চট্টগ্রাম নগরীতে ৩ জনকে জবাই করে হত্যা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নির্মমভাবে তিন জনকে হত্যার রেশ শেষ না হতেই এবার নগরের পাঁচলাইশে মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোর ৫টায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। নিহতরা হলেন, সুমিতা খাতুন, তার ৭ বছরের মেয়ে জান্নাত মুন ও আড়াই বছরের ছেলে শান। মোহাম্মদপুর এলাকার একটি ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুুমিতার স্বামী সোহেল রানা এলাকার ইনানি হারবাল নামে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রথমে দুই সন্তানকে হত্যা করা হয়। এরপর মা নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। নিহতরা হলেন, সুমিতা খাতুন (৩১), তার মেয়ে তানজিনা মুন (৭) এবং ছেলে শান বাবু (৩)।

পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহেদুল কবির জানান, মুরাদপুরের মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে ভোর ৫টায় খবর আসে ফ্ল্যাটের দরজা সারারাত ভেতর থেকে বন্ধ। সোহেল রানা নামে এক লোক ঘরে ঢুকতে পারেননি রাতভর। তার সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে খরব দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ঘুরে ঢুকে মরদেহগুলো দেখতে পায়। এর মধ্যে সুমিতা ও শিশু শানের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পাশেই বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায় শিশু জান্নাতের নিথর দেহ।

এদিকে সুুমিতার স্বামী সোহেল জানান, অফিসের কাজ শেষ করে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে আমি আত্মীয়-প্রতিবেশীদের খবর দিই। সারারাত ধরে সবাই চেষ্টা করেও ভেতর থেকে কোন সাড়া পাননি। এরপর পুলিশে খবর দেই। সোহেল রানার বোনের স্বামী নজরুল ইসলাম খবর পেয়ে মধ্যরাত থেকেই সেখানে ছিলেন। তিনি জানান, কীভাবে এই ঘটনা ঘটলো, কেনই বা ঘটলো কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেল রানাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি জাহেদুল।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের সোনাপাহাড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় এক বৃদ্ধ দম্পতি ও তাদের ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ।

শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১ , ৩১ আশ্বিন ১৪২৮ ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

মিরসরাইয়ের পর

চট্টগ্রাম নগরীতে ৩ জনকে জবাই করে হত্যা

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নির্মমভাবে তিন জনকে হত্যার রেশ শেষ না হতেই এবার নগরের পাঁচলাইশে মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোর ৫টায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। নিহতরা হলেন, সুমিতা খাতুন, তার ৭ বছরের মেয়ে জান্নাত মুন ও আড়াই বছরের ছেলে শান। মোহাম্মদপুর এলাকার একটি ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুুমিতার স্বামী সোহেল রানা এলাকার ইনানি হারবাল নামে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রথমে দুই সন্তানকে হত্যা করা হয়। এরপর মা নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। নিহতরা হলেন, সুমিতা খাতুন (৩১), তার মেয়ে তানজিনা মুন (৭) এবং ছেলে শান বাবু (৩)।

পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহেদুল কবির জানান, মুরাদপুরের মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে ভোর ৫টায় খবর আসে ফ্ল্যাটের দরজা সারারাত ভেতর থেকে বন্ধ। সোহেল রানা নামে এক লোক ঘরে ঢুকতে পারেননি রাতভর। তার সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে খরব দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ঘুরে ঢুকে মরদেহগুলো দেখতে পায়। এর মধ্যে সুমিতা ও শিশু শানের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পাশেই বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায় শিশু জান্নাতের নিথর দেহ।

এদিকে সুুমিতার স্বামী সোহেল জানান, অফিসের কাজ শেষ করে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে আমি আত্মীয়-প্রতিবেশীদের খবর দিই। সারারাত ধরে সবাই চেষ্টা করেও ভেতর থেকে কোন সাড়া পাননি। এরপর পুলিশে খবর দেই। সোহেল রানার বোনের স্বামী নজরুল ইসলাম খবর পেয়ে মধ্যরাত থেকেই সেখানে ছিলেন। তিনি জানান, কীভাবে এই ঘটনা ঘটলো, কেনই বা ঘটলো কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেল রানাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি জাহেদুল।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের সোনাপাহাড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় এক বৃদ্ধ দম্পতি ও তাদের ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ।