বালিয়াডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়

তুইতো মুচি, তোর লেখাপড়া শিখে কি লাভ

ঋষি সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

‘তুইতো মুচি, তোর লেখাপড়া শিখে কি লাভ? তুই যদি পরীক্ষায় পাসও করিস তারপরেও আমরা তোরে ক্লাসে তুলবো না।’ যশোরের কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে স্থানীয় দলিত সম্প্রদায়ের শিশু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের উক্তিসহ নানা বৈষম্য ও অস্পৃশ্যমূলক আচরণ ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠেছে। শুধু তিনিই নন সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের আচরণের অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের অমর্যাদা ও অবজ্ঞামূলক আচরণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুন ও সহকারী শিক্ষকদের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল মানববন্ধন করা হয়েছে। যশোর প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ দলিত পরিষদ যশোর জেলা কমিটি মানববন্ধন করে। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দলিত পরিষদের যশোর জেলা কমিটির সভাপতি আনন্দ দাস, সাধারণ সম্পাদক বিপুল দাস, যশোর সদর উপজেলা বিডিপির সম্পাদক তপন দাস, মণিরামপুর উপজেলা বিডিপির সভাপতি শিবনাথ দাস, সাধারণ সম্পাদক নিখিল চন্দ্র দাস, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহামুদুল হাসান বুলু, যুব মৈত্রীর যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস প্রমুখ।

মানববন্ধনে উপস্থিত বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুন ও সহকারী শিক্ষকদের বৈষম্য ও অস্পৃশ্যমূলক আচরণের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষকরা ঋষি পাড়ার ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রায়শই অমর্যাদা ও অবজ্ঞামূলক আচরণ করে থাকেন। ঋষি পল্লীর শিক্ষার্থীদের দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করানো, মাঠের ময়লা পরিষ্কার করানো, বিদ্যুৎ বিল দেয়া ও ভারি কলসিতে পানি আনার মতো কাজ করিয়ে আসছেন।

মানববন্ধনে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম বলেন, মুচি পাড়ার ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া শিখে কি লাভ? তোরা স্কুলে আসিস ক্যান, সময় থাকতে গ্যারেজে ভর্তি হ’। এ সমস্ত অসংবেদনশীল বাক্যালাপ করে তাদের অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হয়। বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্র মৃণ্নয় দাস বাথরুমে যেতে চাইলে তাকে বাথরুম ব্যবহার করতে না দিয়ে প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম বকাবকি করে বলেন, ‘মুচির ছেলে মেয়েরা এখানে বাথরুম ব্যবহার করতে পারবে না। তোরা বাড়ি যেতে পারিস না, বাড়ি চলে যা।’ উপায়ান্তর না দেখে মৃন্ময় বাড়ি চলে আসার মাঝপথে জামা কাপড়ে বাথরুম করে দেয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, ১ম শ্রেণীর ছাত্র অর্কোজিৎ দাস ১ম ও ২য় সাময়িক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলেও বার্ষিক পরীক্ষায় ফলাফল আশানুরূপ হয়নি শিক্ষকদের বৈষম্যমূলক আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। এমনকি স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ঋষিপাড়ার শিশুদের নির্দিষ্ট একটি শ্রেণীকক্ষে পরীক্ষা নেয়া এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই তাদের খাতা কেড়ে নেয় শিক্ষকরা।

২য় শ্রেণীর ছাত্রী মিথিলা খাতুনকে স্কুলের শিক্ষক খাদিজা বেগম বলেন, ‘তুই মুচি পাড়ার পাশে বসবাস করিস তুইও মুচি হয়ে গেছিস। তুইতো মুচি, তোর লেখা পড়া শিখে কি লাভ? তুই যদি পরীক্ষায় পাসও করিস তারপরেও আমরা তোরে ক্লাসে তুলবো না।’ এমনকি তারই প্রেক্ষিতে মিথিলা খাতুনকে ক্লাসে ওঠানো হয়নি।

এছাড়া প্রধান শিক্ষক মিথিলাকে ব্যঙ্গ করে মুসলিম হওয়ার পরেও তাকে ‘মিথিলা দাস’ বলে ডাকে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে তাদের প্রতি শিক্ষক কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে চরম লাঞ্ছনা ও বৈষম্যমূলক আচরণের কথা কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিভাবকদের জানান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুন ঋষিপাড়ার শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন।

সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন যশোর শিল্পকলা একাডেমি, উলসী সৃজনী সংস্থা, এনসিটিএফ যশোর, বিডিআরএমসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ দলিত পরিষদের যশোর জেলা কমিটির সভাপতি আনন্দ দাস জানান, এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা গত ০৫ জানুয়ারি কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন এবং অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না। আবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুন স্থানীয় ভাবে প্রভাশালী হওয়ায় ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্র করছে এবং দলিত পাড়ায় অভিভাবকদের ক্রমাগত হুমকি প্রদান করছে।

মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ দলিত পরিষদ যশোর জেলা শাখার পক্ষ থেকে ঘটনাটির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

image

যশোর : গতকাল যশোর প্রেসক্লাবের সামনে কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুন ও সহকারী শিক্ষকদের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ

আরও খবর
শীতাচ্ছন্ন নগরীতে নির্বাচনী উত্তাপ
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্বেগ প্রকাশ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্টি র‌্যাগিং কমিটি গঠনের নির্দেশ
মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা
চট্টগ্রাম-৮ আসনে আজ উপনির্বাচন
মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট
সাঈদ খোকন আ’লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেলেন
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
প্রচারে মন্ত্রী-এমপিদের প্রয়োজন নেই দুই প্রার্থীই যথেষ্ট কাদের
মেট্রোরেল দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর
মেয়রদের ক্ষমতা ও কাজের পরিধি বাড়াতে হবে
ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার
ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ
ক্ষণগণনা

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২৯ পৌষ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বালিয়াডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়

তুইতো মুচি, তোর লেখাপড়া শিখে কি লাভ

ঋষি সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

যশোর অফিস

image

যশোর : গতকাল যশোর প্রেসক্লাবের সামনে কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুন ও সহকারী শিক্ষকদের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ

‘তুইতো মুচি, তোর লেখাপড়া শিখে কি লাভ? তুই যদি পরীক্ষায় পাসও করিস তারপরেও আমরা তোরে ক্লাসে তুলবো না।’ যশোরের কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে স্থানীয় দলিত সম্প্রদায়ের শিশু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের উক্তিসহ নানা বৈষম্য ও অস্পৃশ্যমূলক আচরণ ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠেছে। শুধু তিনিই নন সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের আচরণের অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের অমর্যাদা ও অবজ্ঞামূলক আচরণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুন ও সহকারী শিক্ষকদের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল মানববন্ধন করা হয়েছে। যশোর প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ দলিত পরিষদ যশোর জেলা কমিটি মানববন্ধন করে। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দলিত পরিষদের যশোর জেলা কমিটির সভাপতি আনন্দ দাস, সাধারণ সম্পাদক বিপুল দাস, যশোর সদর উপজেলা বিডিপির সম্পাদক তপন দাস, মণিরামপুর উপজেলা বিডিপির সভাপতি শিবনাথ দাস, সাধারণ সম্পাদক নিখিল চন্দ্র দাস, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহামুদুল হাসান বুলু, যুব মৈত্রীর যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস প্রমুখ।

মানববন্ধনে উপস্থিত বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুন ও সহকারী শিক্ষকদের বৈষম্য ও অস্পৃশ্যমূলক আচরণের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষকরা ঋষি পাড়ার ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রায়শই অমর্যাদা ও অবজ্ঞামূলক আচরণ করে থাকেন। ঋষি পল্লীর শিক্ষার্থীদের দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করানো, মাঠের ময়লা পরিষ্কার করানো, বিদ্যুৎ বিল দেয়া ও ভারি কলসিতে পানি আনার মতো কাজ করিয়ে আসছেন।

মানববন্ধনে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম বলেন, মুচি পাড়ার ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া শিখে কি লাভ? তোরা স্কুলে আসিস ক্যান, সময় থাকতে গ্যারেজে ভর্তি হ’। এ সমস্ত অসংবেদনশীল বাক্যালাপ করে তাদের অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হয়। বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্র মৃণ্নয় দাস বাথরুমে যেতে চাইলে তাকে বাথরুম ব্যবহার করতে না দিয়ে প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম বকাবকি করে বলেন, ‘মুচির ছেলে মেয়েরা এখানে বাথরুম ব্যবহার করতে পারবে না। তোরা বাড়ি যেতে পারিস না, বাড়ি চলে যা।’ উপায়ান্তর না দেখে মৃন্ময় বাড়ি চলে আসার মাঝপথে জামা কাপড়ে বাথরুম করে দেয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, ১ম শ্রেণীর ছাত্র অর্কোজিৎ দাস ১ম ও ২য় সাময়িক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলেও বার্ষিক পরীক্ষায় ফলাফল আশানুরূপ হয়নি শিক্ষকদের বৈষম্যমূলক আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। এমনকি স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ঋষিপাড়ার শিশুদের নির্দিষ্ট একটি শ্রেণীকক্ষে পরীক্ষা নেয়া এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই তাদের খাতা কেড়ে নেয় শিক্ষকরা।

২য় শ্রেণীর ছাত্রী মিথিলা খাতুনকে স্কুলের শিক্ষক খাদিজা বেগম বলেন, ‘তুই মুচি পাড়ার পাশে বসবাস করিস তুইও মুচি হয়ে গেছিস। তুইতো মুচি, তোর লেখা পড়া শিখে কি লাভ? তুই যদি পরীক্ষায় পাসও করিস তারপরেও আমরা তোরে ক্লাসে তুলবো না।’ এমনকি তারই প্রেক্ষিতে মিথিলা খাতুনকে ক্লাসে ওঠানো হয়নি।

এছাড়া প্রধান শিক্ষক মিথিলাকে ব্যঙ্গ করে মুসলিম হওয়ার পরেও তাকে ‘মিথিলা দাস’ বলে ডাকে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে তাদের প্রতি শিক্ষক কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে চরম লাঞ্ছনা ও বৈষম্যমূলক আচরণের কথা কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিভাবকদের জানান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুন ঋষিপাড়ার শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন।

সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন যশোর শিল্পকলা একাডেমি, উলসী সৃজনী সংস্থা, এনসিটিএফ যশোর, বিডিআরএমসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ দলিত পরিষদের যশোর জেলা কমিটির সভাপতি আনন্দ দাস জানান, এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা গত ০৫ জানুয়ারি কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন এবং অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না। আবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক খাদিজা খাতুন স্থানীয় ভাবে প্রভাশালী হওয়ায় ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্র করছে এবং দলিত পাড়ায় অভিভাবকদের ক্রমাগত হুমকি প্রদান করছে।

মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ দলিত পরিষদ যশোর জেলা শাখার পক্ষ থেকে ঘটনাটির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।