বিমানের সাবেক ১৭ সিবিএ নেতার দুর্নীতি হাইকোর্টে নথি তলব

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৭ জন কালেক্টিভ বার্গেনিং এজেন্ট (সিবিএ) নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই নথি জমা দিতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ৯ মার্চ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে।

গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দুদক হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে জানিয়েছে যে, সিবিএ নেতারা দুদকে হাজির হয়ে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সত্যতার বিষয়ে প্রতিবেদনে কোন তথ্য নেই বলে আমরা হাইকোর্টকে জানিয়েছি। সে কারণে আদালত ওই ১৭ জনের বিষয়ে দুদকের তদন্তের নথি দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ বিমানের ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয় তদন্তের জন্য নোটিশ দেয় দুদক। পরে সিবিএ নেতা মো. মসিকুর রহমান, আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারি, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার এবং মো. আবদুল আজিজ ওই নোটিশে দুদকে হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান। এদিকে ওই ১৭ নেতা হাজির হতে অস্বীকৃতি জানালেও দুদকের পক্ষে আর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পরে এ ঘটনায় বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর সেসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। সেই রিটের শুনানি নিয়ে ওই ১৭ জনের ক্ষেত্রে দুদকের পদক্ষেপের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৩ ফাল্গুন ১৪২৭ ১৩ রজব ১৪৪২

বিমানের সাবেক ১৭ সিবিএ নেতার দুর্নীতি হাইকোর্টে নথি তলব

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৭ জন কালেক্টিভ বার্গেনিং এজেন্ট (সিবিএ) নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই নথি জমা দিতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ৯ মার্চ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে।

গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দুদক হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে জানিয়েছে যে, সিবিএ নেতারা দুদকে হাজির হয়ে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সত্যতার বিষয়ে প্রতিবেদনে কোন তথ্য নেই বলে আমরা হাইকোর্টকে জানিয়েছি। সে কারণে আদালত ওই ১৭ জনের বিষয়ে দুদকের তদন্তের নথি দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ বিমানের ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয় তদন্তের জন্য নোটিশ দেয় দুদক। পরে সিবিএ নেতা মো. মসিকুর রহমান, আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারি, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার এবং মো. আবদুল আজিজ ওই নোটিশে দুদকে হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান। এদিকে ওই ১৭ নেতা হাজির হতে অস্বীকৃতি জানালেও দুদকের পক্ষে আর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পরে এ ঘটনায় বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর সেসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। সেই রিটের শুনানি নিয়ে ওই ১৭ জনের ক্ষেত্রে দুদকের পদক্ষেপের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।