আরও দুই আসামি জিসান ও অন্তু গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলায় জিসান মিয়া ও মো. রাব্বী ইসলাম প্রকাশ অন্তু নামে আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ জিসানকে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। জিসান নগরীর সুজানগর এলাকার নূর আলীর ছেলে। জিসানের দেয়া তথ্যমতে পুলিশ অন্তুকে দেবিদ্বার উপজেলা সদর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে জিসান এ মামলার এজাহারনামীয় ৮নং ও অন্তু সন্ধিগ্ধ আসামি। ধৃত অন্তু নগরীর সংরাইশ এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে। ঘটনার দিন দুপুরে অন্তুদের বাসায় গরুর মাংসসহ রান্না করা খাবার খেয়ে ৭ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সিটি কাউন্সিলর সোহেলসহ ২ জনের কিলিং মিশনে অংশ নেয়। সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকার ও এলআইসি টিমের এসআই পরিমল চন্দ্র দাস।

পুলিশ জানায়, জোড়া খুনের মামলার আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার জিসানকে (২৮) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল গভীর রাতে পুলিশ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যমতে তার নিকটাত্মীয় সন্ধিগ্ধ আসামি অন্তুকে (১৯) একই রাতে দেবিদ্বার উপজেলা সদর থেকে আটক করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ঘটনার দিন অন্তুর মায়ের রান্না করা মাংস দিয়ে খাবার খেয়ে ৭ জন কাউন্সিলর সোহেল কিলিং মিশনে অংশ নেয়। এ কিলিং মিশনে মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম ও ২নং আসামি সোহেল, ৩নং আসামি সাব্বির হোসেন, ৫নং আসামি সাজন, ১০নং আসামি সায়মনসহ আরও ২ জন ছিল।

অন্তু পুলিশকে জানায়, তারা পরের দিন কক্সবাজার যাওয়ার কথা বলে তাদের ঘরে এ খাবারের আয়োজন করে। হত্যাকা-ের পরিকল্পনা সম্পর্কে তাদের কিছুই জানানো হয়নি।

পুলিশ আরও জানায়, এজাহার বহির্ভূত গ্রেপ্তারকৃত অন্তু এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল বিকেলে জিসান ও অন্তুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ মামলার ১১ জন এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে ৫ জনকে ও অজ্ঞাতনামা ১ জনসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম জানান, ঘটনার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত ৬ আসামির মধ্যে ৫ জনকে ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। শুনানি না হওয়ায় জিসান ও অন্তুসহ ৫ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামি সুমন পুলিশ প্রহরায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকেলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের পাথুরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

আরও খবর
২০৪১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজন হবে ৫ হাজার কোটি টাকা
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ১২৭৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে ডাক্তার আনা যাবে : কাদের
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁত কারখানা, দিশেহারা তাঁতিরা
চট্টগ্রাম কারাগারের সাবেক তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে মামলা
প্রতিবাদের মুখে পদ ছাড়লেন শেরপুর আ’লীগের সা. সম্পাদক
১৮ বছরের ধৈর্যের দৃষ্টান্ত জালাল উদ্দীন
সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
রাজারবাগের পীরসহ ৪ জনকে বিবাদী করার আবেদন
প্রার্থী তালিকায় প্রাধান্য পেয়েছে মহিলা-তরুণ ও সংখ্যালঘু
ইউপি নির্বাচনে চর দখলের মতো কেন্দ্র দখল হচ্ছে জিএম কাদের

মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১ , ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

কুমিল্লায় জোড়া খুন

আরও দুই আসামি জিসান ও অন্তু গ্রেপ্তার

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা

কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলায় জিসান মিয়া ও মো. রাব্বী ইসলাম প্রকাশ অন্তু নামে আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ জিসানকে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। জিসান নগরীর সুজানগর এলাকার নূর আলীর ছেলে। জিসানের দেয়া তথ্যমতে পুলিশ অন্তুকে দেবিদ্বার উপজেলা সদর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে জিসান এ মামলার এজাহারনামীয় ৮নং ও অন্তু সন্ধিগ্ধ আসামি। ধৃত অন্তু নগরীর সংরাইশ এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে। ঘটনার দিন দুপুরে অন্তুদের বাসায় গরুর মাংসসহ রান্না করা খাবার খেয়ে ৭ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সিটি কাউন্সিলর সোহেলসহ ২ জনের কিলিং মিশনে অংশ নেয়। সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকার ও এলআইসি টিমের এসআই পরিমল চন্দ্র দাস।

পুলিশ জানায়, জোড়া খুনের মামলার আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার জিসানকে (২৮) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল গভীর রাতে পুলিশ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যমতে তার নিকটাত্মীয় সন্ধিগ্ধ আসামি অন্তুকে (১৯) একই রাতে দেবিদ্বার উপজেলা সদর থেকে আটক করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ঘটনার দিন অন্তুর মায়ের রান্না করা মাংস দিয়ে খাবার খেয়ে ৭ জন কাউন্সিলর সোহেল কিলিং মিশনে অংশ নেয়। এ কিলিং মিশনে মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম ও ২নং আসামি সোহেল, ৩নং আসামি সাব্বির হোসেন, ৫নং আসামি সাজন, ১০নং আসামি সায়মনসহ আরও ২ জন ছিল।

অন্তু পুলিশকে জানায়, তারা পরের দিন কক্সবাজার যাওয়ার কথা বলে তাদের ঘরে এ খাবারের আয়োজন করে। হত্যাকা-ের পরিকল্পনা সম্পর্কে তাদের কিছুই জানানো হয়নি।

পুলিশ আরও জানায়, এজাহার বহির্ভূত গ্রেপ্তারকৃত অন্তু এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল বিকেলে জিসান ও অন্তুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ মামলার ১১ জন এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে ৫ জনকে ও অজ্ঞাতনামা ১ জনসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম জানান, ঘটনার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত ৬ আসামির মধ্যে ৫ জনকে ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। শুনানি না হওয়ায় জিসান ও অন্তুসহ ৫ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামি সুমন পুলিশ প্রহরায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকেলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের পাথুরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।