মনিরামপুরে তিন সপ্তাহে ৩ হত্যা

মনিরামপুরে গত তিন সপ্তাহে ভিন্ন ঘটনায় তিন যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে চোর-ছিনতাইকারী সন্দেহে দুই ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অপরজনকে চোখে লাইট মারা বিবাদে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনটি ঘটনায় মনিরামপুর থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। পুলিশ জড়িত কয়েকজনকে আটক করেছে। হত্যার প্রথম ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ জানুয়ারি উপজেলার শিরিলি মদনপুর গ্রামে।

ওই গ্রামের আমিন মোড়লের ছেলে মুকুল হোসেন বাড়ির পাশে মাছের ঘেরে গেলে চোখে লাইট মারাকে কেন্দ্র করে এলাকার মোন্তাজ আলীর ছেলে টিপু সুলতানের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মোন্তাজ আলী ও টিপুসহ তাদের লোকজন পিটিয়ে ও কুপিয়ে মুকুলকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রাখে। পরে স্বজনরা তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিলে কতর্¦ব্যরত চিকিৎসক মুকুলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন মুকুলের বাবা। পুলিশ আসামীদের মধ্যে চার জনকে আটক করেছে। নিহত মুকুলের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে থানায় আটটি মামলা রয়েছে বলে জানাগেছে। মুকুলের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই জিয়াউল হক বলেছেন, মুকুল হত্যার ঘটনায় সাতজন এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে টিপু ও দীপু নামে দুইজন আদালতে খুনের দায় স্বীকার করেছেন। বাকি তিন আসামি এলাকা ছাড়া। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী সন্দেহে বোরহান কবির নামে দ্বাদশ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার মাসখানেক আগে থেকে ভয় পেয়ে মানষিক ভাবে অসুস্থ ছিলো বোরহান। নিহত বোরহান মণিরামপুর হাসপাতাল সংলগ্ন মোহনপুর গ্রামের আহসানুল কবিরের ছেলে। ঘটনার দিন সকালে সাইকেল চালিয়ে খালিয়া গ্রামে যাচ্ছিল বোরহান।

এছাড়া মণিরামপুরে পিটিয়ে হত্যার তৃতীয় ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে উপজেলার খোজালিপুর গ্রামে। ওই গ্রামের মশিয়ার গাজীর ছেলে আলিম দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া ছেলে মামুন হাসানকে মোবাইল চোর সন্দেহে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ১২ ঘণ্টা পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় বুধবার রাতে নিহতের বাবা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন।

পুলিশ জড়িত অভিযোগে একই এলাকার সোহাগ, আলতাফ ও লাভলুকে গ্রেফতার করেছে। মনিরামপুর থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, মনিরামপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। অপরাধ দমনে পুলিশ তৎপর রয়েছে। বিচ্ছিন্ন তিনটি হত্যাকা-ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের মধ্যে অনেককে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৯ ফাল্গুন ১৪২৭ ৯ রজব ১৪৪২

মনিরামপুরে তিন সপ্তাহে ৩ হত্যা

প্রতিনিধি, মনিরামপুর (যশোর)

মনিরামপুরে গত তিন সপ্তাহে ভিন্ন ঘটনায় তিন যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে চোর-ছিনতাইকারী সন্দেহে দুই ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অপরজনকে চোখে লাইট মারা বিবাদে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনটি ঘটনায় মনিরামপুর থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। পুলিশ জড়িত কয়েকজনকে আটক করেছে। হত্যার প্রথম ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ জানুয়ারি উপজেলার শিরিলি মদনপুর গ্রামে।

ওই গ্রামের আমিন মোড়লের ছেলে মুকুল হোসেন বাড়ির পাশে মাছের ঘেরে গেলে চোখে লাইট মারাকে কেন্দ্র করে এলাকার মোন্তাজ আলীর ছেলে টিপু সুলতানের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মোন্তাজ আলী ও টিপুসহ তাদের লোকজন পিটিয়ে ও কুপিয়ে মুকুলকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রাখে। পরে স্বজনরা তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিলে কতর্¦ব্যরত চিকিৎসক মুকুলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন মুকুলের বাবা। পুলিশ আসামীদের মধ্যে চার জনকে আটক করেছে। নিহত মুকুলের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে থানায় আটটি মামলা রয়েছে বলে জানাগেছে। মুকুলের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই জিয়াউল হক বলেছেন, মুকুল হত্যার ঘটনায় সাতজন এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে টিপু ও দীপু নামে দুইজন আদালতে খুনের দায় স্বীকার করেছেন। বাকি তিন আসামি এলাকা ছাড়া। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী সন্দেহে বোরহান কবির নামে দ্বাদশ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার মাসখানেক আগে থেকে ভয় পেয়ে মানষিক ভাবে অসুস্থ ছিলো বোরহান। নিহত বোরহান মণিরামপুর হাসপাতাল সংলগ্ন মোহনপুর গ্রামের আহসানুল কবিরের ছেলে। ঘটনার দিন সকালে সাইকেল চালিয়ে খালিয়া গ্রামে যাচ্ছিল বোরহান।

এছাড়া মণিরামপুরে পিটিয়ে হত্যার তৃতীয় ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে উপজেলার খোজালিপুর গ্রামে। ওই গ্রামের মশিয়ার গাজীর ছেলে আলিম দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া ছেলে মামুন হাসানকে মোবাইল চোর সন্দেহে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ১২ ঘণ্টা পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় বুধবার রাতে নিহতের বাবা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন।

পুলিশ জড়িত অভিযোগে একই এলাকার সোহাগ, আলতাফ ও লাভলুকে গ্রেফতার করেছে। মনিরামপুর থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, মনিরামপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। অপরাধ দমনে পুলিশ তৎপর রয়েছে। বিচ্ছিন্ন তিনটি হত্যাকা-ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের মধ্যে অনেককে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।