বিক্রি বাড়াতে নানা কৌশল ব্যবসায়ীদের

দিচ্ছে বিভিন্ন মূল্য ছাড়

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে টানা লকডাউনের পর আবার খোলা হয়েছে মার্কেট ও শপিংমল। ঈদকে কেন্দ্র করে এই শপিং মল কতৃপক্ষ লাখ টাকার পণ্য তুলেছে দোকানগুলোতে। কিন্তু লকডাউনে তাদের লোকসান গুণতে হয়। এ লোকসান ঠেকিয়ে বিক্রি বাড়াতে বিভিন্ন পোশাকের দোকানগুলোতে চলছে মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতা।

কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউন চললেও ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি পালনের শর্তে দোকানপাট খুলতে দিয়েছে সরকার। কিন্তু এই সুযোগে বিক্রেতারা চাইছেন আগে বন্ধ থাকার লোকসান ঘুচিয়ে নিতে, যদিও এই কেনাকাটার ভিড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ঈদ যত এগিয়ে আসছে শপিংমলগুলোতে ততই ভিড় চোখে পড়ছে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে অনেকে শপিং এ মেতেছে। তারমধ্যে বিক্রেতারা তাদের বিক্রি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পণ্যের উপর ছাড় দিয়েছে। এর ফলে ক্রেতারা আরও বেশি করেই কেনাকাটায় আগ্রহী হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কেনাকাটাকে সামনে রেখে মূল্যছাড় দেয়ায় বিক্রি বেড়েছে তাদের। অন্যান্য ঈদের মতো জমজমাট না হলেও প্রতাশার চেয়ে বেশি হচ্ছে বিক্রি। বিক্রেতারা বলছেন, শুক্রবার ও শনিবারের তুলনায় অন্যানদিন ক্রেতা কম থাকলেও বিক্রিতে সন্তুষ্ট তারা। গত এক বছর ধরে চলতে থাকা ক্রেতা খরার ধাক্কা এবার কাটিয়ে ওঠার আশা তাদের।

বিপণি বিতাণগুলোতে শিশুদের পোশাকের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ছেলেদের পাঞ্জাবি এবং মেয়েদের গাউন, সারারা ও গারারার মতো তৈরি পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশি। বিশেষ ব্রান্ডের দোকানগুলোতে আকর্ষনীয় মুল্যের ছাড় দেয়া হয়েছে। পোশাক ছাড়াও আরও বিভিন্ন্ প্রয়োজনীয় জিনিসে ছাড় দেয়ায় মানুষ সাচ্ছন্দ্যে ওই সব কেনাকাটা করছে। বিক্রেতারা জানান করোনাভাইরাসের কারণে যে পরিস্থিতি ছিল, সে অনুযায়ী ভালোই বিক্রি হয়েছে। গত বছর যে অবস্থা ছিল, সে দিক থেকে অন্তত ঘুরে দাঁড়ানোর মতো অবস্থা হয়েছে। ফ্যাশন হাউজগুলোতে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ও বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধেও ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতারা।

মহামারীকালে মানুষ অনেক হিসেব করে কেনাকাটা করছে বলে মনে করেন এই বিক্রেতা। মানুষ অনেক দরদাম করছে। খুব প্রয়োজন যেটা, সেটাই কিনছে। একদরের দোকানেও কিছুটা দাম কমিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে দোকানে আশা অধিকাংশ ক্রেতাই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মাস্ক সঙ্গে থাকলেও খুলে রাখছে। গা ঘেষে দাঁড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কা করছে না সাধারণ মানুষ।

মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১ , ২৮ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমজান ১৪৪২

বিক্রি বাড়াতে নানা কৌশল ব্যবসায়ীদের

দিচ্ছে বিভিন্ন মূল্য ছাড়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে টানা লকডাউনের পর আবার খোলা হয়েছে মার্কেট ও শপিংমল। ঈদকে কেন্দ্র করে এই শপিং মল কতৃপক্ষ লাখ টাকার পণ্য তুলেছে দোকানগুলোতে। কিন্তু লকডাউনে তাদের লোকসান গুণতে হয়। এ লোকসান ঠেকিয়ে বিক্রি বাড়াতে বিভিন্ন পোশাকের দোকানগুলোতে চলছে মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতা।

কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউন চললেও ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি পালনের শর্তে দোকানপাট খুলতে দিয়েছে সরকার। কিন্তু এই সুযোগে বিক্রেতারা চাইছেন আগে বন্ধ থাকার লোকসান ঘুচিয়ে নিতে, যদিও এই কেনাকাটার ভিড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ঈদ যত এগিয়ে আসছে শপিংমলগুলোতে ততই ভিড় চোখে পড়ছে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে অনেকে শপিং এ মেতেছে। তারমধ্যে বিক্রেতারা তাদের বিক্রি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পণ্যের উপর ছাড় দিয়েছে। এর ফলে ক্রেতারা আরও বেশি করেই কেনাকাটায় আগ্রহী হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কেনাকাটাকে সামনে রেখে মূল্যছাড় দেয়ায় বিক্রি বেড়েছে তাদের। অন্যান্য ঈদের মতো জমজমাট না হলেও প্রতাশার চেয়ে বেশি হচ্ছে বিক্রি। বিক্রেতারা বলছেন, শুক্রবার ও শনিবারের তুলনায় অন্যানদিন ক্রেতা কম থাকলেও বিক্রিতে সন্তুষ্ট তারা। গত এক বছর ধরে চলতে থাকা ক্রেতা খরার ধাক্কা এবার কাটিয়ে ওঠার আশা তাদের।

বিপণি বিতাণগুলোতে শিশুদের পোশাকের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ছেলেদের পাঞ্জাবি এবং মেয়েদের গাউন, সারারা ও গারারার মতো তৈরি পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশি। বিশেষ ব্রান্ডের দোকানগুলোতে আকর্ষনীয় মুল্যের ছাড় দেয়া হয়েছে। পোশাক ছাড়াও আরও বিভিন্ন্ প্রয়োজনীয় জিনিসে ছাড় দেয়ায় মানুষ সাচ্ছন্দ্যে ওই সব কেনাকাটা করছে। বিক্রেতারা জানান করোনাভাইরাসের কারণে যে পরিস্থিতি ছিল, সে অনুযায়ী ভালোই বিক্রি হয়েছে। গত বছর যে অবস্থা ছিল, সে দিক থেকে অন্তত ঘুরে দাঁড়ানোর মতো অবস্থা হয়েছে। ফ্যাশন হাউজগুলোতে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ও বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধেও ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতারা।

মহামারীকালে মানুষ অনেক হিসেব করে কেনাকাটা করছে বলে মনে করেন এই বিক্রেতা। মানুষ অনেক দরদাম করছে। খুব প্রয়োজন যেটা, সেটাই কিনছে। একদরের দোকানেও কিছুটা দাম কমিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে দোকানে আশা অধিকাংশ ক্রেতাই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মাস্ক সঙ্গে থাকলেও খুলে রাখছে। গা ঘেষে দাঁড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কা করছে না সাধারণ মানুষ।