কারাগারের অনিয়ম দুর্নীতি কবে বন্ধ হবে

বহুল সমালোচিত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার মাহমুদকে কাশিমপুর-১ কারাগারের কর্মমকর্তারা যেভাবে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন, তা জামাই আদরও ছাড়িয়ে যায়। আলোচ্য ঘটনায় স্পষ্টতই আইন ও বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর নেপথ্যে যে অর্থের লেনদেন ঘটেছে, তা বোঝার জন্যও বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারাগারে অনেক কর্মকর্তা ও রক্ষী মাদক কারবারেও জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে ক্যান্টিনের খাবার ও দর্শনী নিয়ে বাণিজ্য, বন্দিদের নির্যাতন করে অর্থ আদায়, বন্দিদের মোবাইল ও ল্যাপটপ ব্যবহার করতে দেয়াসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের, যা বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

যাদের ওপর কারাগারের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করার দায়িত্ব তাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। কখনও কোন অনিয়মের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়। দেশের কারাগারগুলোতে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে বন্দিরা সংশোধিত হচ্ছে নাকি আরও বেশি অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। দেশের সব কারাগারের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত হওয়া দরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কারাগারের সার্বিক পরিস্থিতিতে মনে হয় এটি অরক্ষিত এবং অপরাধীদের জন্য অভয়ারণ্য। এমন করুণ চিএ দ্রুত বদলাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

মীর ইমরান আলী

বুধবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২০ মাঘ ১৪২৭, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

কারাগারের অনিয়ম দুর্নীতি কবে বন্ধ হবে

বহুল সমালোচিত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার মাহমুদকে কাশিমপুর-১ কারাগারের কর্মমকর্তারা যেভাবে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন, তা জামাই আদরও ছাড়িয়ে যায়। আলোচ্য ঘটনায় স্পষ্টতই আইন ও বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর নেপথ্যে যে অর্থের লেনদেন ঘটেছে, তা বোঝার জন্যও বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারাগারে অনেক কর্মকর্তা ও রক্ষী মাদক কারবারেও জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে ক্যান্টিনের খাবার ও দর্শনী নিয়ে বাণিজ্য, বন্দিদের নির্যাতন করে অর্থ আদায়, বন্দিদের মোবাইল ও ল্যাপটপ ব্যবহার করতে দেয়াসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের, যা বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

যাদের ওপর কারাগারের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করার দায়িত্ব তাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। কখনও কোন অনিয়মের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়। দেশের কারাগারগুলোতে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে বন্দিরা সংশোধিত হচ্ছে নাকি আরও বেশি অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। দেশের সব কারাগারের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত হওয়া দরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কারাগারের সার্বিক পরিস্থিতিতে মনে হয় এটি অরক্ষিত এবং অপরাধীদের জন্য অভয়ারণ্য। এমন করুণ চিএ দ্রুত বদলাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

মীর ইমরান আলী