টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেও পণ্য কিনতে পারছেন না কার্ডধারীদের অনেকেই। ডিলারদের বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে কার্ড হাতে বিক্ষোভ করেছেন তারা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ভুক্তভোগীসহ স্থানীয় জনপ্রিতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বিগত কয়েক মাস ধরেই টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়ম হচ্ছে। মাস্টাররোলে ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে টিসিবির পণ্যের সিংহভাগই বিক্রি করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ডিলাররা। তবে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির কথা অস্বীকার করে ডিলারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের বেকায়দায় ফেলতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দের অতিরিক্ত ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

করোনা পরবর্তী সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সংকট হিসেবে দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে এ বছরের মার্চ-এপ্রিলে টিসিবি নিম্নআয়ের এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়। করোনা পরবর্তী সময়ে নানা কারণেই অনেকের আয়-রোজগার কমে গেছে। কারও কারও আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের অনেকেরই স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে টিসিবি। কিন্তু তারা এখন লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে না পারলে তাদের দুর্ভোগ কমবে না।

ফ্যামিলি কার্ডে তালিকা প্রণয়ন থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিলারদের যোগসাজশ রয়েছে। তারাই মিলেমিশে টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রি করছে। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনেরই কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে।

বগুড়ার শেরপুরে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৭ আশ্বিন ১৪২৯ ২৫ সফর ১৪৪৪

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেও পণ্য কিনতে পারছেন না কার্ডধারীদের অনেকেই। ডিলারদের বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে কার্ড হাতে বিক্ষোভ করেছেন তারা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ভুক্তভোগীসহ স্থানীয় জনপ্রিতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বিগত কয়েক মাস ধরেই টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়ম হচ্ছে। মাস্টাররোলে ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে টিসিবির পণ্যের সিংহভাগই বিক্রি করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ডিলাররা। তবে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির কথা অস্বীকার করে ডিলারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের বেকায়দায় ফেলতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দের অতিরিক্ত ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

করোনা পরবর্তী সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সংকট হিসেবে দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে এ বছরের মার্চ-এপ্রিলে টিসিবি নিম্নআয়ের এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়। করোনা পরবর্তী সময়ে নানা কারণেই অনেকের আয়-রোজগার কমে গেছে। কারও কারও আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের অনেকেরই স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে টিসিবি। কিন্তু তারা এখন লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে না পারলে তাদের দুর্ভোগ কমবে না।

ফ্যামিলি কার্ডে তালিকা প্রণয়ন থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিলারদের যোগসাজশ রয়েছে। তারাই মিলেমিশে টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রি করছে। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনেরই কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে।

বগুড়ার শেরপুরে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।