ময়মনসিংহে প্রতিদিনই বাড়াতে হচ্ছে শয্যা প্রস্তুত ৩ ক্লিনিক

মৃত্যু ১৯ শনাক্ত ২৮৩

ময়মনসিংহ বিভাগে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়াতে হচ্ছে শয্যা সংখ্যা। অক্সিজেন সঙ্কট বাড়ছে। তাই এ জেলায় একটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন জরুরী হয়ে পরেছে বলে মনে করেন বিএমএ’র চিকিৎসক নেতারা। নগরীর তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্যে প্র¯তুত রাখা হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বুধবার সকাল ৮ পর্যন্ত করোনা পজেটিভ হয়ে ৭ জনের মৃত্যু ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ১২ জনসহ মোট ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হাসপাতালে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা এটিই সর্বোচ্চ। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ জেলায় নতুন করে ১০৫৮ টি নমুনা পরীক্ষায় ২৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা ইউনিটে করোনা পজেটিভ হয়ে মৃত ৭ জনের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ৫ জন এবং এ বিভাগের বাইরে টাংগাইল জেলার ২ জন রয়েছে। এছাড়া করোনা ইউনিটে উপসর্গ নিয়ে আরও মৃত ১২ জনের সবাই এ বিভাগের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. মহিউদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৫৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ২৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় শনাক্তের হার শতকরা ২৬.৭৪।

ময়মনসিংহ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি জানিয়েছে, জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোন চিকিৎসা সংকট দেখা দিতে পারে এ কথা বিবেচনায় রেখে নগরীর তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া জন্যে প্রাথমিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জে রোগী সামাল দিতে শয্যা বাড়িয়ে দ্বিগুণ

মৃত্যু ৩ শনাক্ত ১০৬

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে ক্রমাগতই করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই সুস্থতার চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ফলে প্রতিদিনই চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। যে কারণে জেলার একমাত্র কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল জেলা সদরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড রোগীদের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান গত মঙ্গলবার রাতে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর ৪৮১টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০৬ জন। তবে সুস্থও হয়েছেন ৭৮ জন। গত মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত জেলায় করোনায় মোট চিকিৎসাধীন ছিলেন এক হাজার ৩৮৩ জন।

সিভিল সার্জন আরো জানান, শুরুতে এখানে ১০টি আইসিইউ বেড এবং ১০০টি সাধারণ আইসোলেশন বেড স্থাপন করা হয়েছিল। এছাড়া জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে ২০টি, আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৫ থেকে ১০টি করে আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু এখন প্রতিদিনই সৈয়দ নজরুল হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগি ভর্তি থাকছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্তও ১০টি আইসিইউ বেড পূর্ণ ছিল। আর মোট রোগি ছিল ১৭৭ জন। যে কারণে এখন থেকে সাধারণ করোনা রোগিদের জন্য আরও ১০০টি আইসোলেশন শয্যা বাড়ানো হয়েছে। আর আইসিইউ’র ১০টি বেডের পাশাপাশি এইচডিইউ-তে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) ১০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। আইসিইউ আর এইচডিইউ’র মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, আইসিইউ-তে ভেন্টিলেটর আছে, আর এইচডিইউ-তে ভেন্টিলেটর নেই। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত জেলায় করোনায় মোট চিকিৎসাধীন ছিল এক হাজার ৩৮৩ জন, যার মধ্যে সৈয়দ নজরুল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিল ১৭৭ জন।

বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১ , ৩১ আষাঢ় ১৪২৮ ৪ জিলহজ ১৪৪২

ময়মনসিংহে প্রতিদিনই বাড়াতে হচ্ছে শয্যা প্রস্তুত ৩ ক্লিনিক

মৃত্যু ১৯ শনাক্ত ২৮৩

জেলা বার্তা পরিবেশক, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ বিভাগে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়াতে হচ্ছে শয্যা সংখ্যা। অক্সিজেন সঙ্কট বাড়ছে। তাই এ জেলায় একটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন জরুরী হয়ে পরেছে বলে মনে করেন বিএমএ’র চিকিৎসক নেতারা। নগরীর তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্যে প্র¯তুত রাখা হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বুধবার সকাল ৮ পর্যন্ত করোনা পজেটিভ হয়ে ৭ জনের মৃত্যু ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ১২ জনসহ মোট ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হাসপাতালে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা এটিই সর্বোচ্চ। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ জেলায় নতুন করে ১০৫৮ টি নমুনা পরীক্ষায় ২৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা ইউনিটে করোনা পজেটিভ হয়ে মৃত ৭ জনের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ৫ জন এবং এ বিভাগের বাইরে টাংগাইল জেলার ২ জন রয়েছে। এছাড়া করোনা ইউনিটে উপসর্গ নিয়ে আরও মৃত ১২ জনের সবাই এ বিভাগের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. মহিউদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৫৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ২৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় শনাক্তের হার শতকরা ২৬.৭৪।

ময়মনসিংহ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি জানিয়েছে, জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোন চিকিৎসা সংকট দেখা দিতে পারে এ কথা বিবেচনায় রেখে নগরীর তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া জন্যে প্রাথমিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জে রোগী সামাল দিতে শয্যা বাড়িয়ে দ্বিগুণ

মৃত্যু ৩ শনাক্ত ১০৬

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে ক্রমাগতই করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই সুস্থতার চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ফলে প্রতিদিনই চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। যে কারণে জেলার একমাত্র কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল জেলা সদরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড রোগীদের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান গত মঙ্গলবার রাতে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর ৪৮১টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০৬ জন। তবে সুস্থও হয়েছেন ৭৮ জন। গত মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত জেলায় করোনায় মোট চিকিৎসাধীন ছিলেন এক হাজার ৩৮৩ জন।

সিভিল সার্জন আরো জানান, শুরুতে এখানে ১০টি আইসিইউ বেড এবং ১০০টি সাধারণ আইসোলেশন বেড স্থাপন করা হয়েছিল। এছাড়া জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে ২০টি, আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৫ থেকে ১০টি করে আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু এখন প্রতিদিনই সৈয়দ নজরুল হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগি ভর্তি থাকছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্তও ১০টি আইসিইউ বেড পূর্ণ ছিল। আর মোট রোগি ছিল ১৭৭ জন। যে কারণে এখন থেকে সাধারণ করোনা রোগিদের জন্য আরও ১০০টি আইসোলেশন শয্যা বাড়ানো হয়েছে। আর আইসিইউ’র ১০টি বেডের পাশাপাশি এইচডিইউ-তে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) ১০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। আইসিইউ আর এইচডিইউ’র মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, আইসিইউ-তে ভেন্টিলেটর আছে, আর এইচডিইউ-তে ভেন্টিলেটর নেই। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত জেলায় করোনায় মোট চিকিৎসাধীন ছিল এক হাজার ৩৮৩ জন, যার মধ্যে সৈয়দ নজরুল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিল ১৭৭ জন।