কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় আহত পুলিশ সার্জেন্ট কিবরিয়ার মৃত্যু

যমুনা গ্রুপের কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া মারা গেছেন। গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে গত সোমবার বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের সামনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় আহত হন তিনি।

এদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ শিরু মিয়া মিলনায়তনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকাল ৮টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার জন্মভূমি পটুয়াখালীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন কিবরিয়া।

এদিকে সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুতে নিজ বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শোকবার্তা দিয়ে আহাজারি করছেন তার বন্ধু ও সহকর্মীরা। তাদের দুই বছরের এক ছেলেসন্তান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্ণকাঠি জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পটুয়াখালীগামী যমুনা গ্রুপের বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ড ভ্যানকে (ঢাকা-মেট্রো-উ-১২-২০৫৪) থামার সংকেত দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া। কাভার্ড ভ্যানটি সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সার্জেন্ট কিবরিয়া একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া করে কাভার্ড ভ্যানটির সামনে গিয়ে ফের থামার সংকেত দেন। কাভার্ড ভ্যানচালক জলিল মিয়া এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী সার্জেন্ট কিবরিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তার দুই পায়ের ৪টি স্থানে হাড় ভেঙে যায় এবং মূত্রথলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির নলছিটি থানা পুলিশ ধাওয়া করে চালক জলিল সিকদারসহ কাভার্ড ভ্যানটি আটক করে। কিবরিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিবরিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর পরই তাকে জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

দায়িত্বরত অবস্থায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে চাপা দেয়ার ঘটনায় আটক যমুনা গ্রুপের কাভার্ড ভ্যানচালক মো. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্দর থানায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

আরও খবর
একনেকে ৫১৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ প্রকল্প অনুমোদন
কাবিননামার পাঁচ নম্বর বিধি কেন অবৈধ নয়
বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ
২৫-৩১ জুলাই পর্যন্ত মশক নিধন সপ্তাহ
রংপুরেই সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদের লাশ দাফন
২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ৬ হাজার কোটি ডলার
চীনা ডেমো ট্রেন আর কিনবে না সরকার
৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
দেশজুড়ে গুম খুন-ধর্ষণ মহামারী
জঙ্গি সংগঠন ধ্বংস করেছি, মতাদর্শ রয়ে গেছে
চার বছর পর পলাতক আসামি গ্রেফতার
সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর
রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ১০ বছর পর মুক্তি পেলেন আজমত আলী
খুলনায় ক্ষুদের খাল খননে হরিলুট
বিয়ের আনন্দবাড়ি বিষাদে পরিণত

বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০

কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় আহত পুলিশ সার্জেন্ট কিবরিয়ার মৃত্যু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

যমুনা গ্রুপের কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া মারা গেছেন। গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে গত সোমবার বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের সামনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় আহত হন তিনি।

এদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ শিরু মিয়া মিলনায়তনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকাল ৮টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার জন্মভূমি পটুয়াখালীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন কিবরিয়া।

এদিকে সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুতে নিজ বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শোকবার্তা দিয়ে আহাজারি করছেন তার বন্ধু ও সহকর্মীরা। তাদের দুই বছরের এক ছেলেসন্তান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্ণকাঠি জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পটুয়াখালীগামী যমুনা গ্রুপের বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ড ভ্যানকে (ঢাকা-মেট্রো-উ-১২-২০৫৪) থামার সংকেত দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া। কাভার্ড ভ্যানটি সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সার্জেন্ট কিবরিয়া একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া করে কাভার্ড ভ্যানটির সামনে গিয়ে ফের থামার সংকেত দেন। কাভার্ড ভ্যানচালক জলিল মিয়া এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী সার্জেন্ট কিবরিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তার দুই পায়ের ৪টি স্থানে হাড় ভেঙে যায় এবং মূত্রথলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির নলছিটি থানা পুলিশ ধাওয়া করে চালক জলিল সিকদারসহ কাভার্ড ভ্যানটি আটক করে। কিবরিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিবরিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর পরই তাকে জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

দায়িত্বরত অবস্থায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে চাপা দেয়ার ঘটনায় আটক যমুনা গ্রুপের কাভার্ড ভ্যানচালক মো. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্দর থানায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।