মোটরসাইকেল চোর চক্রের আটক ৬,৮টি উদ্ধার

ঢাকার কেরানীগঞ্জে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৬ সদস্য আটক এবং এই ঘটনায় ৮টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে মো. সাদেক(৩৫), মো. আবু সাঈদ(২৪), মঞ্জুরুল ইসলাম(২৩),আমানউল্লাহ(২১), ফরহাদ হোসেন(২৫),নুরে আলম(২৬)। আটককৃতদের বাড়ি কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায়। গত বুধবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানান ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম) হুমায়ন কবীর।

ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) হুমায়ন কবীর সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, গত ১২ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আরশিনগর এলাকা থেকে সাংবাদিক ফয়সাল ও আলী হোসেনের বাড়ির গেটের তালা ভেঙ্গে ২টি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র। এই ঘটনায় সাংবাদিক ফয়সাল বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

এই মামলার সূত্রধরে মডেল থানার ওসি আবু ছালাম মিয়ার নেতৃত্বে এসআই আবুল কালাম আজাদ ও এসআই আফজাল হোসেনের সমন্বয়ে একদল চৌকস পুলিশদল ঢাকা, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ওই ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। কুমিল্লার শাহরাস্তিতে তাদের একটি নিজস্ব ওয়ার্কসপ রয়েছে। চোর চক্রের একটি গ্রুপ বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে তাদের ওয়ার্কসপে নিয়ে যায়। পরে একটি গ্রুপ ওই ওয়ার্কসপে চুরিকরা মোটরসাইকেল গুলির যন্ত্রাংশ খুলে পরিবর্তন করে পুনরায় মোটরসাইকেল গুলি নতুনের মতো করে ফেলে। পরে আর একটি গ্রুপ ওই মোটরসাইকেল গুলি কাস্টমের নিলামের মধ্যে ক্রয় করা হয়েছে বলে প্রচার চালিয়ে সেগুলো সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করত।

শুক্রবার, ২০ মে ২০২২ , ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৩

মোটরসাইকেল চোর চক্রের আটক ৬,৮টি উদ্ধার

প্রতিনিধি, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)

ঢাকার কেরানীগঞ্জে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৬ সদস্য আটক এবং এই ঘটনায় ৮টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে মো. সাদেক(৩৫), মো. আবু সাঈদ(২৪), মঞ্জুরুল ইসলাম(২৩),আমানউল্লাহ(২১), ফরহাদ হোসেন(২৫),নুরে আলম(২৬)। আটককৃতদের বাড়ি কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায়। গত বুধবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানান ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম) হুমায়ন কবীর।

ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) হুমায়ন কবীর সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, গত ১২ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আরশিনগর এলাকা থেকে সাংবাদিক ফয়সাল ও আলী হোসেনের বাড়ির গেটের তালা ভেঙ্গে ২টি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র। এই ঘটনায় সাংবাদিক ফয়সাল বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

এই মামলার সূত্রধরে মডেল থানার ওসি আবু ছালাম মিয়ার নেতৃত্বে এসআই আবুল কালাম আজাদ ও এসআই আফজাল হোসেনের সমন্বয়ে একদল চৌকস পুলিশদল ঢাকা, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ওই ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। কুমিল্লার শাহরাস্তিতে তাদের একটি নিজস্ব ওয়ার্কসপ রয়েছে। চোর চক্রের একটি গ্রুপ বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে তাদের ওয়ার্কসপে নিয়ে যায়। পরে একটি গ্রুপ ওই ওয়ার্কসপে চুরিকরা মোটরসাইকেল গুলির যন্ত্রাংশ খুলে পরিবর্তন করে পুনরায় মোটরসাইকেল গুলি নতুনের মতো করে ফেলে। পরে আর একটি গ্রুপ ওই মোটরসাইকেল গুলি কাস্টমের নিলামের মধ্যে ক্রয় করা হয়েছে বলে প্রচার চালিয়ে সেগুলো সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করত।