বিপর্যস্ত ভারতে আরও ৪১৯৪ জনের মৃত্যু

করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে ভারত। এ ভাইরাসে বিপর্যস্ত দেশটিতে চলছে মৃত্যুর মিছিল। গতকাল মারা গেছেন ৪ হাজার ১৯৪ জন। এই সময়ে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৯ জন। এনডিটিভি

আগের দিনের তুলনায় অবশ্য কিছুটা কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। তবে তা এখনও রয়েছে আড়াই লাখের ওপরেই। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা হলো ২ কোটি ৬২ লাখ ৮৯ হাজার ২৯০। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৫ জনের।

ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই বদলেছে পরিস্থিতি। দিল্লি, বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এসব রাজ্যে শুরু থেকেই সংক্রমণ বেশি ছিল।

এমনকি মোট সংক্রমণের অধিকাংশই এসব রাজ্যে। তবে কর্নাটকের পরিস্থিতি এখনও লাগামছাড়া। এছাড়া গত কয়েকদিনে ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, সিকিম, মিজোরামের মতো রাজ্যেও সংক্রমণ বেড়েছে।

সংক্রমণের গতি রোধ করতে কর্নাটক এবং কেরালায় লকডাউন আরও বাড়ানো হয়েছে। কর্নাটকে লকডাউন আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৭ জুন পর্যন্ত সেখানে লকডাউন কার্যকর থাকবে। এদিকে কেরালায় ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ফের উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। নমুনা পরীক্ষা বাড়তে ফের সংক্রমণ পৌঁছাল ২০ হাজারের কাছে। সঙ্গে আরও দেড় শতাধিক মৃত্যুর পর পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। বেড়েছে সক্রিয় রোগী।

কলকাতাসহ অন্যান্য এলাকায় বৃদ্ধি পেয়ে মোট আক্রান্ত ১২ লাখ ২৯ হাজার ৮০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সময় পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৫৯ জনের। উত্তর চব্বিশ পরগনায় ৪৭ জন ও কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। পশ্চিম বর্ধমানে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। ফলে মোট মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৫৪। আরও ১৯ হাজার ১৭ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭০। এছাড়া আরও ৬৭১ সহ মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখন ১ লাখ ৩২ হাজার ১৮১। সুস্থতার হার ফের ৮৮ শতাংশ পার করেছে।

রবিবার, ২৩ মে ২০২১ , ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১০ শাওয়াল ১৪৪২

বিপর্যস্ত ভারতে আরও ৪১৯৪ জনের মৃত্যু

করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে ভারত। এ ভাইরাসে বিপর্যস্ত দেশটিতে চলছে মৃত্যুর মিছিল। গতকাল মারা গেছেন ৪ হাজার ১৯৪ জন। এই সময়ে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৯ জন। এনডিটিভি

আগের দিনের তুলনায় অবশ্য কিছুটা কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। তবে তা এখনও রয়েছে আড়াই লাখের ওপরেই। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা হলো ২ কোটি ৬২ লাখ ৮৯ হাজার ২৯০। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৫ জনের।

ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই বদলেছে পরিস্থিতি। দিল্লি, বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এসব রাজ্যে শুরু থেকেই সংক্রমণ বেশি ছিল।

এমনকি মোট সংক্রমণের অধিকাংশই এসব রাজ্যে। তবে কর্নাটকের পরিস্থিতি এখনও লাগামছাড়া। এছাড়া গত কয়েকদিনে ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, সিকিম, মিজোরামের মতো রাজ্যেও সংক্রমণ বেড়েছে।

সংক্রমণের গতি রোধ করতে কর্নাটক এবং কেরালায় লকডাউন আরও বাড়ানো হয়েছে। কর্নাটকে লকডাউন আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৭ জুন পর্যন্ত সেখানে লকডাউন কার্যকর থাকবে। এদিকে কেরালায় ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ফের উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। নমুনা পরীক্ষা বাড়তে ফের সংক্রমণ পৌঁছাল ২০ হাজারের কাছে। সঙ্গে আরও দেড় শতাধিক মৃত্যুর পর পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। বেড়েছে সক্রিয় রোগী।

কলকাতাসহ অন্যান্য এলাকায় বৃদ্ধি পেয়ে মোট আক্রান্ত ১২ লাখ ২৯ হাজার ৮০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সময় পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৫৯ জনের। উত্তর চব্বিশ পরগনায় ৪৭ জন ও কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। পশ্চিম বর্ধমানে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। ফলে মোট মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৫৪। আরও ১৯ হাজার ১৭ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭০। এছাড়া আরও ৬৭১ সহ মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখন ১ লাখ ৩২ হাজার ১৮১। সুস্থতার হার ফের ৮৮ শতাংশ পার করেছে।