সালথায় দুই পক্ষে সংঘর্ষ : আহত ১২

ফরিদপুর জেলার সালথায় উপজেলায় জমি নিয়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১২ জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২টি দোকানসহ ১৭টি বসতঘর ভাংচুর করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মীরের গট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মীরের গট্টি গ্রামের তোরাপ মাতুব্বরের সাথে তার আপন ভাই আবু মাতুব্বরের বিরোধ চলছিল। আগে তারা দুই ভাই-ই ওই গ্রামের মোড়ল চান মিয়া দলের সমর্থক ছিলেন। জমি নিয়ে বিরোধের পর আবু মাতুব্বর প্রতিপক্ষের মোড়ল ইব্রাহিম খানের দলে যোগ দেন।

এদিকে চান মিয়া হলেন সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের সমর্থক আর প্রতিপক্ষের মোড়ল ইব্রাহিম খান হলেন সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গট্টি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার রেজাউর রহমান চয়নের সমর্থক। এদের মধ্যে এলাকার আধিপত্য নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এদের সমর্থকেরা গত ৬ মাসে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন।

এরমধ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে আবু মাতুব্বর বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তুলতে গেলে বাধা দেন তার ভাই তোরাপ মাতুব্বর। বিষয়টি নিয়ে তখন দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে উভয় দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

তারই সূত্র ধরে, শুক্রবার সকাল ৬টা দিকে আবু মাতুব্বরের সমর্থনে ইব্রাহিম খানের সমর্থকেরা তোরাপের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করলে উভয় মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলার পর ইব্রাহিমের সমর্থকরা পিছু হটলে একক ভাবে হামলা চালিয়ে ২টি দোকানসহ তাদের অন্তত ১৭টি বসতঘর ভাঙচুর করে চান মিয়ার সমর্থকরা।

সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর ৮-৯ জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

রবিবার, ২৬ জুন ২০২২ , ১২ আষাড় ১৪২৮ ২৬ জিলকদ ১৪৪৩

সালথায় দুই পক্ষে সংঘর্ষ : আহত ১২

প্রতিনিধি, ফরিদপুর

ফরিদপুর জেলার সালথায় উপজেলায় জমি নিয়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১২ জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২টি দোকানসহ ১৭টি বসতঘর ভাংচুর করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মীরের গট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মীরের গট্টি গ্রামের তোরাপ মাতুব্বরের সাথে তার আপন ভাই আবু মাতুব্বরের বিরোধ চলছিল। আগে তারা দুই ভাই-ই ওই গ্রামের মোড়ল চান মিয়া দলের সমর্থক ছিলেন। জমি নিয়ে বিরোধের পর আবু মাতুব্বর প্রতিপক্ষের মোড়ল ইব্রাহিম খানের দলে যোগ দেন।

এদিকে চান মিয়া হলেন সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের সমর্থক আর প্রতিপক্ষের মোড়ল ইব্রাহিম খান হলেন সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গট্টি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার রেজাউর রহমান চয়নের সমর্থক। এদের মধ্যে এলাকার আধিপত্য নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এদের সমর্থকেরা গত ৬ মাসে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন।

এরমধ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে আবু মাতুব্বর বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তুলতে গেলে বাধা দেন তার ভাই তোরাপ মাতুব্বর। বিষয়টি নিয়ে তখন দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে উভয় দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

তারই সূত্র ধরে, শুক্রবার সকাল ৬টা দিকে আবু মাতুব্বরের সমর্থনে ইব্রাহিম খানের সমর্থকেরা তোরাপের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করলে উভয় মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলার পর ইব্রাহিমের সমর্থকরা পিছু হটলে একক ভাবে হামলা চালিয়ে ২টি দোকানসহ তাদের অন্তত ১৭টি বসতঘর ভাঙচুর করে চান মিয়ার সমর্থকরা।

সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর ৮-৯ জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।