শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাঙ্গনে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে ছাত্রলীগকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি শিক্ষকদের দলাদলিতে ছাত্র নেতাদের না জড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী গতকাল রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই প্রথম কোন শিক্ষামন্ত্রীর ছাত্র নেতাদের সঙ্গে এমন আয়োজন। এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য ছাত্র নেতারা মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
এ সময় ছাত্র নেতারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। ছাত্র নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সমস্যা, ট্রান্সপোর্ট সমস্যা, ইন্টারনেট সমস্যা, পরীক্ষায় কোডিং সিস্টেম চালু করা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, কেন্টিনের সমস্যা, খাবার-দাবার সমস্যা, লাইব্রেরির সমস্যা, নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধীরগতি এবং বিভিন্ন বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্ত্রী আগামী ১০ দিনের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো লিখিতভাবে তাকে জানানোর জন্য বলেন। তিনি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখিত সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত পিডিদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে বৈঠকে আশ্বাস দেন। মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিক্ষার গুণগত উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুবই জরুরি।’ তিনি ছাত্রলীগকে শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। কোন রকমের সমস্যা হলে তা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করার গুরুত্বারোপ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যর্থ হলে তা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করতে বলেন। আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে নিষেধ করেন এ মন্ত্রী।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ছাত্র হিসেবে ছাত্রদের প্রধান কাজ হলো লেখাপড়া করা এবং ওই লেখাপড়া কাজে লাগিয়ে নিজের ক্যারিয়ার ও বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখা।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন আছে, এই আইনের মধ্যে থেকে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা সমাধানে কাজ করবে। সভায় রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ছাত্রলীগকে ছাত্রদের দাবি-দাওয়া আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।
গোলাম রাব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক সময় তাদের স্বায়ত্তশাসনের অপব্যবহার করে। ছাত্র রাজনীতি যারা করে, তাদের অনেক সময় কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন, যা খুবই দুঃখজনক।
শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯ , ২৮ আষাঢ় ১৪২৫, ৮ জিলকদ ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাঙ্গনে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে ছাত্রলীগকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি শিক্ষকদের দলাদলিতে ছাত্র নেতাদের না জড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী গতকাল রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই প্রথম কোন শিক্ষামন্ত্রীর ছাত্র নেতাদের সঙ্গে এমন আয়োজন। এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য ছাত্র নেতারা মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
এ সময় ছাত্র নেতারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। ছাত্র নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সমস্যা, ট্রান্সপোর্ট সমস্যা, ইন্টারনেট সমস্যা, পরীক্ষায় কোডিং সিস্টেম চালু করা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, কেন্টিনের সমস্যা, খাবার-দাবার সমস্যা, লাইব্রেরির সমস্যা, নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধীরগতি এবং বিভিন্ন বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্ত্রী আগামী ১০ দিনের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো লিখিতভাবে তাকে জানানোর জন্য বলেন। তিনি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখিত সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত পিডিদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে বৈঠকে আশ্বাস দেন। মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিক্ষার গুণগত উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুবই জরুরি।’ তিনি ছাত্রলীগকে শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। কোন রকমের সমস্যা হলে তা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করার গুরুত্বারোপ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যর্থ হলে তা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করতে বলেন। আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে নিষেধ করেন এ মন্ত্রী।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ছাত্র হিসেবে ছাত্রদের প্রধান কাজ হলো লেখাপড়া করা এবং ওই লেখাপড়া কাজে লাগিয়ে নিজের ক্যারিয়ার ও বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখা।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন আছে, এই আইনের মধ্যে থেকে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যা সমাধানে কাজ করবে। সভায় রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ছাত্রলীগকে ছাত্রদের দাবি-দাওয়া আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।
গোলাম রাব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক সময় তাদের স্বায়ত্তশাসনের অপব্যবহার করে। ছাত্র রাজনীতি যারা করে, তাদের অনেক সময় কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন, যা খুবই দুঃখজনক।