১৩ বছর পর রায় যাবজ্জীবন

চাটখিলের রামনরায়ণপুরে স্কুলছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পলাতক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। গত মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) জয়নাল আবদীন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শহীদ (৩০) ঘটনার পর থেকে পালাতক রয়েছেন।

আদালতের পিপি মামুনুর রশিদ লাভলু জানান, ২০০৭ সালের ২ মার্চ দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৬) ধর্ষণের শিকার হন। চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর গ্রামের মো. শহীদ তাকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে কৌশলে তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক বিয়ে করার চেষ্টা করে। তাতে ছাত্রী রাজি না হওয়ায় রাতে ছাত্রীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে শহীদ। ঘটনাটি স্থানীভাবে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। পরে বিচার না পেয়ে ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে প্রায় তিন মাস পর ২৪ জুন চাটখিল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

পিপি আরও জানায়, একই বছরের ২০ আগস্ট চাটখিল থানার উপপরিদর্শক ফারুক মৃধা অভিযুক্ত শহীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক চলে। সব শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে মামলার পলাতক আসামি মো. শহীদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আর তিন মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১২ ফাল্গুন ১৪২৭ ১২ রজব ১৪৪২

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ

১৩ বছর পর রায় যাবজ্জীবন

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

চাটখিলের রামনরায়ণপুরে স্কুলছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পলাতক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। গত মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) জয়নাল আবদীন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শহীদ (৩০) ঘটনার পর থেকে পালাতক রয়েছেন।

আদালতের পিপি মামুনুর রশিদ লাভলু জানান, ২০০৭ সালের ২ মার্চ দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৬) ধর্ষণের শিকার হন। চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর গ্রামের মো. শহীদ তাকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে কৌশলে তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক বিয়ে করার চেষ্টা করে। তাতে ছাত্রী রাজি না হওয়ায় রাতে ছাত্রীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে শহীদ। ঘটনাটি স্থানীভাবে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। পরে বিচার না পেয়ে ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে প্রায় তিন মাস পর ২৪ জুন চাটখিল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

পিপি আরও জানায়, একই বছরের ২০ আগস্ট চাটখিল থানার উপপরিদর্শক ফারুক মৃধা অভিযুক্ত শহীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক চলে। সব শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে মামলার পলাতক আসামি মো. শহীদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আর তিন মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।