দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ১৩ দিন বাকি। তাই প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা। প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আলোচনায় থাকা চার মেয়র প্রার্থী। উন্নয়নের নানা বাণী দিচ্ছেন তারা। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যানজট ও জলাবদ্ধতামুক্ত আধুনিক নগরী গড়ার।

গতকাল ছিল প্রচারণার ষষ্ঠ দিন। এদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নৌকা ও ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীরা গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়েছেন। তাদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ব্যস্ত প্রচার-প্রচারণায়। অবশ্য তাদের এই প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। প্রচারণার সময় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের পরও মাইকিং করছেন কর্মী-সমর্থকরা।

তাপস : দক্ষিণে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস গতকাল ধোলাইপাড় থেকে তার প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি কদমতলী-শ্যামপুর এলাকায়ও প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, নির্বাচনে নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কিন্তু নেমে গেছে। একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের আমেজ বজায় রেখেছে। আমরা আশা করি যে, অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনটা সম্পন্ন হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকবে। ‘গত পাঁচ দিন ঢাকাবাসীর কাছ থেকে আমরা গণসংযোগে ব্যাপক স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। আমরা যে উন্নয়নের রূপরেখা দিয়েছি পাঁচ ভাগে বিভক্ত করে, ঢাকাবাসী সেটা সাদরে গ্রহণ করেছে। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন এবং আমাদের অনেক ভালোবাসা দিয়ে আলিঙ্গন করে নিচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি, ৩০ জানুয়ারি বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় হবে। আমরা ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিন থেকে কাজ আরম্ভ করব এবং উন্নত ঢাকা গড়ে তুলব। এ সময় তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সহমর্মিতা জানান। প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, সানজিদা খানম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন তাপসের সঙ্গে ছিলেন।

ইশরাক : দক্ষিণে ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন ধানমন্ডি ১৪নং সড়কে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে তার প্রচারণা শুরু করেন। প্রচারণার ষষ্ঠ দিনে ধানমন্ডি ১৫ নম্বর জিগাতলা হয়ে হাজারীবাগ, রায়েরবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা অনেক জায়গায় ধানের শীষের পোস্টার লাগাতে বাধা দিচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে আমরা প্রতিদিনই অভিযোগ করছি। কিন্তু কমিশনের দিক থেকে কোন উদ্যোগ দেখছি না। এটা লেভেল প্লেয়িং-এর নমুনা হতে পারে না। মহানগরীর অনেক এলাকার মানুষ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত। নির্বাচিত হলে আধুনিক ঢাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসব এলাকায় উন্নয়ন করা হবে। হাজারীবাগে বিরাজমান সমস্যা দূরীকরণ, বায়ুদূষণসহ পরিবেশ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। প্রচারণার সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানী, অ্যাডভোকেট শিমুল বিশ্বাস, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুসহ বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আতিকুল : উত্তরে নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম রাজধানীর ফার্মগেটের আল রাজী হাসপাতালের সামনে থেকে ষষ্ঠ দিনের মতো প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি হলিক্রস স্কুল, ছাপড়া মসজিদ, লুকাস রেলগেট, নাবিস্কো, কুনিপাড়া বেগুনবাড়ি, তেজগাঁও এলাকায় গণসংযোগ চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে নৌকাকে নির্বাচিত করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন। আমাকে যদি আপনারা বিজয়ী করেন তাহলে সবাই মিলে সবার ঢাকা, সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলব। ঢাকা সিটিকে স্মার্ট নগরী আপনাদের উপহার দেব। আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে অনেক, কিন্তু আপনাদের নিয়ে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুন্দর ঢাকা শহর গড়ে তুলব। প্রথমেই আমি ঢাকা শহরে যানজট মুক্ত করার উদ্যোগ নেব। নৌকা প্রতীক মানে উন্নয়নের প্রতীক। দেশে উন্নয়ন কর্মকা- চলছে, চলবে। এজন্য আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে, আগামী দিনে পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পারব। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তাবিথ : উত্তরে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল উত্তর বাড্ডার রহমতউল্লাহ গার্মেন্টস এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। প্রচারণার ষষ্ঠ দিনে উত্তর বাড্ডার বেরাইদ, সাঁতারকুল, মেরাদিয়া, জোয়ারসাহারা এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ৩০ জানুয়ারি একটি পরীক্ষার দিন। এই পরীক্ষায় জয়ী হতেই হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মনোবল ভাঙা যাবে না। যত সমস্যাই আসুক, তা মোকাবিলা করে বিজয়ী হতে হবে। বাড্ডা এলাকার সমস্যা তুলে তিনি বলেন, এই এলাকা নতুন করে সিটি করপোরেশনে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু নাগরিক সুবিধা নেই। রাস্তাঘাট খারাপ। সড়কে বাতি নেই। কর্মজীবী নারীদের জন্য এখনও অনিরাপদ। গত মৌসুমে এ এলাকার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। মেয়র নির্বাচিত হলে নাগরিকদের নিরাপত্তাসহ সব রকমের ব্যবস্থা নেব। গণসংযোগে বিএনপির কয়েকশ’ নেতাকর্মী, সমর্থক খালেদা জিয়া ও ধানের শীষের পক্ষে সেøাগান দিয়ে মিছিল করেন। তারা প্রার্থীর প্রচারপত্র বিলি করেন।

মিলন : দক্ষিণে জাতীয় পার্টির একজন মেয়র প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। গতকাল নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, জিগাতলা, কলাবাগান, এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন ও উর্দু রোডে প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকা শহরকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলব। বায়ুদূষণ থেকে নগরবাসীকে মুক্ত করবো। পাশাপাশি মা-বোনরা যাতে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে তাও নিশ্চিত করা হবে। গণসংযোগকালে মহানগর জাপা নেতা শাহাদাৎ হোসেন, ইস্কান্দার মোল্লা, দুর্জয় ফরাজি, কামাল হোসেন, শাহাদাত হোসেন মকবুলসহ পার্টির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০ , ২ মাঘ ১৪২৬, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

আর ১৩ দিন

দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ১৩ দিন বাকি। তাই প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা। প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আলোচনায় থাকা চার মেয়র প্রার্থী। উন্নয়নের নানা বাণী দিচ্ছেন তারা। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যানজট ও জলাবদ্ধতামুক্ত আধুনিক নগরী গড়ার।

গতকাল ছিল প্রচারণার ষষ্ঠ দিন। এদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নৌকা ও ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীরা গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়েছেন। তাদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ব্যস্ত প্রচার-প্রচারণায়। অবশ্য তাদের এই প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। প্রচারণার সময় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের পরও মাইকিং করছেন কর্মী-সমর্থকরা।

তাপস : দক্ষিণে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস গতকাল ধোলাইপাড় থেকে তার প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি কদমতলী-শ্যামপুর এলাকায়ও প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, নির্বাচনে নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কিন্তু নেমে গেছে। একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের আমেজ বজায় রেখেছে। আমরা আশা করি যে, অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনটা সম্পন্ন হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকবে। ‘গত পাঁচ দিন ঢাকাবাসীর কাছ থেকে আমরা গণসংযোগে ব্যাপক স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। আমরা যে উন্নয়নের রূপরেখা দিয়েছি পাঁচ ভাগে বিভক্ত করে, ঢাকাবাসী সেটা সাদরে গ্রহণ করেছে। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন এবং আমাদের অনেক ভালোবাসা দিয়ে আলিঙ্গন করে নিচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি, ৩০ জানুয়ারি বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় হবে। আমরা ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিন থেকে কাজ আরম্ভ করব এবং উন্নত ঢাকা গড়ে তুলব। এ সময় তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সহমর্মিতা জানান। প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, সানজিদা খানম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন তাপসের সঙ্গে ছিলেন।

ইশরাক : দক্ষিণে ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন ধানমন্ডি ১৪নং সড়কে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে তার প্রচারণা শুরু করেন। প্রচারণার ষষ্ঠ দিনে ধানমন্ডি ১৫ নম্বর জিগাতলা হয়ে হাজারীবাগ, রায়েরবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা অনেক জায়গায় ধানের শীষের পোস্টার লাগাতে বাধা দিচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে আমরা প্রতিদিনই অভিযোগ করছি। কিন্তু কমিশনের দিক থেকে কোন উদ্যোগ দেখছি না। এটা লেভেল প্লেয়িং-এর নমুনা হতে পারে না। মহানগরীর অনেক এলাকার মানুষ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত। নির্বাচিত হলে আধুনিক ঢাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসব এলাকায় উন্নয়ন করা হবে। হাজারীবাগে বিরাজমান সমস্যা দূরীকরণ, বায়ুদূষণসহ পরিবেশ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। প্রচারণার সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানী, অ্যাডভোকেট শিমুল বিশ্বাস, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুসহ বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আতিকুল : উত্তরে নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম রাজধানীর ফার্মগেটের আল রাজী হাসপাতালের সামনে থেকে ষষ্ঠ দিনের মতো প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি হলিক্রস স্কুল, ছাপড়া মসজিদ, লুকাস রেলগেট, নাবিস্কো, কুনিপাড়া বেগুনবাড়ি, তেজগাঁও এলাকায় গণসংযোগ চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে নৌকাকে নির্বাচিত করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন। আমাকে যদি আপনারা বিজয়ী করেন তাহলে সবাই মিলে সবার ঢাকা, সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলব। ঢাকা সিটিকে স্মার্ট নগরী আপনাদের উপহার দেব। আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে অনেক, কিন্তু আপনাদের নিয়ে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুন্দর ঢাকা শহর গড়ে তুলব। প্রথমেই আমি ঢাকা শহরে যানজট মুক্ত করার উদ্যোগ নেব। নৌকা প্রতীক মানে উন্নয়নের প্রতীক। দেশে উন্নয়ন কর্মকা- চলছে, চলবে। এজন্য আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে, আগামী দিনে পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পারব। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তাবিথ : উত্তরে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল উত্তর বাড্ডার রহমতউল্লাহ গার্মেন্টস এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। প্রচারণার ষষ্ঠ দিনে উত্তর বাড্ডার বেরাইদ, সাঁতারকুল, মেরাদিয়া, জোয়ারসাহারা এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ৩০ জানুয়ারি একটি পরীক্ষার দিন। এই পরীক্ষায় জয়ী হতেই হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মনোবল ভাঙা যাবে না। যত সমস্যাই আসুক, তা মোকাবিলা করে বিজয়ী হতে হবে। বাড্ডা এলাকার সমস্যা তুলে তিনি বলেন, এই এলাকা নতুন করে সিটি করপোরেশনে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু নাগরিক সুবিধা নেই। রাস্তাঘাট খারাপ। সড়কে বাতি নেই। কর্মজীবী নারীদের জন্য এখনও অনিরাপদ। গত মৌসুমে এ এলাকার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। মেয়র নির্বাচিত হলে নাগরিকদের নিরাপত্তাসহ সব রকমের ব্যবস্থা নেব। গণসংযোগে বিএনপির কয়েকশ’ নেতাকর্মী, সমর্থক খালেদা জিয়া ও ধানের শীষের পক্ষে সেøাগান দিয়ে মিছিল করেন। তারা প্রার্থীর প্রচারপত্র বিলি করেন।

মিলন : দক্ষিণে জাতীয় পার্টির একজন মেয়র প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। গতকাল নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, জিগাতলা, কলাবাগান, এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন ও উর্দু রোডে প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকা শহরকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলব। বায়ুদূষণ থেকে নগরবাসীকে মুক্ত করবো। পাশাপাশি মা-বোনরা যাতে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে তাও নিশ্চিত করা হবে। গণসংযোগকালে মহানগর জাপা নেতা শাহাদাৎ হোসেন, ইস্কান্দার মোল্লা, দুর্জয় ফরাজি, কামাল হোসেন, শাহাদাত হোসেন মকবুলসহ পার্টির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।