চাটখিল প্রাণিসম্পদ কার্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই ভেতরে পানি পড়ে সেঁত-সেঁতে হয়ে পড়ে। উপজেলার পূর্ব প্রান্তের পাঁচগাঁও ইউনিয়নের কাচারী বাজারে কার্যালয়টি ১৯৮৭ সালে নির্মাণ হয়। অদ্যাবধি কোন সংস্কার হয়নি।

কার্যালয়ে প্রবেশ পথ বাঁকা হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। ভাউন্ডারি ওয়ালের নিচের মাটি সরে যাওয়া বিঘিœত হচ্ছে নিরাপত্তা। এখানে কর্মকর্তাদের থাকার পরিবেশ না থাকলেও বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে। পানির কোন ব্যবস্থা নেই। বহিরাগতদের নিয়মিত আড্ডায় কার্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়েছে।

প্রতিদিন শতাধিক পশুপালনকারী সমবায়ীরা এই কার্যালয়ে সেবা নিতে আসে। কার্যালয়ে ১১টি পদের মধ্যে দীর্ঘ দিন থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদসহ ৬টি পদ শূন্য। ২০ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা দিয়েই চলছে কার্যক্রম।

সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফখরুল আহসান পিন্ট বলেন, এই জরার্জীণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. সাইদুর রহমান বলেন, উপজেলা সমন্বয় সভায় এসব সমস্যা অবগত করা হয়েছে। তবে এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১ , ২৬ আশ্বিন ১৪২৮ ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

চাটখিল প্রাণিসম্পদ কার্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত

প্রতিনিধি, চাটখিল (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই ভেতরে পানি পড়ে সেঁত-সেঁতে হয়ে পড়ে। উপজেলার পূর্ব প্রান্তের পাঁচগাঁও ইউনিয়নের কাচারী বাজারে কার্যালয়টি ১৯৮৭ সালে নির্মাণ হয়। অদ্যাবধি কোন সংস্কার হয়নি।

কার্যালয়ে প্রবেশ পথ বাঁকা হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। ভাউন্ডারি ওয়ালের নিচের মাটি সরে যাওয়া বিঘিœত হচ্ছে নিরাপত্তা। এখানে কর্মকর্তাদের থাকার পরিবেশ না থাকলেও বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে। পানির কোন ব্যবস্থা নেই। বহিরাগতদের নিয়মিত আড্ডায় কার্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়েছে।

প্রতিদিন শতাধিক পশুপালনকারী সমবায়ীরা এই কার্যালয়ে সেবা নিতে আসে। কার্যালয়ে ১১টি পদের মধ্যে দীর্ঘ দিন থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদসহ ৬টি পদ শূন্য। ২০ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা দিয়েই চলছে কার্যক্রম।

সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফখরুল আহসান পিন্ট বলেন, এই জরার্জীণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. সাইদুর রহমান বলেন, উপজেলা সমন্বয় সভায় এসব সমস্যা অবগত করা হয়েছে। তবে এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।