রাখাইন রাজ্যকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান প্রধানমন্ত্রীর

মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশকে বাংলাদেশের ভূখন্ডে যুক্ত করার জন্য মার্কিন কংগ্রেসম্যান বেন শারমেন যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যে সীমানা আছে আমরা তাতেই খুশি। মায়ানমার তার সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে, সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সীমানাজুড়ে দেয়ার প্রসঙ্গ আসে কেন? এ ধরনের কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত ও অন্যায় কাজ বলে আমি মনে করি। গতকাল বিকেলে গণভবনে সাম্প্রতিক সময়ে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মায়ানমার আমাদের প্রতিবেশী দেশ। সেখানে যখন এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার লোকজন আমাদের কাছে আশ্রয় চেয়েছে, মানবিক কারণে আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। আশ্রয় দেয়ার অর্থ এটা নয় যে, আমরা তাদের রাষ্ট্রের একটা অংশ নিয়ে চলে আসব। এই মানসিকতা আমাদের নেই। এটা আমরা চাই না। প্রত্যেকটা দেশ তাদের সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে এটাই আমি চাই।

এ অঞ্চলে শান্তি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমরা শান্তি চাই। যুক্তরাষ্ট্র যেখানেই সমস্যা সমাধানের মোড়লগিরি করেছে, সেখানেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা তাদের রাখাইনকে জুড়ে দেয়ার পরামর্শ না দিয়ে মায়ানমার কীভাবে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে; সে বিষয়ে কাজ করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, এসব কথা না বলে বরং মায়ানমার কীভাবে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে, এই কংগ্রেসম্যানদের সে বিষয়ে কাজ করা উচিত।

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০

রাখাইন রাজ্যকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশকে বাংলাদেশের ভূখন্ডে যুক্ত করার জন্য মার্কিন কংগ্রেসম্যান বেন শারমেন যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যে সীমানা আছে আমরা তাতেই খুশি। মায়ানমার তার সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে, সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সীমানাজুড়ে দেয়ার প্রসঙ্গ আসে কেন? এ ধরনের কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত ও অন্যায় কাজ বলে আমি মনে করি। গতকাল বিকেলে গণভবনে সাম্প্রতিক সময়ে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মায়ানমার আমাদের প্রতিবেশী দেশ। সেখানে যখন এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার লোকজন আমাদের কাছে আশ্রয় চেয়েছে, মানবিক কারণে আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। আশ্রয় দেয়ার অর্থ এটা নয় যে, আমরা তাদের রাষ্ট্রের একটা অংশ নিয়ে চলে আসব। এই মানসিকতা আমাদের নেই। এটা আমরা চাই না। প্রত্যেকটা দেশ তাদের সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে এটাই আমি চাই।

এ অঞ্চলে শান্তি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমরা শান্তি চাই। যুক্তরাষ্ট্র যেখানেই সমস্যা সমাধানের মোড়লগিরি করেছে, সেখানেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা তাদের রাখাইনকে জুড়ে দেয়ার পরামর্শ না দিয়ে মায়ানমার কীভাবে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে; সে বিষয়ে কাজ করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, এসব কথা না বলে বরং মায়ানমার কীভাবে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে, এই কংগ্রেসম্যানদের সে বিষয়ে কাজ করা উচিত।