বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার স্বাধীনতার প্রতীক

বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী

বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে সারাবিশ্বের জন্য স্বাধীনতা ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছেন। বাসস।

গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন সংক্রান্ত দুই দিনব্যাপী ঢাকা সম্মেলনের ফাঁকে ক্রিস্টালিনা গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘আপনার পরিবার সারাবিশ্বের জন্য স্বাধীনতা ও সংগ্রামের প্রতীক।’

বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ছাত্রী ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে সব ধরনের উন্নয়ন বিশেষত নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষায় অগ্রগতির জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় লেখাপড়ায় এগিয়ে আছে। তারা অপেক্ষাকৃত ভালো করছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আরও উন্নয়নের লক্ষে বিশ্বব্যাংক আইডিএ’র মাধ্যমে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে মানুষকে রক্ষা করতে চায়।

তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের জন্য নৌপথে আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ক্রিস্টালিনা বলেন, মায়ানমারের উচিত রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত নিয়ে যাওয়া। কারণ, রাখাইন রাজ্য থেকে তাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।

বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর পরই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠন করেন।

এই কাজকে তিনি ‘বিরাট কাজ’ বলে অভিহিত করে আরও বলেন, কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর দেশের সব উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

আরও খবর
জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকির মুখে বাংলাদেশ
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান
বাংলাদেশে বৈশ্বিক অভিযোজন কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব বান কি মুনের
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আর নেই
ভিকারুননিসার দুই শিক্ষিকার বিচার শুরুর আদেশ
১৩ জুলাই গণঅবস্থান বাম ঐক্যের
ভবন ভাঙচুর ও ৫ কোটি টাকার সম্পদ লুট
প্রবীণ সাংবাদিক অজয় বড়ুয়ার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা
তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেয়ার হিড়িক!
শিশু নির্যাতন বন্ধে স্কুলে অভিযোগ বক্স রাখার নির্দেশ
ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন : শিক্ষক বরখাস্ত
মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট হাসান রেজা নিখোঁজ

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ , ২৭ আষাঢ় ১৪২৫, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪০

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার স্বাধীনতার প্রতীক

বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী

বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে সারাবিশ্বের জন্য স্বাধীনতা ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছেন। বাসস।

গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন সংক্রান্ত দুই দিনব্যাপী ঢাকা সম্মেলনের ফাঁকে ক্রিস্টালিনা গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘আপনার পরিবার সারাবিশ্বের জন্য স্বাধীনতা ও সংগ্রামের প্রতীক।’

বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ছাত্রী ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে সব ধরনের উন্নয়ন বিশেষত নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষায় অগ্রগতির জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় লেখাপড়ায় এগিয়ে আছে। তারা অপেক্ষাকৃত ভালো করছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আরও উন্নয়নের লক্ষে বিশ্বব্যাংক আইডিএ’র মাধ্যমে সর্বোচ্চ সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে মানুষকে রক্ষা করতে চায়।

তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের জন্য নৌপথে আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ক্রিস্টালিনা বলেন, মায়ানমারের উচিত রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত নিয়ে যাওয়া। কারণ, রাখাইন রাজ্য থেকে তাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।

বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর পরই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠন করেন।

এই কাজকে তিনি ‘বিরাট কাজ’ বলে অভিহিত করে আরও বলেন, কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর দেশের সব উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ হয়ে যায়।