২০২৫ সালের মধ্যে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় যাবে চামড়া খাত

২০২৫ সালের মধ্যে চামড়া রপ্তানিতে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্সংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। সম্প্রতি হোটেলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের যৌথ আয়োজনে ‘চামড়াশিল্পের সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য দেন।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার চামড়াশিল্পকে অন্যতম অগ্রাধিকার শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এ শিল্পটি ২০১৭ সালে ‘প্রডাক্ট অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২৪ সাল নাগাদ এ খাত থেকে রপ্তানি আয় বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মোট জিডিপির ১ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।’

ট্যানারির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য এলডব্লিউজি সার্টিফিকেট অর্জিত হলে তা কমপ্লায়েন্স চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশ্ববাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির মূল উপায় হলো চামড়া খাতকে আন্তর্জাতিক কমপ্লায়েন্সের মানদ-ে উত্তীর্ণ করা। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চামড়া শিল্পের সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো সব অংশীজনের সক্রিয় সম্পৃক্ততা। এ জন্য প্রয়োজন একটি সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এ খাতের বিকাশে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি প্রয়োজন কার্যকর অবকাঠামো গঠন, অর্থায়ন এবং অন্যান্য আইনকানুন ও বিধিবিধান নিশ্চিত করা, অভিজ্ঞতা স্থানান্তরে সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করার জন্য সরকারি খাতের ভূমিকা।’

পোশাকশিল্পের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে এই কর্মপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী এবং দাতা সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, বিএসসিআইসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ, আইএলওর অফিসার ইনচার্জ মরিস ব্রুক, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, শ্রমিক নেতা বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম খান, সাধারণ সম্পাদক জেএম কামরুল আনাম এবং নির্বাহী পরিচালক একেএম আশরাফ উদ্দিন বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে চামড়াশিল্পের সোশ্যাল কমপ্লায়েন্সের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মো. মেহেদী হাসান।

শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২ , ১৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

২০২৫ সালের মধ্যে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় যাবে চামড়া খাত

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

২০২৫ সালের মধ্যে চামড়া রপ্তানিতে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্সংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। সম্প্রতি হোটেলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের যৌথ আয়োজনে ‘চামড়াশিল্পের সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য দেন।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার চামড়াশিল্পকে অন্যতম অগ্রাধিকার শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এ শিল্পটি ২০১৭ সালে ‘প্রডাক্ট অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২৪ সাল নাগাদ এ খাত থেকে রপ্তানি আয় বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মোট জিডিপির ১ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।’

ট্যানারির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য এলডব্লিউজি সার্টিফিকেট অর্জিত হলে তা কমপ্লায়েন্স চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশ্ববাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির মূল উপায় হলো চামড়া খাতকে আন্তর্জাতিক কমপ্লায়েন্সের মানদ-ে উত্তীর্ণ করা। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চামড়া শিল্পের সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো সব অংশীজনের সক্রিয় সম্পৃক্ততা। এ জন্য প্রয়োজন একটি সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এ খাতের বিকাশে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি প্রয়োজন কার্যকর অবকাঠামো গঠন, অর্থায়ন এবং অন্যান্য আইনকানুন ও বিধিবিধান নিশ্চিত করা, অভিজ্ঞতা স্থানান্তরে সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করার জন্য সরকারি খাতের ভূমিকা।’

পোশাকশিল্পের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে এই কর্মপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী এবং দাতা সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, বিএসসিআইসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ, আইএলওর অফিসার ইনচার্জ মরিস ব্রুক, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, শ্রমিক নেতা বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম খান, সাধারণ সম্পাদক জেএম কামরুল আনাম এবং নির্বাহী পরিচালক একেএম আশরাফ উদ্দিন বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে চামড়াশিল্পের সোশ্যাল কমপ্লায়েন্সের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মো. মেহেদী হাসান।