ঈশ্বরদীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ : বাড়ছে রোগী

হঠাৎ করেই ঈশ্বরদী জুড়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামে শত শত মানুষ ডায়রিয়ার আক্রান্ত হচ্ছেন। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শুধু সরকারি হাসপাতালেই প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সরকারি হাসপাতালের বাইরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের গড়গড়ি এলাকার বাসিন্দা লিমন ম-ল জানান, এই গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও প্রচুর। গত সোমবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু গড়গড়ি নয় অন্যান্য এলাকার গ্রামেও ডায়রিয়া আক্রান্ত শত শত রোগীরা বিভিন্নভাবে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন। নামেই ৫০ শয্যার ঈশ্বরদী হাসপাতালে মুলত ২৯ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতিদিনই হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা তারা আরো জানান ডায়রিয়া আক্রান্ত হলেই সরাসরি রোগীকে হাসপাতালে না এনে স্থানীয় স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম শামিম জানান, ঈদের পর থেকে ঈশ্বরদীতে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। রমজান মাস শেষে খাদ্য গ্রহনে হেরফের ও প্রচ- গরমের কারণে এটা হতে পারে বলে জানান তিনি। প্রতিদিন শুধু হাসপাতালেই গড়ে ১০-১২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

বুধবার, ২৬ মে ২০২১ , ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৩ শাওয়াল ১৪৪২

ঈশ্বরদীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ : বাড়ছে রোগী

প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)

হঠাৎ করেই ঈশ্বরদী জুড়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামে শত শত মানুষ ডায়রিয়ার আক্রান্ত হচ্ছেন। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শুধু সরকারি হাসপাতালেই প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সরকারি হাসপাতালের বাইরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের গড়গড়ি এলাকার বাসিন্দা লিমন ম-ল জানান, এই গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও প্রচুর। গত সোমবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু গড়গড়ি নয় অন্যান্য এলাকার গ্রামেও ডায়রিয়া আক্রান্ত শত শত রোগীরা বিভিন্নভাবে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন। নামেই ৫০ শয্যার ঈশ্বরদী হাসপাতালে মুলত ২৯ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতিদিনই হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা তারা আরো জানান ডায়রিয়া আক্রান্ত হলেই সরাসরি রোগীকে হাসপাতালে না এনে স্থানীয় স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম শামিম জানান, ঈদের পর থেকে ঈশ্বরদীতে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। রমজান মাস শেষে খাদ্য গ্রহনে হেরফের ও প্রচ- গরমের কারণে এটা হতে পারে বলে জানান তিনি। প্রতিদিন শুধু হাসপাতালেই গড়ে ১০-১২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।