প্রাক বাজেট আলোচনায় ৭ দফা প্রস্তাব বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে ৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছে রংপুর জেলা বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি। সম্প্রতি রংপুর নগরীর আরডিআরএস ভবনের রোকেয়া হলে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

রংপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) আলমগীর হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস নীতি ও আইসিটি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নীতি) মাসুদ সাদিক প্রমুখ।

উন্মুক্ত আলোচনায় রংপুর জেলা বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ মজিবর রহমান বলেন, বিড়ি শিল্পে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ২০ লক্ষাধিক শ্রমিক নিয়োজিত। বিশেষ করে সমাজের অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ, নদী ভাঙন ও চর এলাকার মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধির ফলে শিল্পটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি তৈরি করে বাজারজাত করছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। শিল্প ও শ্রমিক রক্ষার্থে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।

দাবিসমূহ হলোÑ সরকার নির্ধারিত মূল্যের কমে বিড়ি বিক্রয়ের প্রবণতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, জাল ব্যান্ডরোল সহজে শনাক্ত করা যায় এমন ব্যান্ডরোলের ব্যবস্থা করা, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর বৃদ্ধিকৃত ৪ টাকা মূল্যস্তর প্রত্যাহার করা, বিড়িতে অগ্রীম ১০ শতংশ আয়কর প্রত্যাহার করা, অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে জরিমানা মওকুফ করা, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও বাকিতে ব্যান্ডরোল ক্রয়ের সুযোগ দেয়া, বিড়িকে কুটির শিল্পের মর্যাদা প্রদান।

পরে রংপুর জেলা বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ মজিবর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের হাতে প্রস্তাবটি প্রদান করেন।

সোমবার, ০৮ মার্চ ২০২১ , ২৩ ফাল্গুন ১৪২৭ ২৩ রজব ১৪৪২

প্রাক বাজেট আলোচনায় ৭ দফা প্রস্তাব বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে ৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছে রংপুর জেলা বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি। সম্প্রতি রংপুর নগরীর আরডিআরএস ভবনের রোকেয়া হলে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

রংপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) আলমগীর হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস নীতি ও আইসিটি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নীতি) মাসুদ সাদিক প্রমুখ।

উন্মুক্ত আলোচনায় রংপুর জেলা বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ মজিবর রহমান বলেন, বিড়ি শিল্পে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ২০ লক্ষাধিক শ্রমিক নিয়োজিত। বিশেষ করে সমাজের অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ, নদী ভাঙন ও চর এলাকার মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধির ফলে শিল্পটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি তৈরি করে বাজারজাত করছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। শিল্প ও শ্রমিক রক্ষার্থে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।

দাবিসমূহ হলোÑ সরকার নির্ধারিত মূল্যের কমে বিড়ি বিক্রয়ের প্রবণতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, জাল ব্যান্ডরোল সহজে শনাক্ত করা যায় এমন ব্যান্ডরোলের ব্যবস্থা করা, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর বৃদ্ধিকৃত ৪ টাকা মূল্যস্তর প্রত্যাহার করা, বিড়িতে অগ্রীম ১০ শতংশ আয়কর প্রত্যাহার করা, অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে জরিমানা মওকুফ করা, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও বাকিতে ব্যান্ডরোল ক্রয়ের সুযোগ দেয়া, বিড়িকে কুটির শিল্পের মর্যাদা প্রদান।

পরে রংপুর জেলা বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ মজিবর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের হাতে প্রস্তাবটি প্রদান করেন।