সরকারি খাল দখল করে বসতঘর দোকান নির্মাণের মহোৎসব

ভোলার লালমোহন উপজেলাধীন ফরাজগঞ্জে খাল দখলের মহোৎসব চলছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদারকি না থাকায় দিন দিন দখল বেড়েই চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আনিচল মিয়ার বাজার এলাকায় খালের নাব্যতা রক্ষায় খনন কাজ চলছে। অপরদিকে খাল দখলে মেতেছে একটি চক্র।

স্থানীয় দোকানি আবু তাহের আবু তাহের তার টিনসেট দোকানটিকে আরসিসি পিলার করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। তার পাশেই রয়েছে আরও ১০টি দোকান। যা সম্পূর্ণ খালের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, মাত্র কিছুদিন আগে এখান দিয়ে খালটি খনন করা হয়েছে। তবে খাল দখলে থাকা দোকানিদের জন্য এ স্থানে সম্পূর্ণভাবে খননকাজ করতে পারেনি ঠিকাদার।

জানতে চাইলে দোকানি আবু তাহের বলেন, আমি একজনের কাছ থেকে দোকানটি কিনে নিয়েছি। এখন তা পুনর্নির্মাণ করছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করেছি। বাকি দোকানগুলোর ব্যাপারেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে স্থানীয়রা জানান, এসিল্যারে প্রতিনিধি চলে যাওয়ার পর পুনরায় কাজ শুরু করেছে দোকানি। এদিকে খাল দখলের চিত্র শুধু এ ইউনিয়নেই নয়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ চিত্র এখন লক্ষণীয়।

জানতে চাইলে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল নোমান বলেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। এদিকে খালটির ঐতিহ্য ও নাব্যতা রক্ষার্থে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩০ মাঘ ১৪২৭, ৩০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সরকারি খাল দখল করে বসতঘর দোকান নির্মাণের মহোৎসব

প্রতিনিধি, লালমোহন (ভোলা)

image

ভোলার লালমোহন উপজেলাধীন ফরাজগঞ্জে খাল দখলের মহোৎসব চলছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদারকি না থাকায় দিন দিন দখল বেড়েই চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আনিচল মিয়ার বাজার এলাকায় খালের নাব্যতা রক্ষায় খনন কাজ চলছে। অপরদিকে খাল দখলে মেতেছে একটি চক্র।

স্থানীয় দোকানি আবু তাহের আবু তাহের তার টিনসেট দোকানটিকে আরসিসি পিলার করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। তার পাশেই রয়েছে আরও ১০টি দোকান। যা সম্পূর্ণ খালের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, মাত্র কিছুদিন আগে এখান দিয়ে খালটি খনন করা হয়েছে। তবে খাল দখলে থাকা দোকানিদের জন্য এ স্থানে সম্পূর্ণভাবে খননকাজ করতে পারেনি ঠিকাদার।

জানতে চাইলে দোকানি আবু তাহের বলেন, আমি একজনের কাছ থেকে দোকানটি কিনে নিয়েছি। এখন তা পুনর্নির্মাণ করছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করেছি। বাকি দোকানগুলোর ব্যাপারেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে স্থানীয়রা জানান, এসিল্যারে প্রতিনিধি চলে যাওয়ার পর পুনরায় কাজ শুরু করেছে দোকানি। এদিকে খাল দখলের চিত্র শুধু এ ইউনিয়নেই নয়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ চিত্র এখন লক্ষণীয়।

জানতে চাইলে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল নোমান বলেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। এদিকে খালটির ঐতিহ্য ও নাব্যতা রক্ষার্থে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।