৪৮ বছরে বাজেট বেড়েছে ৬৬৬ গুণ

১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। ওই বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকার। ওই পথ ধরে গতকাল বাংলাদেশের ৪৮তম বাজেট উপস্থাপন করেছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার বাজেটের আকার প্রায় সোয়া ৫ লাখ কোটি টাকা। স্বাধীনতার পর দেশের অর্থনীতি অনেক বড় হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার ৪৮ বছরের ব্যবধানে ৬৬৬ গুণ বড় বাজেট নিয়ে জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের এটি ছিল প্রথম বাজেট উপস্থাপন।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল অসুস্থতাবোধ করার ফলে পরে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে পুরো বাজেট উপস্থাপন করেন। এর আগে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত বাজেট অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’ শিরোনামে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে প্রথম বাজেট উপস্থাপন করেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। পরের দুটি বাজেটও দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ওই অর্থমন্ত্রী। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট সবচেয়ে বড়। ১৯৭২ সালের বাজেটের তুলনায় বর্তমান বাজেটের আকার বেড়েছে ৬৬৬ গুণ।

একাধারে ১০ বার বাজেট পেশ করে রেকর্ড করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর আগে টানা ৬টি বাজেট দেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। তবে আবুল মাল আবদুল মুহিত টানা ১০টি বাজেট ছাড়াও এরশাদ সরকারের সময়ও (১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছর) দুটি বাজেট দিয়েছিলেন। ওই হিসাবে মুহিতের উপস্থাপনকারী বাজেটের সংখ্যা ১২টি। এছাড়া প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানেরও ১২টি বাজেট দেয়ার রেকর্ড রয়েছে।

তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৫২৪ কোটি, বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। বর্তমান অর্থমন্ত্রীর দেয়া নতুন বাজেটে তা ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৫ এই তিন অর্থবছরে যথাক্রমে ৭৮৬ কোটি, ৯৯৫ কোটি ও ১ হাজার ৮৪.৩৭ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। এরপর ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে ড. আজিজুর রহমান ১ হাজার ৫৪৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৬-৭৭ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১ হাজার ৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা, ১ হাজার ৯৭৭-৭৮ অর্থবছরেও লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছরে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ২ হাজার ৪৯৯ কোটি ও ১৯৭৯-৮০ অর্থবছরে ড. এমএন হুদা ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৮০-৮১ ও ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান যথক্রমে ৪ হাজার ১০৮ কোটি ও ৪ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত যথক্রমে ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি ও ৫ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৮৪-৮৫, ১৯৮৫-৮৬, ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে এম সাইদুজ্জামান যথাক্রমে ৬ হাজার ৬৯৯ কোটি, ৭ হাজার ১৩৮ কোটি, ৮ হাজার ৫০৪ কোটি ও ৮ হাজার ৫২৭ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৮৮-৮৯ অর্থবছরে মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১ হাজার ৫৬৫ কোটি, ১৯৮৯-৯০ ড. ওয়াহিদুল হক ১২ হাজার ৭০৩ কোটি, ১৯৯০-৯১ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৯১-৯২, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৪-৯৫ ও ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান যথাক্রমে ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি, ১৭ হাজার ৬০৭ কোটি, ১৯ হাজার ৫০ কোটি, ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি ও ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৯৬-৯৭, ১৯৯৭-৯৮, ১৯৯৮-৯৯, ১৯৯৯-০০, ২০০০-০১ ও ২০০১-০২ অর্থবছরে এসএএমএস কিবরিয়া যথাক্রমে ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি, ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি, ২৯ হাজার ৫৩৭ কোটি, ৩৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা, ৩৮ হাজার ৫২৪ কোটি ও ৪২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ২০০২-০৩, ২০০৩-০৪, ২০০৪-০৫, ২০০৫-০৬, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান যথাক্রমে ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি, ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি, ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি, ৬১০৫৮ কোটি ও ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যথাক্রমে ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি ও ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ২০০৯-১০ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পর্যন্ত যথাক্রমে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি, ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা, ১ হাজার লাখ ৬৫ হাজার কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি, ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি, ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি, ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি, ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি, ৪ লাখ ২৭০ কোটি ও ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।

আরও খবর
বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে
সঠিক সময়ে রাজস্ব আদায়ই বড় চ্যালেঞ্জ
আ’লীগের ইশতেহার অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই
বাজেট বাস্তবায়ন করাই বড় চ্যালেঞ্জ
প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন কিছু নেই
দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে
জননিরাপত্তায় ব্যয় ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ 
করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই
আবারও এমপিওভুক্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বেড়েছে
বড় দলের বিপক্ষে লড়াই করার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের : কোচ রোডস
পরিবহন ও যোগাযোগে বরাদ্দ ৬৪ হাজার ৮২০ কোটি টাকা
ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচও পরিত্যক্ত
তিন মোড়ল ছাড়া বাকি দেশগুলোর প্রতি কোন দায়দায়িত্ব বোধ আছে মনে করে না আইসিসি

শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯ , ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ১০ শাওয়াল ১৪৪০

৪৮ বছরে বাজেট বেড়েছে ৬৬৬ গুণ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। ওই বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকার। ওই পথ ধরে গতকাল বাংলাদেশের ৪৮তম বাজেট উপস্থাপন করেছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার বাজেটের আকার প্রায় সোয়া ৫ লাখ কোটি টাকা। স্বাধীনতার পর দেশের অর্থনীতি অনেক বড় হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার ৪৮ বছরের ব্যবধানে ৬৬৬ গুণ বড় বাজেট নিয়ে জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের এটি ছিল প্রথম বাজেট উপস্থাপন।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল অসুস্থতাবোধ করার ফলে পরে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে পুরো বাজেট উপস্থাপন করেন। এর আগে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত বাজেট অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’ শিরোনামে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে প্রথম বাজেট উপস্থাপন করেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। পরের দুটি বাজেটও দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ওই অর্থমন্ত্রী। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট সবচেয়ে বড়। ১৯৭২ সালের বাজেটের তুলনায় বর্তমান বাজেটের আকার বেড়েছে ৬৬৬ গুণ।

একাধারে ১০ বার বাজেট পেশ করে রেকর্ড করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর আগে টানা ৬টি বাজেট দেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। তবে আবুল মাল আবদুল মুহিত টানা ১০টি বাজেট ছাড়াও এরশাদ সরকারের সময়ও (১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছর) দুটি বাজেট দিয়েছিলেন। ওই হিসাবে মুহিতের উপস্থাপনকারী বাজেটের সংখ্যা ১২টি। এছাড়া প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানেরও ১২টি বাজেট দেয়ার রেকর্ড রয়েছে।

তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৫২৪ কোটি, বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। বর্তমান অর্থমন্ত্রীর দেয়া নতুন বাজেটে তা ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৫ এই তিন অর্থবছরে যথাক্রমে ৭৮৬ কোটি, ৯৯৫ কোটি ও ১ হাজার ৮৪.৩৭ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। এরপর ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে ড. আজিজুর রহমান ১ হাজার ৫৪৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৬-৭৭ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১ হাজার ৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা, ১ হাজার ৯৭৭-৭৮ অর্থবছরেও লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছরে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ২ হাজার ৪৯৯ কোটি ও ১৯৭৯-৮০ অর্থবছরে ড. এমএন হুদা ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৮০-৮১ ও ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান যথক্রমে ৪ হাজার ১০৮ কোটি ও ৪ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত যথক্রমে ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি ও ৫ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৮৪-৮৫, ১৯৮৫-৮৬, ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে এম সাইদুজ্জামান যথাক্রমে ৬ হাজার ৬৯৯ কোটি, ৭ হাজার ১৩৮ কোটি, ৮ হাজার ৫০৪ কোটি ও ৮ হাজার ৫২৭ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৮৮-৮৯ অর্থবছরে মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১ হাজার ৫৬৫ কোটি, ১৯৮৯-৯০ ড. ওয়াহিদুল হক ১২ হাজার ৭০৩ কোটি, ১৯৯০-৯১ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৯১-৯২, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৪-৯৫ ও ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান যথাক্রমে ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি, ১৭ হাজার ৬০৭ কোটি, ১৯ হাজার ৫০ কোটি, ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি ও ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ১৯৯৬-৯৭, ১৯৯৭-৯৮, ১৯৯৮-৯৯, ১৯৯৯-০০, ২০০০-০১ ও ২০০১-০২ অর্থবছরে এসএএমএস কিবরিয়া যথাক্রমে ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি, ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি, ২৯ হাজার ৫৩৭ কোটি, ৩৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা, ৩৮ হাজার ৫২৪ কোটি ও ৪২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ২০০২-০৩, ২০০৩-০৪, ২০০৪-০৫, ২০০৫-০৬, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান যথাক্রমে ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি, ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি, ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি, ৬১০৫৮ কোটি ও ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যথাক্রমে ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি ও ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ২০০৯-১০ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পর্যন্ত যথাক্রমে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি, ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা, ১ হাজার লাখ ৬৫ হাজার কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি, ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি, ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি, ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি, ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি, ৪ লাখ ২৭০ কোটি ও ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।