তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানো সম্ভব নয় বিএনপিকে কাদের

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়েছে উল্লেখ করে এটি ফেরানো সম্ভব নয় বলে বিএনপিকে জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি এবার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তুলেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা’ এবং এটি উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে এটি দীর্ঘদিন চলতে পারে না।’ জাতীয় নির্বাচনে যেতে এসব মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিএনপির দেয়া শর্তগুলোকে ‘মামা বাড়ির আবদার’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করলে নাকি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, আসলে বিএনপি ভালো করেই জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি আদালতের মীমাংসিত বিষয়।’

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে বিএনপি সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করলেও ২০০৭ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে জটিলতা তৈরি হয়। বিএনপি শাসনামলে প্রধান বিচারপতির চাকরির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোকে কেন্দ্র করে এই জটিলতা দেখা দেয়। চাকরির মেয়াদ বাড়ানোয় সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়া নিশ্চিত হয়। বিচারপতি হওয়ার আগে তিনি বিএনপি একটি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে তাকে মেনে না নিয়ে আন্দোলনে নামে সে সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে গেলে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে জারি হয় জরুরি আইন। প্রায় দুই বছর পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম সংসদ নির্বাচনে তিনশ আসনের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত মোট ৩২টি আসন পায়। এরপর উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক ঘোষণা করে।

দশম সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না হওয়ায় বিএনপি জোট ২০১৪ সালর ৫ জানুয়ারির ওই নির্বাচন বর্জন করে।

রবিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২১ , ১৮ আশ্বিন ১৪২৮ ২৪ সফর ১৪৪৩

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানো সম্ভব নয় বিএনপিকে কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়েছে উল্লেখ করে এটি ফেরানো সম্ভব নয় বলে বিএনপিকে জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি এবার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তুলেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা’ এবং এটি উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে এটি দীর্ঘদিন চলতে পারে না।’ জাতীয় নির্বাচনে যেতে এসব মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিএনপির দেয়া শর্তগুলোকে ‘মামা বাড়ির আবদার’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করলে নাকি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, আসলে বিএনপি ভালো করেই জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি আদালতের মীমাংসিত বিষয়।’

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে বিএনপি সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করলেও ২০০৭ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে জটিলতা তৈরি হয়। বিএনপি শাসনামলে প্রধান বিচারপতির চাকরির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোকে কেন্দ্র করে এই জটিলতা দেখা দেয়। চাকরির মেয়াদ বাড়ানোয় সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়া নিশ্চিত হয়। বিচারপতি হওয়ার আগে তিনি বিএনপি একটি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে তাকে মেনে না নিয়ে আন্দোলনে নামে সে সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে গেলে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে জারি হয় জরুরি আইন। প্রায় দুই বছর পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম সংসদ নির্বাচনে তিনশ আসনের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত মোট ৩২টি আসন পায়। এরপর উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক ঘোষণা করে।

দশম সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না হওয়ায় বিএনপি জোট ২০১৪ সালর ৫ জানুয়ারির ওই নির্বাচন বর্জন করে।