কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ

সমসাময়িক সময়ে আলোচিত বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করেছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ।

সংগঠনবিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে গতকাল নোয়াখালী জেলা আ’লীগ এই সুপারিশ করে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নোয়াখালী জেলা আ’লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আলম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি স্বাক্ষরিত জেলা আ’লীগের প্যাডে কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের সুপারিশের চিঠি গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো হয়।

জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশের চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিষয়টিকে সেনসিটিভ হিসেবে অবহিত করে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ চিঠিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা ও কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে গুরুতর আহত করায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সম্পর্কে অশালীন বক্তব্য ও আপত্তিজনক উক্তি, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লাইভে এসে সংগঠনবিরোধী অশোভনীয় মন্তব্য ও নেতা এবং কর্মীদের হুমকি প্রদান করার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।

বলা হয়, সংগঠনবিরোধী উল্লিখিত কারণ ও দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ করা হয়।

এ বিষয়ে বহু চেষ্টার পর রাত ৮.৫টায় আবদুল কাদের মির্জা জানান, তিনি কোন চিঠি পাননি। তাছাড়া গঠনতন্ত্র মতে যে কাউকে বহিষ্কার করার আগে শোকজ করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। এ ব্যাপারে তিনি আর কোন কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, যা বলার যথা সময় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।

রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৮ ফাল্গুন ১৪২৭ ৮ রজব ১৪৪২

কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

সমসাময়িক সময়ে আলোচিত বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করেছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ।

সংগঠনবিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে গতকাল নোয়াখালী জেলা আ’লীগ এই সুপারিশ করে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নোয়াখালী জেলা আ’লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আলম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি স্বাক্ষরিত জেলা আ’লীগের প্যাডে কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের সুপারিশের চিঠি গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো হয়।

জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশের চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিষয়টিকে সেনসিটিভ হিসেবে অবহিত করে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ চিঠিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা ও কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে গুরুতর আহত করায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সম্পর্কে অশালীন বক্তব্য ও আপত্তিজনক উক্তি, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লাইভে এসে সংগঠনবিরোধী অশোভনীয় মন্তব্য ও নেতা এবং কর্মীদের হুমকি প্রদান করার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।

বলা হয়, সংগঠনবিরোধী উল্লিখিত কারণ ও দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ করা হয়।

এ বিষয়ে বহু চেষ্টার পর রাত ৮.৫টায় আবদুল কাদের মির্জা জানান, তিনি কোন চিঠি পাননি। তাছাড়া গঠনতন্ত্র মতে যে কাউকে বহিষ্কার করার আগে শোকজ করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। এ ব্যাপারে তিনি আর কোন কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, যা বলার যথা সময় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।