করোনায় কমেছে পূজো দুশ্চিন্তায় প্রতিমা শিল্পীরা

কয়েকদিন পরেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা, বাণী ও সুরের দেবী সরস্বতী পূজো। ধর্মীয় বিধান অনুসারে সাদা রাজ হাঁসে চড়ে স্বর্গলোক থেকে বিদ্যা বাণী ও সুরের দেবী ধরণীতে আসেন। হিন্দু শাস্ত্রমতে, মাঘ মাসে শুক্ল পক্ষে পঞ্চমী তিথিতে দেবী বন্দনা করে প্রাণীকূলের ভক্তবৃন্দ। তবে এবার করোনার প্রকট সঙ্কটে উৎসবের আমেজে নিয়েছে ভিন্ন রুপ। পড়া মহল্লায় নেই পূজার আমেজ। দীর্ঘদিন বিদ্যাপীঠগুলো বন্ধ থাকায় অনেক অংশেই কমেছে পূজোর সংখ্যা। যেখানেও হচ্ছে। সেখানেও বাজেটের হয়েছে কাটছাট। এর প্রভার পড়েছে প্রতিমা নির্মাণেও। এ নিয়ে দুশ্চিনায় রয়েছে সাভারের শতাধিক প্রতিমা শিল্পীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাড়া মহল্লা ও স্কুল-কলেজের পূজোর সংখ্যা কম হওয়ায় প্রতিমা শিল্পীরা অলস সময় পাড় করছে। যারাও প্রতিমা নির্মাণ করছে তাদের মধ্যেও রয়েছে দুশ্চিন্তার ছায়া। সাভার দক্ষিণপাড়া মহল্লার প্রতিমা কারিগর রিপন জানান, কয়েকবছর পূর্বেও প্রতিমার বেশি অর্ডার পাওয়া যেত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গাপূজোও কম হয়েছে। সেই সঙ্গে সরস্বতী পূজোতেও অর্ডার নেই বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে নামা বাজার মহল্লার প্রতিমা শিল্পী দিপঙ্কর পাল জানান,‘এ বছর স্কুল-কলেজ বন্ধ। পাড়া-মহল্লার ক্লাবে পূজোর উদ্যোগ নেই। প্রতিবছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিমা বানাতেন তিনি। এবার স্কুল-কলেজের প্রতিমার অর্ডার না পেয়ে বাসা-বাড়ির জন্য ছোট পরিসরে প্রতিমা তৈরি করছেন বলে জানান তিনি। অন্যদিকে প্রতিমা কারিগর অপু পাল ক্ষোভ নিয়ে জানান, সারাবছরে সাভারে তিনটি পূূজোর প্রতিমার অর্ডার বেশি থাকে। কালী, দুর্গা ও সরস্বতী পূজোর প্রতিমা। কিন্তু এবার করোনার কারণে পূজার সংখ্যা কম। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্থ কষ্টে দিন কাটছে বলে জানান। এদিকে সীমিত আকারে উদযাপিত হচ্ছে সাভারে শর্তবর্ষীয় বিদ্যাপীঠ অধর চন্দ্র সরকারি হাই স্কুলে পূজো। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন পিটার গোমেজ জানান, ১৪ই ফেব্রুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা রয়েছে। সেই অনুসারে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে পূজো অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বরুণ ভৌমিক নয়ন জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবার পূজোর সংখ্যা কমেছে। সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেবীর কাছে রোগ ও করোনা মহামারীর থেকে মুক্তির জন্য আরাধনা করা হবে।

শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩০ মাঘ ১৪২৭, ৩০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

করোনায় কমেছে পূজো দুশ্চিন্তায় প্রতিমা শিল্পীরা

প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)

কয়েকদিন পরেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা, বাণী ও সুরের দেবী সরস্বতী পূজো। ধর্মীয় বিধান অনুসারে সাদা রাজ হাঁসে চড়ে স্বর্গলোক থেকে বিদ্যা বাণী ও সুরের দেবী ধরণীতে আসেন। হিন্দু শাস্ত্রমতে, মাঘ মাসে শুক্ল পক্ষে পঞ্চমী তিথিতে দেবী বন্দনা করে প্রাণীকূলের ভক্তবৃন্দ। তবে এবার করোনার প্রকট সঙ্কটে উৎসবের আমেজে নিয়েছে ভিন্ন রুপ। পড়া মহল্লায় নেই পূজার আমেজ। দীর্ঘদিন বিদ্যাপীঠগুলো বন্ধ থাকায় অনেক অংশেই কমেছে পূজোর সংখ্যা। যেখানেও হচ্ছে। সেখানেও বাজেটের হয়েছে কাটছাট। এর প্রভার পড়েছে প্রতিমা নির্মাণেও। এ নিয়ে দুশ্চিনায় রয়েছে সাভারের শতাধিক প্রতিমা শিল্পীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাড়া মহল্লা ও স্কুল-কলেজের পূজোর সংখ্যা কম হওয়ায় প্রতিমা শিল্পীরা অলস সময় পাড় করছে। যারাও প্রতিমা নির্মাণ করছে তাদের মধ্যেও রয়েছে দুশ্চিন্তার ছায়া। সাভার দক্ষিণপাড়া মহল্লার প্রতিমা কারিগর রিপন জানান, কয়েকবছর পূর্বেও প্রতিমার বেশি অর্ডার পাওয়া যেত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গাপূজোও কম হয়েছে। সেই সঙ্গে সরস্বতী পূজোতেও অর্ডার নেই বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে নামা বাজার মহল্লার প্রতিমা শিল্পী দিপঙ্কর পাল জানান,‘এ বছর স্কুল-কলেজ বন্ধ। পাড়া-মহল্লার ক্লাবে পূজোর উদ্যোগ নেই। প্রতিবছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিমা বানাতেন তিনি। এবার স্কুল-কলেজের প্রতিমার অর্ডার না পেয়ে বাসা-বাড়ির জন্য ছোট পরিসরে প্রতিমা তৈরি করছেন বলে জানান তিনি। অন্যদিকে প্রতিমা কারিগর অপু পাল ক্ষোভ নিয়ে জানান, সারাবছরে সাভারে তিনটি পূূজোর প্রতিমার অর্ডার বেশি থাকে। কালী, দুর্গা ও সরস্বতী পূজোর প্রতিমা। কিন্তু এবার করোনার কারণে পূজার সংখ্যা কম। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্থ কষ্টে দিন কাটছে বলে জানান। এদিকে সীমিত আকারে উদযাপিত হচ্ছে সাভারে শর্তবর্ষীয় বিদ্যাপীঠ অধর চন্দ্র সরকারি হাই স্কুলে পূজো। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন পিটার গোমেজ জানান, ১৪ই ফেব্রুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা রয়েছে। সেই অনুসারে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে পূজো অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বরুণ ভৌমিক নয়ন জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবার পূজোর সংখ্যা কমেছে। সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেবীর কাছে রোগ ও করোনা মহামারীর থেকে মুক্তির জন্য আরাধনা করা হবে।