ভারতে করোনা শনাক্ত প্রায় ২ কোটি

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্যাশবোর্ডে গতকাল পর্যন্ত দেখা যায়, গত বছরের শুরুর দিকে করোনা আঘাত হানার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪১৭ জনের। দেশজুড়ে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৯ জন। ভারতে টানা ১২ দিন ধরে তিন লাখের বেশি মানুষের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত শনিবার দেশটিতে প্রায় চার লাখের মতো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়, যা ছিল দৈনিক সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বে রেকর্ড। পর দিন রোববার ভারতে করোনায় রেকর্ড ৩ হাজার ৬৮৯ রোগীর মৃত্যু হয়। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে কড়া বিধিনিষেধের ঘোষণা দেয় হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও ওড়িশা রাজ্য। বিধিনিষেধের আওতায় হরিয়ানায় এক সপ্তাহ ও ওড়িশায় দুই সপ্তাহ কঠোর লকডাউন থাকবে। অন্যদিকে পাঞ্জাব সরকার জানায়, বিমান, রেল বা সড়কপথে রাজ্যে প্রবেশ করতে হলে করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হতে হবে। সিনেমা হল, বার ও জিমনেশিয়াম বন্ধ থাকবে। এছাড়া রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না; পার্সেল নেয়া যাবে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে অংশ নেয়া সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, এমবিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে নিয়োগ করা হতে পারে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কমপক্ষে ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করোনার বিস্তার ঠেকাতে নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে মোদি সরকার দেশজুড়ে জাতীয় লকডাউন দিতে নারাজ। এতে দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অধ্যাপক ও মহামারিবিদ ভ্রমর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার মতে, দেশের সব জনগণকে ঘরে থাকার নির্দেশ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণার মধ্য দিয়েই কেবল চলমান স্বাস্থ্যসেবার বিধ্বস্ত অবস্থা মোকাবিলা করা সম্ভব।’

মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১ , ২২ বৈশাখ ১৪২৮ ২২ রমজান ১৪৪২

ভারতে করোনা শনাক্ত প্রায় ২ কোটি

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ড্যাশবোর্ডে গতকাল পর্যন্ত দেখা যায়, গত বছরের শুরুর দিকে করোনা আঘাত হানার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪১৭ জনের। দেশজুড়ে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৯ জন। ভারতে টানা ১২ দিন ধরে তিন লাখের বেশি মানুষের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত শনিবার দেশটিতে প্রায় চার লাখের মতো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়, যা ছিল দৈনিক সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বে রেকর্ড। পর দিন রোববার ভারতে করোনায় রেকর্ড ৩ হাজার ৬৮৯ রোগীর মৃত্যু হয়। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে কড়া বিধিনিষেধের ঘোষণা দেয় হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও ওড়িশা রাজ্য। বিধিনিষেধের আওতায় হরিয়ানায় এক সপ্তাহ ও ওড়িশায় দুই সপ্তাহ কঠোর লকডাউন থাকবে। অন্যদিকে পাঞ্জাব সরকার জানায়, বিমান, রেল বা সড়কপথে রাজ্যে প্রবেশ করতে হলে করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হতে হবে। সিনেমা হল, বার ও জিমনেশিয়াম বন্ধ থাকবে। এছাড়া রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না; পার্সেল নেয়া যাবে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে অংশ নেয়া সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, এমবিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে নিয়োগ করা হতে পারে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কমপক্ষে ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করোনার বিস্তার ঠেকাতে নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে মোদি সরকার দেশজুড়ে জাতীয় লকডাউন দিতে নারাজ। এতে দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অধ্যাপক ও মহামারিবিদ ভ্রমর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার মতে, দেশের সব জনগণকে ঘরে থাকার নির্দেশ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণার মধ্য দিয়েই কেবল চলমান স্বাস্থ্যসেবার বিধ্বস্ত অবস্থা মোকাবিলা করা সম্ভব।’