মজিদপুর-মোহনপুর সেতুটি সংস্কার করুন

কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার মজিদপুর টু মোহনপুর সংযোগ সড়কে একটি পুরোনো সেতু রয়েছে। এই সেতুর উপর দিয়ে মজিদপুর ও বালুয়াকান্দি থেকে মোহনপুর, বাটেরা, নন্দিরচর, দুধঘাটা ও দড়িগাঁওসহ আরও অনেক গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র ব্যবস্থা। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সেতুটি কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।

কিন্তু সেতুটি অনেক পুরোনো হওয়ায় সেতুটির নির্মাণকাজ আস্তে আস্তে খুলে পড়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেতুটির পিলারের ঢালাই খুলে পড়ে গিয়ে পিলারগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট পিলারের উপরে সুন্দরভাবে দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি। সেতুর উপড়ে দেখে মনেই হবে না এটা একটা ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। তবুও ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিনিয়তই যাতায়াত করছে অটো, সিএনজি, রিকশাসহ অনেক যানবাহন। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও একমাত্র পথ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই সবাই চলাচল করছে।

এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলাচল করতে করতে নিশ্চিত বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সেতুটির সংস্কার করতে হবে। এছাড়া মজিদপুর টু মোহনপুর সড়কটির পাকা করণের কাজ চলছে। সড়কটি অল্প সময়ের মধ্যে পাকা হয়ে যাবে। সড়কটি পাকা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙ্গে পড়লে রাস্তা পাকাকরণের স্বার্থকতা হারিয়ে যাবে। রাস্তা পাকা হবে ঠিকই কিন্তু তখন জনগণের কোন কাজে আসবে না। তাই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে, সাধারণ মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে ঝুঁকিযুক্ত এই সেতুটিকে সংস্কার করতে স্থানীয় সাংসদ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এমএ রহমান

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মজিদপুর-মোহনপুর সেতুটি সংস্কার করুন

কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার মজিদপুর টু মোহনপুর সংযোগ সড়কে একটি পুরোনো সেতু রয়েছে। এই সেতুর উপর দিয়ে মজিদপুর ও বালুয়াকান্দি থেকে মোহনপুর, বাটেরা, নন্দিরচর, দুধঘাটা ও দড়িগাঁওসহ আরও অনেক গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র ব্যবস্থা। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সেতুটি কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।

কিন্তু সেতুটি অনেক পুরোনো হওয়ায় সেতুটির নির্মাণকাজ আস্তে আস্তে খুলে পড়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেতুটির পিলারের ঢালাই খুলে পড়ে গিয়ে পিলারগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট পিলারের উপরে সুন্দরভাবে দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি। সেতুর উপড়ে দেখে মনেই হবে না এটা একটা ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। তবুও ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিনিয়তই যাতায়াত করছে অটো, সিএনজি, রিকশাসহ অনেক যানবাহন। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও একমাত্র পথ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই সবাই চলাচল করছে।

এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলাচল করতে করতে নিশ্চিত বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সেতুটির সংস্কার করতে হবে। এছাড়া মজিদপুর টু মোহনপুর সড়কটির পাকা করণের কাজ চলছে। সড়কটি অল্প সময়ের মধ্যে পাকা হয়ে যাবে। সড়কটি পাকা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙ্গে পড়লে রাস্তা পাকাকরণের স্বার্থকতা হারিয়ে যাবে। রাস্তা পাকা হবে ঠিকই কিন্তু তখন জনগণের কোন কাজে আসবে না। তাই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে, সাধারণ মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে ঝুঁকিযুক্ত এই সেতুটিকে সংস্কার করতে স্থানীয় সাংসদ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এমএ রহমান