শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে টাকার অঙ্কে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা বাড়লেও শতাংশে বাড়ছে না।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ অথবা মোট বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দের সুপারিশ করে আসছে। গত পাঁচ-সাত বছর ধরেই শিক্ষায় বরাদ্দ ১০ থেকে ১২ শতাংশের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও প্রতিবছর বাজেটের আকার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টাকার অঙ্কে বরাদ্দও কিছুটা বাড়ছে। আগামী অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৪ হাজার ৪১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ছিল ২২ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে সাত হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত মিলিয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।

শিক্ষা খাতের বাজেট বরাদ্দের বড় অংশই ব্যয় হচ্ছে অনুন্নয়ন খাত অর্থাৎ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতায়। প্রতিবছর বাজেটে টাকার অংকে কিছুটা বরাদ্দ বাড়লেও শিক্ষার্থীদের মানের তেমন উন্নয়ন হচ্ছে না বলে শিক্ষাবিদদের অভিযোগ। শিক্ষার্থীদের আগের মতোই দৌড়াতে হচ্ছে কোচিং ও প্রাইভেট পড়ার পেছনে। স্কুলগুলোও ক্লাসের পাশাপাশি আয়োজন করছে কোচিংয়ের। স্কুলে পাঠদান কমতে থাকায় অভিভাবকদের কিনতে হচ্ছে একগাদা নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই।

আরও খবর
বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে
৪৮ বছরে বাজেট বেড়েছে ৬৬৬ গুণ
সঠিক সময়ে রাজস্ব আদায়ই বড় চ্যালেঞ্জ
আ’লীগের ইশতেহার অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই
বাজেট বাস্তবায়ন করাই বড় চ্যালেঞ্জ
প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন কিছু নেই
দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে
জননিরাপত্তায় ব্যয় ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ 
করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই
আবারও এমপিওভুক্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বেড়েছে
বড় দলের বিপক্ষে লড়াই করার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের : কোচ রোডস
পরিবহন ও যোগাযোগে বরাদ্দ ৬৪ হাজার ৮২০ কোটি টাকা
ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচও পরিত্যক্ত
তিন মোড়ল ছাড়া বাকি দেশগুলোর প্রতি কোন দায়দায়িত্ব বোধ আছে মনে করে না আইসিসি

শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯ , ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ১০ শাওয়াল ১৪৪০

শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে টাকার অঙ্কে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা বাড়লেও শতাংশে বাড়ছে না।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ অথবা মোট বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দের সুপারিশ করে আসছে। গত পাঁচ-সাত বছর ধরেই শিক্ষায় বরাদ্দ ১০ থেকে ১২ শতাংশের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও প্রতিবছর বাজেটের আকার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টাকার অঙ্কে বরাদ্দও কিছুটা বাড়ছে। আগামী অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৪ হাজার ৪১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ছিল ২২ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে সাত হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত মিলিয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।

শিক্ষা খাতের বাজেট বরাদ্দের বড় অংশই ব্যয় হচ্ছে অনুন্নয়ন খাত অর্থাৎ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতায়। প্রতিবছর বাজেটে টাকার অংকে কিছুটা বরাদ্দ বাড়লেও শিক্ষার্থীদের মানের তেমন উন্নয়ন হচ্ছে না বলে শিক্ষাবিদদের অভিযোগ। শিক্ষার্থীদের আগের মতোই দৌড়াতে হচ্ছে কোচিং ও প্রাইভেট পড়ার পেছনে। স্কুলগুলোও ক্লাসের পাশাপাশি আয়োজন করছে কোচিংয়ের। স্কুলে পাঠদান কমতে থাকায় অভিভাবকদের কিনতে হচ্ছে একগাদা নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই।