সাটুরিয়ায় মা ছেলে হত্যা : ৬৪ ধারায় স্বীকারক্তি

সাটুরিয়ার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের মা ছেলের জোড়া খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পরকীয়ার জেরে হত্যা করা হয়েছে মা ও ছেলেকে। মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয় দেবর সোলাইমান বিজ্ঞ আদালতে ৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন ভাতিজা আব্দুল নুর হোসেনকে গলায় ও পেটে ৮ স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর ভাবি পারভীনকে গলা কেটে হত্যা করে। মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ঘাতক সোলাইমানকে ডিবি অফিসে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে এ লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়।

সোলাইমান পুলিশকে জানায়, তার ভাবি পারভীনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া ছিল। ভাবিকে তার ভাইয়ের সংসার ছেড়ে তার সঙ্গে ঘর সংসার করতে বলেছিলাম। কিন্তু সে রাজি হয়নি। এভাবে অনেকদিন ধরে তাকে আমাকে বিয়ে করতে বলেছি। কিন্তু সে বার বার দুটি ছেলে সন্তানের কথা বলেছে। বড় ভাতিজা মাদ্রাসা থাকত। আর ছোট ভাতিজা মার সঙ্গে থাকত। সেদিন রাতে ভাতিজা নুর হোসেন ও ভাবি পারভীনকে জবাই করে হত্যা করি প্রতিশোধ নিতে।

নুরের দাদা ক্বারী আব্দুল রহমান জানান, আমার ছেলে সোলাইমানের মতো এ গ্রামে একটি ছেলে নেই। সে কোন নেশা করে না। পুলিশ তাকে ফাঁসানোর জন্য ধরে নিয়ে গেছে। তার সঙ্গে আমার পরিবারের কাউকে দেখা করতে দেয় না। সাটুরিয়ার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মজনুর স্ত্রী পারভীন আক্তার ও তার চার বছরের ছেলে নুর হোসেন তাদের দু’তলা ফ্লাট বাসায় বুধবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমায়। বৃহস্পতিবার সকালে নুর মাদ্রাসায় মকতব পরতে না যাওয়ায় আশেপাশের সহপাঠীরা তাকে ডাকতে এলে নুরের দাদী রোমেনা বেগম নাতিকে ডাকতে যায়। ডাকতে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন খাটের ওপর তার নাতি নুর ও তার ছেলের স্ত্রী পারভীনে নিথর দেহ বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে। তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে। পরে পুলিশ মা ও ছেলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত আবুল কালাম (পিপিএম) জানান, ভাবির সঙ্গে দেবরের ৫-৬ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার মা বাবা সোলাইমানকে অন্য কোথাও বিয়ে করতে বললে সে বিয়ে করবে না বলে জানায়। ওইদিন রাতে সে তার ভাবির ঘরে প্রবেশ করে দেবরকে বিয়ে করতে বলে। ভাবি দেবরকে বিয়ে করার কথা বললে রাজি না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাবি ও ভাতিজা কে খুন করে।

রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০ , ২৮ পৌষ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সাটুরিয়ায় মা ছেলে হত্যা : ৬৪ ধারায় স্বীকারক্তি

প্রতিনিধি, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)

সাটুরিয়ার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের মা ছেলের জোড়া খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পরকীয়ার জেরে হত্যা করা হয়েছে মা ও ছেলেকে। মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয় দেবর সোলাইমান বিজ্ঞ আদালতে ৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন ভাতিজা আব্দুল নুর হোসেনকে গলায় ও পেটে ৮ স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর ভাবি পারভীনকে গলা কেটে হত্যা করে। মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ঘাতক সোলাইমানকে ডিবি অফিসে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে এ লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়।

সোলাইমান পুলিশকে জানায়, তার ভাবি পারভীনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া ছিল। ভাবিকে তার ভাইয়ের সংসার ছেড়ে তার সঙ্গে ঘর সংসার করতে বলেছিলাম। কিন্তু সে রাজি হয়নি। এভাবে অনেকদিন ধরে তাকে আমাকে বিয়ে করতে বলেছি। কিন্তু সে বার বার দুটি ছেলে সন্তানের কথা বলেছে। বড় ভাতিজা মাদ্রাসা থাকত। আর ছোট ভাতিজা মার সঙ্গে থাকত। সেদিন রাতে ভাতিজা নুর হোসেন ও ভাবি পারভীনকে জবাই করে হত্যা করি প্রতিশোধ নিতে।

নুরের দাদা ক্বারী আব্দুল রহমান জানান, আমার ছেলে সোলাইমানের মতো এ গ্রামে একটি ছেলে নেই। সে কোন নেশা করে না। পুলিশ তাকে ফাঁসানোর জন্য ধরে নিয়ে গেছে। তার সঙ্গে আমার পরিবারের কাউকে দেখা করতে দেয় না। সাটুরিয়ার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মজনুর স্ত্রী পারভীন আক্তার ও তার চার বছরের ছেলে নুর হোসেন তাদের দু’তলা ফ্লাট বাসায় বুধবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমায়। বৃহস্পতিবার সকালে নুর মাদ্রাসায় মকতব পরতে না যাওয়ায় আশেপাশের সহপাঠীরা তাকে ডাকতে এলে নুরের দাদী রোমেনা বেগম নাতিকে ডাকতে যায়। ডাকতে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন খাটের ওপর তার নাতি নুর ও তার ছেলের স্ত্রী পারভীনে নিথর দেহ বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে। তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে। পরে পুলিশ মা ও ছেলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত আবুল কালাম (পিপিএম) জানান, ভাবির সঙ্গে দেবরের ৫-৬ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার মা বাবা সোলাইমানকে অন্য কোথাও বিয়ে করতে বললে সে বিয়ে করবে না বলে জানায়। ওইদিন রাতে সে তার ভাবির ঘরে প্রবেশ করে দেবরকে বিয়ে করতে বলে। ভাবি দেবরকে বিয়ে করার কথা বললে রাজি না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাবি ও ভাতিজা কে খুন করে।