বিএনপির কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত। তাদের কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু, আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি ত্যাগের। এজন্যই জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। গতকাল রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

‘১৯৭৮ সালের ৩ জুন জিয়াউর রহমান কোন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিল’- বিএনপি নেতাদের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল সেনাশাসক জিয়া। তার আগে ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের নামে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থার চিত্র তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম করেছিল। বিএনপি অতীত ভুলে গেলেও দেশের মানুষ ঠিকই মনে রেখেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিশ্ব পরিবেশ দিবস বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে পরিবেশ বান্ধব সরকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান সরকার আগামী ৫ বছরে দেশের ২২ থেকে ২৪ ভাগ অঞ্চল গাছপালায় আচ্ছাদিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার দেশব্যাপী তিন কোটি গাছের চারা রোপণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ১৪০ দেশের সমীক্ষায় অবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা ছিল এক নম্বরে। এখন সেটি ৪ নম্বরে। তারপরও ঢাকা বাসযোগ্য নয়। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ চরম পর্যায়ে। আমাদের সেটি থেকে উত্তরণে কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ড. নাসরিন আহমেদ, অধ্যাপক আইনুন নিশাত, স্থপতি ইকবাল হাবিব, ডিবিসি চ্যানেলের সম্পাদক প্রণব সাহা, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। অস্ট্রেলিয়া থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক আশরাফ দেওয়ান।

রবিবার, ০৬ জুন ২০২১ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৪ শাওয়াল ১৪৪২

বিএনপির কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু : কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত। তাদের কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু, আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি ত্যাগের। এজন্যই জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। গতকাল রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

‘১৯৭৮ সালের ৩ জুন জিয়াউর রহমান কোন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিল’- বিএনপি নেতাদের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল সেনাশাসক জিয়া। তার আগে ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের নামে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থার চিত্র তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম করেছিল। বিএনপি অতীত ভুলে গেলেও দেশের মানুষ ঠিকই মনে রেখেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিশ্ব পরিবেশ দিবস বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে পরিবেশ বান্ধব সরকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান সরকার আগামী ৫ বছরে দেশের ২২ থেকে ২৪ ভাগ অঞ্চল গাছপালায় আচ্ছাদিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার দেশব্যাপী তিন কোটি গাছের চারা রোপণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ১৪০ দেশের সমীক্ষায় অবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা ছিল এক নম্বরে। এখন সেটি ৪ নম্বরে। তারপরও ঢাকা বাসযোগ্য নয়। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ চরম পর্যায়ে। আমাদের সেটি থেকে উত্তরণে কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ড. নাসরিন আহমেদ, অধ্যাপক আইনুন নিশাত, স্থপতি ইকবাল হাবিব, ডিবিসি চ্যানেলের সম্পাদক প্রণব সাহা, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। অস্ট্রেলিয়া থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক আশরাফ দেওয়ান।