২২ বছর আগে ভারতে পড়তে এসেছিলেন কেনিয়ার আইনপ্রণেতা রিচার্ড টোংগি। মুদি দোকানে বাকি পড়েছিল ২০০ টাকা। দেশে ফেরার সময় ভুলে গিয়েছিলেন সেই ধার শোধ করতে। তবে সেই পুরনো ধার শোধ করতে তিনি ভারতে চলে এসেছেন। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের বরাতে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের এ ঘটনার সম্পর্কে জানা যায়।
১৯৮৫ সালে কেনিয়া থেকে ঔরঙ্গাবাদে পড়াশোনা করতে এসেছিলেন টোংগি। ব্যবস্থাপনা কলেজের ছাত্র ছিলেন। চার বছর পড়াশোনা করার পর ১৯৮৯ সালে কেনিয়ায় ফিরে যান। ভারতে থাকার চার বছরে স্থানীয় মুদিখানা দোকানের মালিক কাশীনাথ গাউলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। যাওয়ার কিছুদিন আগে ২০০ টাকা বাকি পড়ে, সেটি দিতে ভুলে যান। এরপর চলে গেছে ২২ বছর। জীবনযুদ্ধে অনেক লড়াই করে রিচার্ড এখন আইনপ্রণেতা। একদিন হঠাৎ রিচার্ডের মনে পড়ে কাশীনাথের সেই টাকার কথা। সিদ্ধান্ত নেন ভারতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করবেন। কয়েক দিন আগে তিনি পরিবারসহ ভারতে পৌঁছান। মহারাষ্ট্র সরকার তাকে সংবর্ধনা দেয়। স্থানীয় পত্রিকার প্রথম পাতায় তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, টোংগিকে দেখে কাশীনাথ প্রথমে চিনতে পারেননি। পরে পরিচয় জানার পর কেঁদে ফেলেন। উপকারী বন্ধুকে দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি টোংগিও। স্মৃতিমন্থন করে বলেন, ‘ঔরঙ্গাবাদে যখন পড়াশোনা করতাম তখন খুব দরিদ্র ছিলাম। কাশীর মতো মানুষেরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। কেনিয়া ফিরে যাওয়ার পরেও সেই কথা ভুলতে পারিনি। কিছুদিন আগে আমার মনে হয়, ভারতে ফিরে গিয়ে পুরনো ধার শোধ করতে হবে।’ টোংগি বলেন, ‘এখানে আসার পর উনারা আমাকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে খাওয়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি বলি যে উনাদের বাড়িতেই খাব। কাশী ও তার পরিবারকে কেনিয়া যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’
শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯ , ২৯ আষাঢ় ১৪২৫, ৯ জিলকদ ১৪৪০
সংবাদ ডেস্ক
২২ বছর আগে ভারতে পড়তে এসেছিলেন কেনিয়ার আইনপ্রণেতা রিচার্ড টোংগি। মুদি দোকানে বাকি পড়েছিল ২০০ টাকা। দেশে ফেরার সময় ভুলে গিয়েছিলেন সেই ধার শোধ করতে। তবে সেই পুরনো ধার শোধ করতে তিনি ভারতে চলে এসেছেন। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের বরাতে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের এ ঘটনার সম্পর্কে জানা যায়।
১৯৮৫ সালে কেনিয়া থেকে ঔরঙ্গাবাদে পড়াশোনা করতে এসেছিলেন টোংগি। ব্যবস্থাপনা কলেজের ছাত্র ছিলেন। চার বছর পড়াশোনা করার পর ১৯৮৯ সালে কেনিয়ায় ফিরে যান। ভারতে থাকার চার বছরে স্থানীয় মুদিখানা দোকানের মালিক কাশীনাথ গাউলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। যাওয়ার কিছুদিন আগে ২০০ টাকা বাকি পড়ে, সেটি দিতে ভুলে যান। এরপর চলে গেছে ২২ বছর। জীবনযুদ্ধে অনেক লড়াই করে রিচার্ড এখন আইনপ্রণেতা। একদিন হঠাৎ রিচার্ডের মনে পড়ে কাশীনাথের সেই টাকার কথা। সিদ্ধান্ত নেন ভারতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করবেন। কয়েক দিন আগে তিনি পরিবারসহ ভারতে পৌঁছান। মহারাষ্ট্র সরকার তাকে সংবর্ধনা দেয়। স্থানীয় পত্রিকার প্রথম পাতায় তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, টোংগিকে দেখে কাশীনাথ প্রথমে চিনতে পারেননি। পরে পরিচয় জানার পর কেঁদে ফেলেন। উপকারী বন্ধুকে দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি টোংগিও। স্মৃতিমন্থন করে বলেন, ‘ঔরঙ্গাবাদে যখন পড়াশোনা করতাম তখন খুব দরিদ্র ছিলাম। কাশীর মতো মানুষেরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। কেনিয়া ফিরে যাওয়ার পরেও সেই কথা ভুলতে পারিনি। কিছুদিন আগে আমার মনে হয়, ভারতে ফিরে গিয়ে পুরনো ধার শোধ করতে হবে।’ টোংগি বলেন, ‘এখানে আসার পর উনারা আমাকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে খাওয়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি বলি যে উনাদের বাড়িতেই খাব। কাশী ও তার পরিবারকে কেনিয়া যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’