনজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন এবং চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে একজন তিনজন রয়েছেন। তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৮ হাজার ৯৫৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৮ হাজার ৪০৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৫৫২ জন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৮৭ জনের মধ্যে ৬ হাজার ১২৭ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৬০ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৪৭১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ২৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯২৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪০১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ৪ হাজার ৫০৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৮৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৬০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪৮ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৩ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০১ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।