যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্টকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। এতে ক্ষমতাসীন এ দলের পরবর্তী প্রধান এবং একই সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হচ্ছেন তিনি। গতকাল কনজারভেটিভ দলের সদস্যরা দলীয় প্রধান হিসেবে বরিস জনসনকে নির্বাচন করেন। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। থেরেসা মে’র উত্তরসূরি হিসেবে কনজারভেটিভ দলের প্রধান হওয়ার লড়াইয়ে সদস্যদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন তিনি। ভোটের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, বরিস জনসন পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৫৩ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্ট পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬৫৬ ভোট।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর শপথ ও বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবেন বরিস জনসন।

ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ৭ জুন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের নেতার পদ থেকে থেরেসার সরে দাঁড়ানোর পর নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে কনজারভেটিভ দল।

বরিস জনসন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এবং তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্টের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জেরেমির দারুণ কিছু পরিকল্পনা আছে। সেগুলো নিয়ে নিজেও কাজ করতে চান। থেরেসা মেকেও দেশের প্রতি অবদানের জন্য সম্মান জানান।

বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন থেরেসা মে। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘কনজারভেটিভদের নেতা নির্বাচিত হওয়ায় বরিস জনসনকে অনেক অভিনন্দন। এখন আমাদের সবাইকে মিলে ব্রেক্সিট ইস্যুতে এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন তা সর্বোচ্চ ফলপ্রসূ হয়। আর জেরেমি করবিনকে এসব প্রক্রিয়ার বাইরে রাখতে হবে। আপনার সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে আমার।’

ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থার সময় বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। থেরেসা মে সংকট সমাধানে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বায়িত্ব এখন তার কাঁধে।

বরিস জনসন হওয়ায় তার নীতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন এমন ব্রিটিশ মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে পারেন। এদের মধ্যে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী।

বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯ , ৯ শ্রাবন ১৪২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪০

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্টকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। এতে ক্ষমতাসীন এ দলের পরবর্তী প্রধান এবং একই সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হচ্ছেন তিনি। গতকাল কনজারভেটিভ দলের সদস্যরা দলীয় প্রধান হিসেবে বরিস জনসনকে নির্বাচন করেন। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। থেরেসা মে’র উত্তরসূরি হিসেবে কনজারভেটিভ দলের প্রধান হওয়ার লড়াইয়ে সদস্যদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন তিনি। ভোটের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, বরিস জনসন পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৫৩ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্ট পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬৫৬ ভোট।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর শপথ ও বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবেন বরিস জনসন।

ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ৭ জুন যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের নেতার পদ থেকে থেরেসার সরে দাঁড়ানোর পর নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে কনজারভেটিভ দল।

বরিস জনসন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এবং তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্টের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জেরেমির দারুণ কিছু পরিকল্পনা আছে। সেগুলো নিয়ে নিজেও কাজ করতে চান। থেরেসা মেকেও দেশের প্রতি অবদানের জন্য সম্মান জানান।

বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন থেরেসা মে। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘কনজারভেটিভদের নেতা নির্বাচিত হওয়ায় বরিস জনসনকে অনেক অভিনন্দন। এখন আমাদের সবাইকে মিলে ব্রেক্সিট ইস্যুতে এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন তা সর্বোচ্চ ফলপ্রসূ হয়। আর জেরেমি করবিনকে এসব প্রক্রিয়ার বাইরে রাখতে হবে। আপনার সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে আমার।’

ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থার সময় বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। থেরেসা মে সংকট সমাধানে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বায়িত্ব এখন তার কাঁধে।

বরিস জনসন হওয়ায় তার নীতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন এমন ব্রিটিশ মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে পারেন। এদের মধ্যে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী।