দুই হেভিওয়েটের লড়াই আজ

মুখোমুখি স্পেন ও জার্মানি

জাপানের কাছে প্রথম ম্যাচে পরাজিত হয়ে পুরো জার্মানি শিবিরের চেহারাই পাল্টে গেছে। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে আজ রাত ১টায় শুরু হওয়া ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে জয় ভিন্ন অন্য কোন পথ খোলা নেই। ১৯৮৮ সালের পর কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে এখনও পর্যন্ত স্পেনকে পরাস্থ করতে পারেনি জার্মানি। কিন্তু সব পরিসংখ্যানের উর্ধ্বে উঠে জার্মানির এখন একটাই স্বপ্ন, জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া।

এশিয়ান পরাশক্তি জাপানের কাছে প্রথম ম্যাচে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয় জার্মানি। মাঠের লড়াইয়ের আগে মাঠের বাইরের ইস্যু নিয়ে বেশি সড়ব ছিল জার্মানরা। মানবাধিকারের প্রতি নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিতে ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে ১১ জন খেলোয়াড়ই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ছবি তুলেছিলেন। এর মাধ্যমে তারা ফিফার মুখ বন্ধ করার একটি প্রতিকী ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু জাপানের কাছে পরাজিত হওয়ার পর হান্সি ফ্লিকের দলের এমনিতেই মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ কেই তো বলেই বসেছে ফুটবলের প্রতি মনোযোগী হওয়ার সময় এসেছে জার্মানির। বিশ^কাপে টানা দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বের বিদায় হয়তোবা তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খুব একটা সুখকর বার্তা হবে না।

স্ট্রাইকার হাভার্টজ বলেছেন খেলোয়াড়রা তাদের আত্মবিশ^াস ধরে রেখেছে। স্পেনের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তারা অবগত। বিশেষ করে স্পেন যেখানে ৭-০ গোলের বড় জয় দিয়ে কোস্টার রিকাকে বিধ্বস্ত করে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে সেখানে স্বাভাবিক ভাবেই চ্যালেঞ্জটা খুবই কঠিন।

এবারের বিশ^কাপে দুই ইউরোপীয়ান হেভিওয়েট এই প্রথম কোন ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। ২০০৬ সালের পর এই প্রথমবারের মতো স্পেন বিশ^াকপের প্রথম ম্যাচে এত বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। পুরো ম্যাচে ৮১.৯ শতাংশ বলের পজিশন স্পেন ধরে রেখেছিল ১৯৬৬ সালের বিশ^কাপের পর যা সর্বোচ্চ। জার্মানির বিপক্ষে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই এখন লা রোজাদের মূল লক্ষ্য। সর্বশেষ ২০২০ সালের নভেম্বরে উয়েফা নেশন্স কাপে মুখোমুখি ম্যাচে স্পেন ৬-০ গোলে জয়ী হয়েছিল।

২০১০ সালে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন হবার পর থেকে আন্তর্জাতিক আসরে স্পেন নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়। ২০১৪ ¿াজিল বিশ^কাপের গ্রুপ পর্বের পর চার বছর আগে রাশিয়ায় শেষ ১৬ থেকে তাদের বিদায় নিতে হয়। তবে জার্মানির বিপক্ষে আজ জয়ী হতে পারলে আবারও তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফিরে আসবে। জাপানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচের আগেই তাদের নক আউট পর্ব নিশ্চিত হবে।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বর স্থানে থাকা জার্মানি সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ ১০টি ম্যাচের মাত্র দু’টিতে জয়ী হয়েছে। কোচ হান্সি ফ্লিক স্বীকার করেছেন স্পেনের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তার দল অবশ্যই চাপে আছে। চারবারের বিশ^ চ্যাম্পিয়নদের এখন একটাই লক্ষ্য অন্তত গ্রুপ পর্ব থেকে যেন টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিদায় না ঘটে। ১৯ বছরের মধ্যে শেষ সাতবারের মোকাবেলায় জার্মানি মাত্র একবার স্পেনকে হারিয়েছে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে প্রীতি ম্যাচটিতে ১-০ গোলে জয়ী হয়েছিল জার্মানি।

কাল দিনের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার সঙ্গে যদি জাপান হার এড়াতে পারে তবে নক আউট পর্বে যেতে জার্মানিকে অবশ্যই জয়ী হতে হবে।

রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২ , ১২ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ৩১ রবিউস সানি ১৪৪৪

দুই হেভিওয়েটের লড়াই আজ

মুখোমুখি স্পেন ও জার্মানি

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

জার্মান দলের অনুশীলন

জাপানের কাছে প্রথম ম্যাচে পরাজিত হয়ে পুরো জার্মানি শিবিরের চেহারাই পাল্টে গেছে। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে আজ রাত ১টায় শুরু হওয়া ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে জয় ভিন্ন অন্য কোন পথ খোলা নেই। ১৯৮৮ সালের পর কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে এখনও পর্যন্ত স্পেনকে পরাস্থ করতে পারেনি জার্মানি। কিন্তু সব পরিসংখ্যানের উর্ধ্বে উঠে জার্মানির এখন একটাই স্বপ্ন, জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া।

এশিয়ান পরাশক্তি জাপানের কাছে প্রথম ম্যাচে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয় জার্মানি। মাঠের লড়াইয়ের আগে মাঠের বাইরের ইস্যু নিয়ে বেশি সড়ব ছিল জার্মানরা। মানবাধিকারের প্রতি নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিতে ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে ১১ জন খেলোয়াড়ই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ছবি তুলেছিলেন। এর মাধ্যমে তারা ফিফার মুখ বন্ধ করার একটি প্রতিকী ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু জাপানের কাছে পরাজিত হওয়ার পর হান্সি ফ্লিকের দলের এমনিতেই মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ কেই তো বলেই বসেছে ফুটবলের প্রতি মনোযোগী হওয়ার সময় এসেছে জার্মানির। বিশ^কাপে টানা দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বের বিদায় হয়তোবা তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খুব একটা সুখকর বার্তা হবে না।

স্ট্রাইকার হাভার্টজ বলেছেন খেলোয়াড়রা তাদের আত্মবিশ^াস ধরে রেখেছে। স্পেনের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তারা অবগত। বিশেষ করে স্পেন যেখানে ৭-০ গোলের বড় জয় দিয়ে কোস্টার রিকাকে বিধ্বস্ত করে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে সেখানে স্বাভাবিক ভাবেই চ্যালেঞ্জটা খুবই কঠিন।

এবারের বিশ^কাপে দুই ইউরোপীয়ান হেভিওয়েট এই প্রথম কোন ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। ২০০৬ সালের পর এই প্রথমবারের মতো স্পেন বিশ^াকপের প্রথম ম্যাচে এত বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। পুরো ম্যাচে ৮১.৯ শতাংশ বলের পজিশন স্পেন ধরে রেখেছিল ১৯৬৬ সালের বিশ^কাপের পর যা সর্বোচ্চ। জার্মানির বিপক্ষে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই এখন লা রোজাদের মূল লক্ষ্য। সর্বশেষ ২০২০ সালের নভেম্বরে উয়েফা নেশন্স কাপে মুখোমুখি ম্যাচে স্পেন ৬-০ গোলে জয়ী হয়েছিল।

২০১০ সালে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন হবার পর থেকে আন্তর্জাতিক আসরে স্পেন নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়। ২০১৪ ¿াজিল বিশ^কাপের গ্রুপ পর্বের পর চার বছর আগে রাশিয়ায় শেষ ১৬ থেকে তাদের বিদায় নিতে হয়। তবে জার্মানির বিপক্ষে আজ জয়ী হতে পারলে আবারও তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফিরে আসবে। জাপানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচের আগেই তাদের নক আউট পর্ব নিশ্চিত হবে।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বর স্থানে থাকা জার্মানি সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ ১০টি ম্যাচের মাত্র দু’টিতে জয়ী হয়েছে। কোচ হান্সি ফ্লিক স্বীকার করেছেন স্পেনের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তার দল অবশ্যই চাপে আছে। চারবারের বিশ^ চ্যাম্পিয়নদের এখন একটাই লক্ষ্য অন্তত গ্রুপ পর্ব থেকে যেন টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিদায় না ঘটে। ১৯ বছরের মধ্যে শেষ সাতবারের মোকাবেলায় জার্মানি মাত্র একবার স্পেনকে হারিয়েছে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে প্রীতি ম্যাচটিতে ১-০ গোলে জয়ী হয়েছিল জার্মানি।

কাল দিনের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার সঙ্গে যদি জাপান হার এড়াতে পারে তবে নক আউট পর্বে যেতে জার্মানিকে অবশ্যই জয়ী হতে হবে।