ময়নার জন্য কাঁদলেন ববিতা

দীর্ঘদিন দেশে নেই ববিতা। বেশ কয়েক মাস আগেই তিনি কানাডাতে তার একমাত্র ছেলে অনিকের কাছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি দুই সপ্তাহ আগে আমেরিকায় গিয়েছেন দুই ভাই ইকবাল ইসলাম স্বপন এবং ফেরদৌস ইসলাম লিটনের কাছে। সেখানেই হার্ডসন নদীর কাছে সময় কাটাচ্ছেন ববিতা। তবে মুঠোফোনে গতকাল সকালে যখন তার সঙ্গে কথা হলো তখন তিনি তার খুব কষ্টের একটি খবর শেয়ার করলেন। আর তা হলো বিগত ৮/৯ বছর ধরে যে ময়না পাখিটিকে ঢাকার বাসায় তিনি লালন পালন করছিলেন, সেই ময়না পাখিটি কয়েকদিন আগেই মারা গেছে।

ববিতা বলেন, ‘ময়নাটা আমার পরিবারেরই একজন সদস্য ছিল। তার সঙ্গে আমার অনেক সময় কাটতো। আমার মতো করে হাসতো, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠলেই আমাকে দেখেই বলতো অনিক কই, আমাকে পপি আপা বলে ডাকতো, সবাই চলে যাবার সময় বলতে খোদা হাফেজ। এত সবকিছু মনে হয়ে ভীষণ কান্না পেয়েছিল আমার। কিন্তু ময়না পাখি তো আরও অনেক বেশিদিন বাঁচে। হয়তো আমি ঢাকায় থাকলে তার সুচিকিৎসা করাতে পারতাম।’ এদিকে আমেরিকাতে ছোট দুই ভাই স্বপন ও লিটনের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে ববিতার।

আবার অস্ট্রেলিয়ায় শহীদুল ইসলাম চার্চিল নামে যে ভাই থাকেন তিনি ববিতার চেয়ে তিন বছরের বড়। তারা তিন ভাই তিন বোনই প্রতিষ্ঠিত এবং বেঁচে আছেন।

দু’সপ্তাহ পরই ববিতা আবার ছেলে অনিকের কাছে চলে যাবেন। তবে ববিতা কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন তা জানাননি।

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১ , ৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১২ রবিউস সানি ১৪৪৩

ময়নার জন্য কাঁদলেন ববিতা

বিনোদন প্রতিবেদক

image

দীর্ঘদিন দেশে নেই ববিতা। বেশ কয়েক মাস আগেই তিনি কানাডাতে তার একমাত্র ছেলে অনিকের কাছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি দুই সপ্তাহ আগে আমেরিকায় গিয়েছেন দুই ভাই ইকবাল ইসলাম স্বপন এবং ফেরদৌস ইসলাম লিটনের কাছে। সেখানেই হার্ডসন নদীর কাছে সময় কাটাচ্ছেন ববিতা। তবে মুঠোফোনে গতকাল সকালে যখন তার সঙ্গে কথা হলো তখন তিনি তার খুব কষ্টের একটি খবর শেয়ার করলেন। আর তা হলো বিগত ৮/৯ বছর ধরে যে ময়না পাখিটিকে ঢাকার বাসায় তিনি লালন পালন করছিলেন, সেই ময়না পাখিটি কয়েকদিন আগেই মারা গেছে।

ববিতা বলেন, ‘ময়নাটা আমার পরিবারেরই একজন সদস্য ছিল। তার সঙ্গে আমার অনেক সময় কাটতো। আমার মতো করে হাসতো, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠলেই আমাকে দেখেই বলতো অনিক কই, আমাকে পপি আপা বলে ডাকতো, সবাই চলে যাবার সময় বলতে খোদা হাফেজ। এত সবকিছু মনে হয়ে ভীষণ কান্না পেয়েছিল আমার। কিন্তু ময়না পাখি তো আরও অনেক বেশিদিন বাঁচে। হয়তো আমি ঢাকায় থাকলে তার সুচিকিৎসা করাতে পারতাম।’ এদিকে আমেরিকাতে ছোট দুই ভাই স্বপন ও লিটনের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে ববিতার।

আবার অস্ট্রেলিয়ায় শহীদুল ইসলাম চার্চিল নামে যে ভাই থাকেন তিনি ববিতার চেয়ে তিন বছরের বড়। তারা তিন ভাই তিন বোনই প্রতিষ্ঠিত এবং বেঁচে আছেন।

দু’সপ্তাহ পরই ববিতা আবার ছেলে অনিকের কাছে চলে যাবেন। তবে ববিতা কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন তা জানাননি।