‘জারা ফ্যাশনের’ বিরুদ্ধে ৩ দশমিক ৩৮ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ

অভিজাত ব্র্যান্ড ‘জারা ফ্যাশন’ থেকে ৩৯ কোটি টাকার গোপন বিক্রয় তথ্য উদ্ধার করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা। রাজধানীর গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির স্টলে অভিযান চালিয়ে এ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভ্যাট আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

ভ্যাট গোয়েন্দার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুলশানে জারা ফ্যাশনের স্টলে অভিজাত ও বিদেশি ব্র্যান্ডের জামাকাপড়, ঘড়ি, জুতা, ব্যাগ ও গহনাসহ নানা ধরনের পণ্য বিক্রয় করা হয়। কোন কোন পণ্যের দাম লাখ টাকারও উপরে। গত মঙ্গলবার ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক নাজমুন্নাহার কায়সার স্টলটিতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে অধিদপ্তরের গোয়েন্দা দল জারা ফ্যাশন থেকে হিসাবপত্র জব্দ করে আনেন।

গতকাল জব্দকৃত কাগজপত্র যাচাই করে প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৩৮ কোটি ৮১ লাখ টাকার বিক্রয় হিসাব গোপন করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এতে ব্যবসায়ী পর্যায়ে সরকারের ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি সংঘটিত হয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, একজন ক্রেতার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এই অভিযানটি চালানো হয়। ওই ক্রেতা লাখ টাকার পণ্য কিনলেও তাকে যথাযথ ভ্যাট চালান দেয়া হয়নি। পরে তিনি ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরে অভিযোগ দেন। অনুসন্ধানে অভিযানে প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতার নিকট থেকে ভ্যাট নিলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা করেনি। প্রতিষ্ঠানটি কোন কোন মাসে ৫০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রয় করলেও ভ্যাট সার্কেলে ঘোষণা দিয়েছে মাত্র ১০ লাখ টাকার হিসাব। ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্য এই তথ্য গোপন করা হয়। ভ্যাট আইন লংঘনের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও ভ্যাট গোয়েন্দার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১ , ১১ চৈত্র ১৪২৭ ১০ শাবান ১৪৪২

‘জারা ফ্যাশনের’ বিরুদ্ধে ৩ দশমিক ৩৮ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

অভিজাত ব্র্যান্ড ‘জারা ফ্যাশন’ থেকে ৩৯ কোটি টাকার গোপন বিক্রয় তথ্য উদ্ধার করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা। রাজধানীর গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির স্টলে অভিযান চালিয়ে এ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভ্যাট আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

ভ্যাট গোয়েন্দার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুলশানে জারা ফ্যাশনের স্টলে অভিজাত ও বিদেশি ব্র্যান্ডের জামাকাপড়, ঘড়ি, জুতা, ব্যাগ ও গহনাসহ নানা ধরনের পণ্য বিক্রয় করা হয়। কোন কোন পণ্যের দাম লাখ টাকারও উপরে। গত মঙ্গলবার ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক নাজমুন্নাহার কায়সার স্টলটিতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে অধিদপ্তরের গোয়েন্দা দল জারা ফ্যাশন থেকে হিসাবপত্র জব্দ করে আনেন।

গতকাল জব্দকৃত কাগজপত্র যাচাই করে প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৩৮ কোটি ৮১ লাখ টাকার বিক্রয় হিসাব গোপন করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এতে ব্যবসায়ী পর্যায়ে সরকারের ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি সংঘটিত হয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, একজন ক্রেতার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এই অভিযানটি চালানো হয়। ওই ক্রেতা লাখ টাকার পণ্য কিনলেও তাকে যথাযথ ভ্যাট চালান দেয়া হয়নি। পরে তিনি ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরে অভিযোগ দেন। অনুসন্ধানে অভিযানে প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতার নিকট থেকে ভ্যাট নিলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা করেনি। প্রতিষ্ঠানটি কোন কোন মাসে ৫০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রয় করলেও ভ্যাট সার্কেলে ঘোষণা দিয়েছে মাত্র ১০ লাখ টাকার হিসাব। ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্য এই তথ্য গোপন করা হয়। ভ্যাট আইন লংঘনের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও ভ্যাট গোয়েন্দার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।