শিশুটিকে হত্যা করল কে

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় খালাস ?পাওয়া আসামিরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাক্সিক্ষত বিচার না পাওয়া শিশুটির পরিবার নিরাপত্তার অভাবে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। শিশুটি ও তার পরিবারের করুণ পরিণতি মেনে নিতে না পারা বিক্ষুব্ধ মানুষ ধর্ষণ আর হত্যার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন।

২০১৯ সালের ৪ মার্চ যশোরের শিশু আফরিন তৃষা কথার (৮) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশু ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলার ভিত্তিতে আটক করা সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ স্বীকার করে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। মামলার তদন্তে জানা যায়, শামীম নামক এক ব্যক্তিকে মাদক সেবনে বাধা দেয়া এবং ইজিবাইকে ওঠা নিয়ে শিশুটির বাবার সঙ্গে বিরোধের জেরে উক্ত ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। প্রধান সন্দেহভাজন শামীম কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। তদন্ত শেষে দুই আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতে হাজির করা সাক্ষ্য-প্রমাণে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি উঠে এসেছিল। কিন্তু মামলার চূড়ান্ত রায়ে আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়েছে। এ রায়ে বাদী, সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এবং স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত হয়েছেন।

শিশু তৃষা যে হত্যার শিকার হয়েছে সেটা নিয়ে আইনি বিচারের কোন স্তরে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে জানা যায় না। হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করার বিষয়টি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেই প্রকাশ পেয়েছে। শিশুটির এমন করুণ পরিণতির জন্য কারও না কারও দায় নিশ্চয়ই রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মামলার অভিযুক্ত আসামিরা যদি নির্দোষ হয় তাহলে শিশুটিকে কে বা কারা ধর্ষণ ও হত্যা করল। কারা শিশুটির পরিবারকে এলাকাছাড়া করল সেই প্রশ্নের উত্তরও জানা জরুরি। তৃষা হত্যার বিচার প্রক্রিয়ার কোন স্তরে কোন গলদ ছিল কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। এসব প্রশ্নের উত্তর কি মিলবে?

রবিবার, ২০ জুন ২০২১ , ৬ আষাঢ় ১৪২৮ ৮ জিলকদ ১৪৪২

শিশুটিকে হত্যা করল কে

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় খালাস ?পাওয়া আসামিরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাক্সিক্ষত বিচার না পাওয়া শিশুটির পরিবার নিরাপত্তার অভাবে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। শিশুটি ও তার পরিবারের করুণ পরিণতি মেনে নিতে না পারা বিক্ষুব্ধ মানুষ ধর্ষণ আর হত্যার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন।

২০১৯ সালের ৪ মার্চ যশোরের শিশু আফরিন তৃষা কথার (৮) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশু ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলার ভিত্তিতে আটক করা সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ স্বীকার করে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। মামলার তদন্তে জানা যায়, শামীম নামক এক ব্যক্তিকে মাদক সেবনে বাধা দেয়া এবং ইজিবাইকে ওঠা নিয়ে শিশুটির বাবার সঙ্গে বিরোধের জেরে উক্ত ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। প্রধান সন্দেহভাজন শামীম কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। তদন্ত শেষে দুই আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতে হাজির করা সাক্ষ্য-প্রমাণে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি উঠে এসেছিল। কিন্তু মামলার চূড়ান্ত রায়ে আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়েছে। এ রায়ে বাদী, সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এবং স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত হয়েছেন।

শিশু তৃষা যে হত্যার শিকার হয়েছে সেটা নিয়ে আইনি বিচারের কোন স্তরে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে জানা যায় না। হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করার বিষয়টি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেই প্রকাশ পেয়েছে। শিশুটির এমন করুণ পরিণতির জন্য কারও না কারও দায় নিশ্চয়ই রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মামলার অভিযুক্ত আসামিরা যদি নির্দোষ হয় তাহলে শিশুটিকে কে বা কারা ধর্ষণ ও হত্যা করল। কারা শিশুটির পরিবারকে এলাকাছাড়া করল সেই প্রশ্নের উত্তরও জানা জরুরি। তৃষা হত্যার বিচার প্রক্রিয়ার কোন স্তরে কোন গলদ ছিল কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। এসব প্রশ্নের উত্তর কি মিলবে?