কাতার বিশ্বকাপের পরই অবসরের সিদ্ধান্ত নেইমারের!

আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত একপ্রকার নিয়েই ফেললেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র ! কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যা শোনার পর অবাক ফুটবলপ্রেমীরাও।

নেইমারের বয়স এখন ২৯। পরবর্তী বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে হবে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকো এই তিন দেশে। তখন ব্রাজিলিয়ান তারকার বয়স দাঁড়াবে ৩৪। এই বয়সে অনেকেই দাপটের সঙ্গে খেলছেন। মেসি (৩৪), রোনালদোর (৩৬) বয়স এখন নেইমারের চেয়েও অনেক বেশি। অথচ নেইমার জানিয়েছেন, কাতার বিশ্বকাপের পর ফুটবল থেকে সরে যেতে পারেন তিনি।

‘নেইমার অ্যান্ড দ্য লাইন অব কিংস’ নামক ডকুমেন্টারিতে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে কাতারেই আমি শেষ বিশ্বকাপ খেলতে চলেছি। শেষ এই কারণেই বলছি, বিশ্বকাপের পর ফুটবল চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমার মনের জোর বা মানসিক অবস্থা কীরকম থাকবে, তা আমি জানি না। তাই ভালো কিছুর জন্য সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপাব। দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য যা কিছু করার দরকার তা-ই করব। ছোটবেলা থেকেই বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখছি। বিশ্বকাপ জেতার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’ ফুটবলের চাপ তার শরীর ও মনে প্রভাব ফেলছে বলেই দাবি নেইমারের। তার ফলে বিশ্বকাপের এক বছর আগেই অবসরের ভাবনা! দেশকে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জেতানোর লক্ষ্যে নেইমার দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। কিন্তু দু’বারই হতাশ হতে হয়েছে। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়। ২০১৮ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় হবে ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ। তবে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে তার আগেই যবনিকা টানার ব্যাপারে মনস্থির প্রায় করেই ফেলেছেন নেইমার।

২০০২ সালের পর আর ফুটবল বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ব্রাজিল। ২০১৪ সালে দেশের মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পান নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলকে চতুর্থ স্থান দখল করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে হেরেছিল নেদারল্যান্ডসের কাছে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালেই উঠতে পারেননি নেইমাররা। ২০১৪ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারালেও সেই ম্যাচে জুয়ান জুনিগার চ্যালেঞ্জে ভার্টিব্রা ভেঙে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান নেইমার। এরপর থিয়াগো সিলভাও না থাকায় জার্মানির কাছে সেমিফাইনালে লুই ফিলিপ স্কোলারির ব্রাজিল হারে ১-৭ গোলে। তাও আবার ঐতিহাসিক মারাকানায়। এরপর ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের আগেও নেইমারকে ভোগায় ফিটনেস সমস্যা! তবু তিতের দলে ঢুকে গোলও পেয়েছিলেন। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল ব্রাজিলকে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১ , ২৯ আশ্বিন ১৪২৮ ০৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

কাতার বিশ্বকাপের পরই অবসরের সিদ্ধান্ত নেইমারের!

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত একপ্রকার নিয়েই ফেললেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র ! কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যা শোনার পর অবাক ফুটবলপ্রেমীরাও।

নেইমারের বয়স এখন ২৯। পরবর্তী বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে হবে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকো এই তিন দেশে। তখন ব্রাজিলিয়ান তারকার বয়স দাঁড়াবে ৩৪। এই বয়সে অনেকেই দাপটের সঙ্গে খেলছেন। মেসি (৩৪), রোনালদোর (৩৬) বয়স এখন নেইমারের চেয়েও অনেক বেশি। অথচ নেইমার জানিয়েছেন, কাতার বিশ্বকাপের পর ফুটবল থেকে সরে যেতে পারেন তিনি।

‘নেইমার অ্যান্ড দ্য লাইন অব কিংস’ নামক ডকুমেন্টারিতে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে কাতারেই আমি শেষ বিশ্বকাপ খেলতে চলেছি। শেষ এই কারণেই বলছি, বিশ্বকাপের পর ফুটবল চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমার মনের জোর বা মানসিক অবস্থা কীরকম থাকবে, তা আমি জানি না। তাই ভালো কিছুর জন্য সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপাব। দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য যা কিছু করার দরকার তা-ই করব। ছোটবেলা থেকেই বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখছি। বিশ্বকাপ জেতার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’ ফুটবলের চাপ তার শরীর ও মনে প্রভাব ফেলছে বলেই দাবি নেইমারের। তার ফলে বিশ্বকাপের এক বছর আগেই অবসরের ভাবনা! দেশকে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জেতানোর লক্ষ্যে নেইমার দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। কিন্তু দু’বারই হতাশ হতে হয়েছে। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়। ২০১৮ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় হবে ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ। তবে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে তার আগেই যবনিকা টানার ব্যাপারে মনস্থির প্রায় করেই ফেলেছেন নেইমার।

২০০২ সালের পর আর ফুটবল বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ব্রাজিল। ২০১৪ সালে দেশের মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পান নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলকে চতুর্থ স্থান দখল করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে হেরেছিল নেদারল্যান্ডসের কাছে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালেই উঠতে পারেননি নেইমাররা। ২০১৪ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারালেও সেই ম্যাচে জুয়ান জুনিগার চ্যালেঞ্জে ভার্টিব্রা ভেঙে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান নেইমার। এরপর থিয়াগো সিলভাও না থাকায় জার্মানির কাছে সেমিফাইনালে লুই ফিলিপ স্কোলারির ব্রাজিল হারে ১-৭ গোলে। তাও আবার ঐতিহাসিক মারাকানায়। এরপর ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের আগেও নেইমারকে ভোগায় ফিটনেস সমস্যা! তবু তিতের দলে ঢুকে গোলও পেয়েছিলেন। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল ব্রাজিলকে।